মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য বিশেষায়িত আলাদা পুলিশ ইউনিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারা বিশ্বে মেট্রোরেলের জন্য আলাদা নিরাপত্তা ইউনিট থাকার কথা উল্লেখ করে এখন থেকে কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ে এক পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য শাজাহান খান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে বিভাগের সচিব ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া, জাতীয় নিরাপত্তা সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি হিতোশি হিরাতার নেতৃত্বে জাইকার একটি প্রতিনিধিদলও বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। সভায় মেট্রোরেলের অগ্রগতি বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমএএন সিদ্দিক।

জাতীয় নিরাপত্তা সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়াকে মেট্রোরেল পুলিশ ইউনিট গঠনের বিষয়টি দেখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের সিকিউরিটির জন্য মেট্রোরেল পুলিশ থাকবে। তাদের ট্রেনিং দিতে হবে।

ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৩০.০৫ শতাংশ। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে কাজের অগ্রগতি ৪৬.০০ শতাংশ।

এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে কাজের অগ্রগতি ২৩.৫০ শতাংশ এবং ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল সিস্টেম ও রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ১৯.৮৭ শতাংশ।

সভায় জানানো হয়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেল বাণিজ্যিক অপারেশনে যাবে। প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলের প্রতিটি বিষয় মনোযোগ সহকারে প্রত্যক্ষ করেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতেও তিনি প্রয়োজনীয় সমাধান ও নির্দেশনা দেন।