×

জাতীয়

১১০টি প্রতারণা মামলার আসামী গ্রেপ্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৩০ পিএম

১১০টি প্রতারণা মামলার আসামী গ্রেপ্তার

ইয়ং মেনসক্লাব

১১০টি প্রতারণা মামলার আসামী গ্রেপ্তার

আগের ছবি - বর্তমান ছবি

প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া টাকা দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়লেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে শ্রমিক বেশ ধারণ করেছিল শতাধিক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এই প্রতারক। পুলিশের বিশেষ তদন্ত শাখা (সিআইডি) ছাড়াও রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানায় ১০৯টি প্রতারণার মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে। মানুষের কাছ থেকে শতাধিক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক মো. ইব্রাহীম আলীকে (৪২) গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডি ঢাকা দক্ষিণের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মালিবাগের সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণের অতি.পুলিশ সুপার জীবন কান্তি সরকার, সিআইডি গণমাধ্যম শাখার এএসপি শারমিন জাহানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

সিআইডির কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, শহীদুল ইসলাম ও তার বন্ধুদের কাছ থেকে ইট ভাটায় বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে গত বছর ৭ কোটি ৭৯ লাখ ৪৬ হাজার ২০০ টাকা আত্নসাৎ করে পালিয়ে যায় ইব্রাহীম। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর কারিগরী সহোযোগীতায় গত মঙ্গলবার রাতে আমরা তাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।

আটক ব্যক্তির জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, অধিক মুনাফা বা উচ্চ হারে সুদের প্রলোভন দেখিয়ে রাজশাহী গোদাগাড়ীতে মিতা ব্রিকস, এমএসবি, বিবিএফ নামীয় ব্রিক ফিল্ডে বিনিয়োগ করতে বলতেন আলী। তার ফাঁদে পা দিয়ে যারা বিনিয়োগ করতেন তাদের প্রথমে নিজ থেকেই সুদের বা লাভের টাকা তুলে নিতে তোরজোড় করতেন তিনি। সবাই তার এ ধরনের কর্মকাণ্ডে প্রভাবিত হয়ে তাকে বিশ্বাস করতে শুরু করে। আর এ সুযোগককে কাজে লাগিয়েই তিনি শতাধিক কোটি টাকা তুলে নিয়ে পালিয়ে যান।

এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে এসব টাকা দিয়ে অনেকগুলো ট্রাক,জমি, পোশাক কারখানা ও দোকান মালিক হয়েছেন তিনি। তবে আইনশৃঙ্খলার হাত থেকে বাঁচতে শ্রমিক বেশে কাজ করছিলেন। প্রায়ই মোবাইল সিম পালটাতেন তিনি। তবে তদন্ত করতে গিয়ে তাকে সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত তার শ্বশুড় হাসান আলী, শ্যালক ইদ্রিস আলী ও ভগ্নিপতি ওবায়দুল্লাহকে আমরা আটক করি। পরে তাদের দেয়া তথ্য ও গোয়েন্দা অনুসন্ধানের ভিত্তিতে তাকে আটক করতে সক্ষম হই আমরা। অধিক তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App