আর্জেন্টাইন নারী মডেল ওয়ান্দা নারাকে অনেকেই চেনেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)-র খেলোয়াড় মাওরো ইকার্দির স্ত্রী ও সাবেক আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার সাবেক প্রেমিকা হিসেবে। তবে এর বাইরেও তার আরো পরিচয় রয়েছে। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ও ফুটবল বিশ্বে সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী এজেন্ট। ইন্টার মিলান থেকে ধারে বর্তমানে পিএসজিতে খেলা ইকার্দির এজেন্ট তিনি। স্বামীর ফুটবল সংক্রান্ত সবকিছু দেখাশোনা করেন।

মাওরো ইকার্দির ইতালিয়ান ক্লাব ছেড়ে ফ্রান্সে পাড়ি দেয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন ওয়ান্দা নারা। পিএসজিতে তাকে ৫০ মিলিয়ন ইউরোতে ধারে পাঠায় ইন্টার মিলান। ইতালি ছেড়ে ফ্রান্সে যাওয়ার পুরো বিষয়টিই নিজের হাতে করেছেন ওয়ান্দা। দফায় দফায় পিএসজির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। তার তৎপরতাতেই ইকার্দি এত উচ্চমূল্য পেয়েছেন।

ফুটবলারদের আত্মীয় স্বজন তাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এটি ফুটবলে সাধারণ ঘটনা। যেমন নেইমারের ফুটবল এজেন্ট হিসেবে তার বাবা নেইমার সিনিয়র কাজ করেন। ছেলের সবকিছুই দেখাশুনা করেন তিনি। তবে একজন ফুটবল এজেন্টের কাজ কিন্তু খুব সহজ কোন কাজ না। একজন এজেন্ট শুধু দল বদলের দিকটাই দেখেনা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই সামলাতে হয় একজন এজেন্টকে। তাই কোন নারীকে এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে দেখাটা বিরল। আর সেই কাজটিই দারুণভাবে করে যাচ্ছেন পাঁচ সন্তানের জননী ওয়ান্দা নারা। এবং তাই নিজেকে এই দিকটায় বিপ্লবী হিসেবেও দেখেন এই সুন্দরী।

গত ফেব্রুয়ারীতে ইতালির সেলিব্রেটি ম্যাগাজিন ‘জেন্টেল’-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়ান্দা বলেন, এটা পুরুষদের দুনিয়া আর আমি বৈপ্লবিক কিছু করছি। অনেক ফুটবলারের আত্মীয় স্বজন তাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করলেও ফুটবলের নারীদের কাজ হলো সন্তানদের নিয়ে ঘরে থাকা আর চুপচাপ জীবনযাপন করা। এ কারণেই আমি বৈপ্লবিক। আমি ঘরের বাইরেও দারুণ কিছু করছি।

ওয়ান্দা নারার ক্যারিয়ার শুরু হয়ে মডেল দিয়ে। দারুণ আবেদনময়ী এই ওয়ান্দা ২০০৮ সালে ২১ বছর বয়সে বিয়ে করেন বার্সেলোনার খেলোয়াড় লোপেজকে। লোপেজের ঘরে তিন সন্তান রয়েছে তার। লোপেজকে বিয়ে করার আগে কিংবদন্তি ম্যারাডোনার সঙ্গেও চুটিয়ে প্রেম করেছেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে লোপেজের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে বিয়ে করেন ইকার্দিকে। তবে মজার তথ্য হলো ইকার্দির চেয়ে বয়সে পাঁচ বছরের বড় তিনি।