×

আন্তর্জাতিক

মঙ্গলে প্রাণের খোঁজে নামছে নাসা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৪০ এএম

মঙ্গলে প্রাণের খোঁজে নামছে নাসা
প্রাণের হদিস পাওয়ার আশায় এবার পৃথিবীর প্রতিবেশী ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করতে যাচ্ছে নাসা। মঙ্গলের বুকে কোনো ধরনের অনুজীব আছে কিনা সেটি জানতে মঙ্গলের পিঠে অন্তত এক থেকে দেড় ফুট গভীরতা পর্যন্ত খোঁড়াখুঁড়ির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ এ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। যদি কোনো অনুজীব পাওয়া যায়, তখন দেখা হবে তারা কি অক্সিজেন বা কার্বন ডাই অক্সাইডের ওপর নির্ভরশীল, নাকি তাদের ভরসা করতে হয় মিথেন বা ইথেনের মতো কোনো হাইড্রোকার্বনের ওপর। মঙ্গলে খোঁড়াখুঁড়ি শুরুর আগে নিজেদের প্রযুক্তির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য চিলির বিখ্যাত আটাকামা মরুভ‚মিতে একটি মহড়া চালাতে যাচ্ছে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর। এ লক্ষ্যে সেখানে গবেষণাগারসহ মঙ্গলের কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এই মরুভ‚মিকে বেছে নেয়ার পেছনের কারণটি হচ্ছে মঙ্গলের রুক্ষ পৃষ্ঠদেশ অনেকটাই এই আটাকামা মরুভূমির ভূ-ত্বকের মতো। মঙ্গলে প্রাণের খোঁজে ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রকল্পের নাম ‘দ্য আটাকামা রোভার অ্যাস্ট্রোবায়োলজি প্রিলিং স্টাডিজ’ (এআরএডিএস বা ‘অ্যারাডস?’)। আর মঙ্গল খোঁড়ার প্রকল্পে নাসা প্রযুক্তিগত সহায়তা নিচ্ছে যে সংস্থার কাছ থেকে তার নাম হানিবি রোবোটিক্স। ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে নাসার এমস রিসার্চ সেন্টারে ‘অ্যারাডস’ প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ব্রায়ান গ্রাস জানান, মার্স-২০২০ নামের রোভারের আরো যেসব রোভার মঙ্গলে পাঠানো হবে, তাদের সঙ্গেই যাবে খনন যন্ত্রপাতিগুলোও। এজন্য যন্ত্রগুলোকে কতটা নিখুঁত করে তোলা দরকার সে জরুরি পরীক্ষাটাই করা হচ্ছে আটাকামা মরুভ‚মিতে। এ ছাড়া পাসাডেনায় নাসার জেট প্রপালসান ল্যাবরেটরির ইউরোপা মিশনের সদস্য বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায় জানান, ২০২৪-২৫ সালের মধ্যেই ফের চাঁদের বুকে মানুষের পদার্পণ হবে। কিন্তু চাঁদে তো আর পাকাপাকি থাকার ভাবনা নিয়ে মানুষ পাঠানো হচ্ছে না। নাসার মূল ভাবনা মঙ্গল নিয়েই। মঙ্গলের সঙ্গে যেহেতু পরিবেশ ও গঠনের নিরিখে অনেকটাই মিল রয়েছে চাঁদের, তাই মঙ্গলে সভ্যতার ‘দ্বিতীয় উপনিবেশ’ গড়ে তোলার পথে কী কী রাধা রয়েছে সেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চাঁদই আদর্শ জায়গা। ধারণা করা হয়, কয়েকশ কোটি বছর আগে বিশাল মহাসাগর ছিল লাল গ্রহে। আর ছিল পুরু বায়ুমণ্ডলও। সেই সময় মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল বলে জোরালো বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের। গৌতম বলেন, পৃথিবীর আটাকামা মরুভূমির যে অংশে সামান্য পরিমাণ পানি রয়েছে, তার এক হাজার ভাগের এক ভাগ পানিও নেই এখন লাল গ্রহটিতে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App