×

খেলা

অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিচ্ছেন শফিউল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:১২ পিএম

অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিচ্ছেন শফিউল
বাংলাদেশ জাতীয় দলে এখন যে কয়জন পেস বোলার আছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে নড়াইল এক্সপ্রেস হিসেবে খ্যাত এই পেসার টেস্ট ক্রিকেট খেলা ছেড়েছেন এক দশক আগে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে টি-টোয়েন্টি খেলাও ছেড়েছেন তিনি। খুব শিগগিরই রঙিন পোশাকের আরেক সংস্করণ ওয়ানডে থেকেও অবসর নেবেন ক্যাপ্টেন ম্যাশ। অভিজ্ঞতার বিচারে এখনকার বাংলাদেশ দলে মাশরাফির পর যে দুইজন পেসার রয়েছেন তারা হলেন রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলাম। দুজনেরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু মাত্র এক বছরের ব্যবধানে। রুবেল ও শফিউলের তুলনায় বেশ দেরিতেই জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, আবু হায়দার রনি ও আবু জায়েদ রাহীদের। মোস্তাফিজ, তাসকিন, সাইফউদ্দিন, রনি ও রাহীদের এখনো তরুণই বলা যায়। এসব তরুণদের সঙ্গে দলের পেস আক্রমণে একজন অভিজ্ঞ বোলার থাকলে ভারসাম্য আসে। সে সঙ্গে তরুণ পেসাররা আত্মবিশ্বাসও পান। কেননা এতে তাদের ওপর চাপ কম থাকে। তা ছাড়া স্বাভাবিকভাবেই তরুণদের তুলনায় অভিজ্ঞদের চাপ সামলানোর ক্ষমতা বেশি থাকে, যেটা ক্রিকেটে খুবই জরুরি। মাঝখানে অফফর্মের কারণে দলের বাইরে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বল হাতে প্রতিটি ম্যাচেই দারুণ পারফর্ম করছেন শফিউল ইসলাম। চলতি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে মোস্তাফিজ-সাইফউদ্দিন-শফিউলকে নিয়ে গড়া টাইগারদের পেস আক্রমণ বেশ ভালো করছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আগামীতে এই তিনজনের সমন্বয়ে দারুণ এক পেস আক্রমণ পাবে বাংলাদেশ দল। অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেলে গড়ে উঠা এই পেস আক্রমণ প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য হবে আতঙ্কের কারণ। ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় শফিউলের। ওই বছরেরই ১৭ জানুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয় তার। এর কয়েকদিন পরই টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় ডানহাতি এই পেসারের। শফিউল ইসলামের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বয়স এরমধ্যে এক দশক পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সে তুলনায় খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি তার। শুরুর দিকে অবশ্য জাতীয় দলের নিয়মিত একাদশের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্মিলিতভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। ওই বিশ্বকাপে খেলেছেন এই পেসার। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে শফিউল নেন ৬ উইকেট। এরপর ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম একজন সদস্য। ২০১৪ সাল থেকে জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন শফিউল। ২০১৮ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মাত্র ৪টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে তো জাতীয় দলের বাইরেই ছিলেন এই ক্রিকেটার। ওয়ানডের মতো টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতেও শফিউল দলের বাইরে ছিলেন। দ্বাদশ বিশ্বকাপের পর গত জুলাইয়ে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ওই সফরের দলে ডাক পান শফিউল। খেলেন সিরিজের ৩টি ম্যাচেই। আস্থার প্রতিদান দিতেও ভুল করেননি দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হওয়া এই পেসার। লঙ্কানদের বিপক্ষে অন্য বোলারদের ব্যর্থতার ভিড়ে শফিউল ৩ ম্যাচ মিলে নিন ৬ উইকেট। শ্রীলঙ্কা সফরে এমন দুর্দান্ত পারফরমেন্স শফিউলকে জায়গা করে দেয় ঘরের মাঠে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। ওই ম্যাচের একাদশে সুযোগ পান শফিউল। নেন ৩৬ রানে ৩ উইকেট। ডানহাতি এই পেসার নিরাশ করেনি আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচেও। এদিন ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি। শফিউল ইসলাম এখন পর্যন্ত ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১২ উইকেট শিকার করেছেন। ২০ ওভারের ক্রিকেটে তার সেরা বোলিং ৩৬ রানে ৩ উইকেট। আর ৫৯টি ওয়ানডেতে তিনি পেয়েছেন ৬৯ উইকেট। এ ছাড়া সাদা পোশাকে এ পর্যন্ত ১১টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। পেয়েছেন ১৭ উইকেট। বর্তমানে ২৯ বছর বয়সী শফিউলের জন্ম ১৯৮৯ সালের ১৬ অক্টোবর বগুড়ায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App