×

অর্থনীতি

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ট্যাক্স সুবিধা আরো বাড়ানো হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৩০ এএম

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ট্যাক্স সুবিধা আরো বাড়ানো হবে
দেশের পুঁজিবাজার বর্তমান যেভাবে চলছে এভাবে চলতে দেয়া যায় না। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে যত দ্রুত সম্ভব পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। প্রয়োজন হলে ট্যাক্স সুবিধা আরো বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়’ সভা শুরু হয়। সভা চলা অবস্থায় দুপুর আড়াইটার দিকে বেরিয়ে আসেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন। এ সময় পুঁজিবাজারের উন্নতির জন্য আরো বেশি ট্যাক্স সুবিধা দেয়ার কথা জানান তিনি। মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের বর্তমান যে অবস্থা, এভাবে তো চলতে দেয়া যায় না। এটা নিশ্চয় উন্নতি করতে হবে। আমি এখানে বলেছি, বর্তমানে আমরা যে ট্যাক্স সুবিধা দিয়েছি, যথেষ্ট ভালো ট্যাক্স সুবিধা। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, যেমন শেয়ার বিক্রি করার পর যে ক্যাপিটাল গেইন (লাভ) হয়, ১০ টাকার শেয়ার কেউ ২০ টাকা দিয়ে কিনে ৩০ টাকায় বিক্রি করল প্রতি শেয়ার। সেই হিসাবে এক হাজার শেয়ার বিক্রি করলে আমার ৩০ হাজার টাকা গেইন হয়। এই ৩০ হাজার টাকার ওপর কোনো ট্যাক্স নেই। এ রকম আরো অনেক কিছু আছে, যেসব সুবিধা আমরা দিয়ে রেখেছি। যদি প্রয়োজন হয়, এর চেয়ে বেশি ট্যাক্স সুবিধা দেব, যোগ করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান। বিদেশি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজার ছেড়ে যাবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বিদেশি যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, তারা হয়তো চলে যাবে। আমি বলেছি, তারা কোনোভাবেই চলে যাবে না। প্রয়োজনে হলে মধ্যস্থতা করে আমরা তাদের রাখব। তবে এসব ক্ষেত্রে কিছু আইনগত বাধা আছে বলেও জানান এনবিআরের এই চেয়ারম্যান। এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে দেশি-বিদেশি ভালো কোম্পানি আনতে হবে। আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মির্জ্জা আজিজুল বলেন, বিভিন্ন রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান যেগুলো আছে তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা পড়েছে। তিনি বলেন, আইপিওর সময় কোম্পানিগুলোর যে হিসাব দেখানো হয় অনেক সময় সেখানে বাস্তব চিত্রটা দেয়া হয় না। যার ফলে তালিকাভুক্তির পর লেনদেনের শুরুতে ভালো দর থাকলেও কিছুদিন পর শেয়ার দর পড়ে যায়। কাজেই এক্ষেত্রে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল, বিএসইসি, আইসিবিসহ সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আয়োজিত সভায় অর্থ সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App