×

মুক্তচিন্তা

অরুন্ধতী-কথা ও পাকিস্তান প্রেম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৮ পিএম

অরুন্ধতী-কথা ও পাকিস্তান প্রেম
অরুন্ধতী-কথা ও পাকিস্তান প্রেম

গণতান্ত্রিক ধারায় ত্রুটি-বিচ্যুতি বা নিরাপত্তার স্বার্থে গৃহীত ব্যবস্থা সমর্থনযোগ্য না হলে রাজনৈতিক দল সমালোচনা করবেন, এটা সে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু যে দেশটি জঙ্গিবাদের ভিত্তি হিসেবে গোটা উপমহাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে, সন্ত্রাসকে মদদ দেয়াকে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে সে দেশকে বাংলাদেশ ও ভারতের পাশে এনে দাঁড় করিয়ে দেয়া আর যাই হোক সুস্থ মানসিকতার পরিচায়ক বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। আপত্তিটা এখানেই।

ভারতের প্রখ্যাত লেখিকা অরুন্ধতী রায় বলেছেন, ‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে কখনো পাকিস্তানি নাগরিকের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়নি। অথচ গণতান্ত্রিক দেশ ভারত সেনাবাহিনীকে নিজ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। শুরু থেকেই কাশ্মির, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, গোয়া ও হায়দরাবাদে যুদ্ধ করছে ভারত। নিজের জনগণের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করছে। পাকিস্তান রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক ভারতীয় রাষ্ট্রের মতো তার নিজের জনগণের বিরুদ্ধে সেনা মোতায়েন করেনি।’ এ বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ও সংবাদ মাধ্যমে প্রচণ্ড সমালোচনা ছড়িয়ে পড়লে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেছেন, তার ৯ বছর আগের এক সাক্ষাৎকারের এক ভিডিও ক্লিপ থেকে যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। ক্ষণিকের ওই ক্লিপের বক্তব্যকে সামনে এনে তাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তার অবস্থান একেবারেই তেমন নয়। বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার ব্যাপারে তার অবস্থান সবসময়ই স্পষ্ট এবং লেখাতেও এই প্রসঙ্গ বারবার এসেছে। অরুন্ধতী রায় ক্ষমাপ্রার্থনা করে বক্তব্য উপস্থাপন করলেও ৯ বছর আগে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টমিনিস্টারে দিবেশ আনন্দের সঙ্গে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসার কথা তিনি অস্বীকার করেননি। বলেছেন, বক্তব্যের এক ক্ষুদ্র অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ কথাটি তিনি বলেছিলেন। সমালোচনার মুখে দেয়া বিবৃতিতে তিনি আরো বলেছেন, পাকিস্তান সরকার বেলুচিস্তানে যা করছে এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশে যে গণহত্যা চালিয়েছে সে সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি কখনোই অস্পষ্ট ছিল না। তবে এই বিবৃতির এক পর্যায়ে তিনি তার বিশ্বাসটাকে আরো স্পষ্ট করে বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি না যে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নৈতিকভাবে একে অন্যের চেয়ে ভালো।

অরুন্ধতী রায় ভারতীয় লেখক, আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছেন। যেহেতু তিনি আন্তর্জাতিক পরিম-লে সম্মানিত হয়েছেন এবং বাংলাদেশসহ তিন দেশ নিয়ে কথা বলেছেন, বাংলাদেশের একজন নাগরিক, একজন সাংবাদিক হিসেবে কিছু বলা নিশ্চয়ই অসমীচীন হবে না। বাংলাদেশ রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছে, প্রাণ উৎসর্গ করেছে ৩০ লাখ মানুষ। দুই লাখেরও বেশি মা-বোন নির্যাতিত হয়েছেন। বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী জানিয়েছে, এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫ হাজার ১১২টি গণহত্যার ঘটনার হদিস পাওয়া গেছে। বধ্যভূমির সন্ধান পেয়েছে ৩৮৭টি, গণকবর ৪৯৩ ও নির্যাতন কেন্দ্র ৪৬৭। মুক্তিযুদ্ধের ৪৮ বছর পর আরো নতুন নতুন গণকবরের সন্ধান মিলছে। এ হিসাব আংশিক। যত গণকবর আবিষ্কৃত হচ্ছে, পাকিস্তানি বাহিনীর নারকীয় বর্বরতার চিত্র আরো প্রকট হচ্ছে, যার সঙ্গে তুলনা চলে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের অত্যাচার আর হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশের এক কোটিরও বেশি মানুষ ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছিল। বিশ্বের ইতিহাসে এত বড় সংখ্যায় শরণার্থীর অন্য দেশে আশ্রয়ের ঘটনা ইতোপূর্বে ঘটেনি। ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা, দুই লাখেরও বেশি মা-বোনকে নির্যাতন (এ সংখ্যা ৪ লাখেরও বেশি বলে এখন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে), এক কোটিরও বেশি মানুষকে দেশ থেকে বিতাড়ন, সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ এবং অনিবার্য পরাজয়ের মুখে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা বলে দেয় পাকিস্তানিরা বাংলাদেশে কী করেছিল।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞের একটি চিত্র এখানে তুলে ধরছি। ঐতিহাসিক রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমের গণহত্যা তদন্তে ১৯৯৮ সালে একটি গণতদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছিল। এই কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি কে এম সোবহান। আমি সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। সদস্য ছিলেন অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন ও সাংবাদিক-লেখক শাহরিয়ার কবির। কমিশনের কার্যালয় স্থাপিত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বড় কক্ষ কমিশনের জন্য বরাদ্দ করেছিল। কমিশনের সামনে ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী অনেক মানুষ সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তাদের বর্ণনায় একাত্তরের ২৭ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম ও ভয়ঙ্কর অত্যাচারের চিত্র উঠে আসে। রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমের অদূরে অবস্থিত মোগল আমলের মসজিদের ইমামের বর্ণনা ছিল সবচেয়ে মর্মস্পর্শী। একাত্তরে তাঁর বাবা ছিলেন ইমাম, সাক্ষ্যদানকারী ইমাম তখন তরুণ। অত্যন্ত কাছে থেকে দেখেছেন পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা। তিনি কমিশনকে জানান, রাত দুটোর দিকে পাকিস্তানি সেনারা হামলা শুরু করে। কামানের গোলায় উড়িয়ে দেয়া হয় মন্দির ও আশ্রম। মন্দিরের সেবায়েত পরমানন্দ গিরিসহ মন্দির ও আশ্রমে বসবাসরত ভক্ত ও কর্মীদের পরিবার-পরিজনসহ মন্দিরের সামনে জড়ো করা হয়। পরমানন্দকে কলেমা পড়ে মুসলমান হতে বাধ্য করা হয়। গোটা মন্দির ও আশ্রমে তখন আগুন জ্বলছে। আর্তচিৎকার ও শিশুদের কান্নাকাটি এক নারকীয় পরিবেশ তৈরি করে। শিশুদের কান্না থামাতে পাকিস্তানি সেনারা তাদের ধরে ধরে আগুনে নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে ব্রাশফায়ারের আওয়াজ। ইমামের বর্ণনায় নারী-পুরুষ-শিশু মিলে এখানে একশোরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। গণতদন্ত কমিশনে দেয়া নানা জনের সাক্ষ্যেও এই চিত্র উঠে এসেছে। কমিশন রমনায় একশরও বেশি শহীদের ব্যাপারে নিশ্চিত হলেও নাম পেয়েছে ৫১ জনের মতো। বাকিদের নাম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

এটি একটি মাত্র ঘটনা। একাত্তরে এই রকম হাজার হাজার নারকীয় গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত পাকিস্তানি বাহিনীর দোসরদের গণহত্যার ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। একাত্তরে গোটা বাংলাদেশ শ্মশানে পরিণত হয়েছিল। পাকিস্তানি বাহিনীর এই গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ অরুন্ধতী রায়ের উল্লেখ করা বইতে কতখানি এসেছে, যারা পড়েছেন তারা জানেন। আমিও পড়েছি। অত্যন্ত সাধারণ সাদামাটা উপস্থাপন মাত্র। তিনি জানেন না, ভারতীয় সেনাবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বর্বর হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, বাংলাদেশের মানুষ মিত্র বাহিনীকে কীভাবে স্বাগত জানিয়েছিল। অরুন্ধতী রায়ের রাগটা সম্ভবত এ কারণে যে, পাকিস্তানের মদদে জঙ্গিরা বা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভারতীয় বাহিনীর ওপর যখন হামলা চালায় তারা নীরবে মৃত্যুকে মেনে নেয় না কেন? তিনি একাত্তরে বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিনী কীভাবে ত্রাতা হিসেবে সম্মানিত হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর জওয়ানদের রক্তের যে মেলবন্ধন ঘটেছে তা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ইতিহাস নিরপেক্ষ হওয়া উচিত।

অরুন্ধতী রায় বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি না যে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নৈতিকভাবে একে অন্যের চেয়ে ভালো। নৈতিকতার প্রশ্নে বাংলাদেশ ও ভারতকে তিনি বর্বর পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনায় এক কাতারে ফেলেছেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত মনোভাবের প্রকাশ বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের জন্ম পাকিস্তানের শোষণ-অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। অনেক মূল্য দিতে হয়েছে বাঙালি জাতিকে। ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে সামনে রেখে এগুচ্ছে, লড়াই করছে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের তুলনায় সবদিক থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ। অনেক ক্ষেত্রে ভারত থেকেও। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাহিনী। অন্যদিকে ভারত বহু ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতি ও ভাষার দেশ। ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রাষ্ট্র ও রাজনীতি পরিচালনা করছে। বারবার পাকিস্তানের মদদপুষ্ট জঙ্গিবাদীদের হামলার শিকার হচ্ছে। এমনও দেখা গেছে, জঙ্গি কিংবা নকশালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ‘গণতন্ত্র গেল’ সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে সরকারকে। গণতান্ত্রিক ধারায় ত্রুটি-বিচ্যুতি বা নিরাপত্তার স্বার্থে গৃহীত ব্যবস্থা সমর্থনযোগ্য না হলে রাজনৈতিক দল সমালোচনা করবেন, এটা সে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু যে দেশটি জঙ্গিবাদের ভিত্তি হিসেবে গোটা উপমহাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে, সন্ত্রাসকে মদদ দেয়াকে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে সে দেশকে বাংলাদেশ ও ভারতের পাশে এনে দাঁড় করিয়ে দেয়া আর যাই হোক সুস্থ মানসিকতার পরিচায়ক বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। আপত্তিটা এখানেই।

মনে পড়া উচিত, আলকায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানের মাটি থেকেই তৎপরতা চালাতেন, ছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আদর-যত্নে, গোপন তত্ত্বাবধানে। লাদেনকে মার্কিন বাহিনী গোপন আস্তানায় আচমকা অভিযান চালিয়ে হত্যা করে। তালেবানরা পৃষ্ঠপোষকতা পায় পাকিস্তান থেকে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তৈরি লস্কর-ই-তৈয়বা ও জৈস-ই-মহম্মদ ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলা চালিয়েছিল। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বারবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে, উগ্র ধর্মান্ধতাকে ব্যবহার করে জঙ্গিবাদকে মদদ দিয়েছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ক্ষমতা ও কায়েমি স্বার্থ রক্ষা করে, এটাই তো পাকিস্তানের ইতিহাস। বাংলাদেশ তো সবচেয়ে বড় উদাহরণ।

কমিউনিস্ট দেশ চীনের অস্ত্রে পাকিস্তান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আজ বেলুচিস্তানের মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছে। অরুন্ধতী রায়কে ভবিষ্যতে মন্তব্য করতে হলে পাকিস্তান সম্পর্কে আরো জানতে হবে। কাশ্মিরে নির্বাচিত রাজ্য সরকারের শাসনামলে নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ৬ থেকে ৮ লাখ হিন্দুকে বিতাড়ন করা হয় নির্বিচারে অত্যাচার, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ধর্ষণের মুখে। এর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করেনি। অরুন্ধতী রায়ও এ নিয়ে কিছু লিখেছেন চোখে পড়েনি। আফগানিস্তানে ঐতিহাসিক বৌদ্ধ মূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছিল তালেবানরা। চীন কোনো প্রতিবাদ করেনি, কারণ তালেবানরা পাকিস্তানের মদদপুষ্ট। এই বৌদ্ধ মূর্তি সংস্কার করেছিল ভারত সরকার। এ নিয়েও কলম ধরেনি কেউ। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে কখনো পাকিস্তানি নাগরিকের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়নি কিংবা আমি বিশ্বাস করি না যে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নৈতিকভাবে একে অন্যের চেয়ে ভালো- অরুন্ধতী রায়ের এই দুই মন্তব্য বাংলাদেশের একজন সাংবাদিক হিসেবে মেনে নিতে পারছি না বলেই কথাগুলো বলতে হলো।

বাসুদেব ধর: সাংবাদিক ও লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App