হামদর্দের এমডির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৩৭ পিএম
হামদর্দ ল্যাবরেটরী (ওয়াকফ) বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইউছুফ হারুণের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে পক্ষ-বিপক্ষ দুই দলের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে লিগ্যাল এইড অ্যান্ড হিউম্যান ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংগঠনটির উপদেষ্টা সুফি সাগর সামস সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার প্রস্তুতি নিলে বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ করে বাইরে থেকে একদল লোক হাতে ফেস্টুন নিয়ে আয়োজককে ‘প্রতারক-চিটার’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
এসব ফেস্টুনে লেখা হয়, ‘প্রতারক সুফির বিচার চাই’, ‘সুফি সাগরের ফাঁসি চাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় প্রতারক সুফির ঠাঁই নাই’।
এরপর সংবাদ সম্মেলনে থাকা সুফি সাগরের লোকজন স্লোগানকারীদের পরিচয় জানতে চান এবং তাদেরকে সংবাদ সম্মেলনস্থল ত্যাগ করতে বলেন।
এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে সুফি সাগরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া লোকদের একজনকে আটকে রেখে মারধর করলে বাইরে থেকে অন্যারা এসে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক মিনিট মারামারি চলে।
এ বিষয়ে সুফি সাগর সামস সাংবাদিকদের বলেন, “এই হামলাকারীদেরকে ইউছুফ হারুণ পাঠিয়েছে। তারা আমাদের ওপর হামলা করে সংবাদ সম্মেলন পণ্ড করতে চেয়েছিল। তবে স্লোগান দেওয়া লোকদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা না বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে সংবাদ সম্মেলনে সুফি সাগর সামস ইউছুফ হারুণের বিষয়ে বলেন, “১৯৭১ সালে স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে স্বশস্ত্র যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল ইউছুফ হারুণ। তিনি হারিছ কমান্ডারের মাধ্যমে রাজাকার বাহিনীতে যোনদান করেন।”
তিনি আরো বলেন, “স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও ইউছুফ হারুণের মত এমন রাঘব-বোয়াল রাজাকার এখনও রাজাকারের তালিকায় না আসাটা দুঃখজনক।”
এদিকে ইউছুফ হারুণ হামদর্দের একজন বিক্রয়কর্মী থেকে প্রতিষ্ঠানটির এমডি হয়েছেন উল্লেখ করে সুফি সাগর বলেন, “সরকারের অনুমোদন ছাড়াই সরকারি প্রতিষ্ঠান বিজি প্রেসকে বিভ্রান্ত করে একটি গেজেট প্রকাশ করে নিজেকে হামদর্দের আজীবন ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চিফ মোতাওয়াল্লী এবং তার অবর্তমানে তার উত্তসূরীদের স্থলাভিষিক্ত হবেন মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন।”
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করার অভিযোগে ইউছুফ হারুণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনও তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান সুফি সাগর সামস।