সরকার রেল খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে: রেলমন্ত্রী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৩৪ পিএম
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করেছে এবং রেল খাতের উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। বর্তমানে সরকারের উন্নয়ন বাজেটের অন্যতম বড় গ্রহীতা রেলপথ মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত ‘নলেজ এক্সচেঞ্জ ওয়ার্কসপ অন ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডোরস ফর বাংলাদেশ রেলওয়ে’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, রেল সেক্টরের টেকসই উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার ত্রিশ বছর মেয়াদী মাস্টার প্লান অনুমোদন করেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম সেকশনের বেশীরভাগ অংশই ডাবল লাইনে রুপান্তর করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রেলওয়ের একাধিক মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, দোহাজারী-কক্সবাজার ভায়া রামু এবং রামু হতে মিয়ানমারের গুনদুম পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প, খুলনা-মংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্প ,এগুলো চলমান। এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম হাই স্পীড ট্রেন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার রেল সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ রেলওয়ে উন্নত বিশ্বের পর্যায়ে চলে যাবে।
তিনি বলেন, সরকার ৮৮ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার রেল যোগাযোগের পরিকল্পনা নিয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সুবিধা তৈরী করা হয়েছে। এর ফলে নেপাল, ভুটান ও ভারতের দক্ষিণ পূর্ব অংশ বাংলাদেশের বন্দর সমূহ ব্যবহার করতে পারবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী রেল যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রেল পরিসেবার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গভীর হবে। অতীতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল সেবা আরো অনেকবেশী কার্যকরী ছিল বলে জানান তিনি। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও পণ্য পরিসেবার মাধ্যমে যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু ভারত নয়- চীন, ভুটান, মিয়ানমারসহ পাশ্ববর্তী দেশগুলো মধ্যে রেল যোগাযোগ তৈরি করতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি হবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মেরসি মাইয়ান টেমবন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামছুজ্জামান সহ রেলওয়ের কর্মকর্তাগণ তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।