×

জাতীয়

জনগণের সেবা করাই একমাত্র ব্রত: প্রধানমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:২২ পিএম

জাতির পিতা আদর্শ ধারণ করে মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভারতের সম্মানজনক ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ গ্রহণ শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ভারতরত্ব ড. কালাম আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদের পৃষ্ঠপোষক এবং চেয়ারম্যন রাষ্ট্রদূত ড. শ্রীনিবাসন প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ পদক তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা ভোগ করার জন্য নয়। আমরা কিছু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে নিয়ে যেতে চাই। ২১০০ সাল পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনা আছে। যেন বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পায়, এ লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘমেয়াদি এসব পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আশা করি, সেটা অর্জন করতে পারবো। দেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ২৯তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ২০১৯ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১৯০৯ মার্কিন ডলারে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক এক শতাংশ। এটাকে ১০-এ নিয়ে যেতে চাই। দেশের দারিদ্র্য এখন ২১ শতাংশে নেমে এসেছে।

জাতির পিতার অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ইচ্ছা ছিল সোনার বাংলা গড়ে তোলা। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। আর এ জন্য তিনি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এ দেশের মানুষের কথা মনে করেই তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তার কথায় এ দেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তিনি এ দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। সন্তানদের চেয়েও তিনি মানুষকেই বেশি ভালোবেসেছেন।

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমস্যা থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। ছিটমহল বিনিময় ও স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও ভারত যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা নজিরবিহীন। এ সময় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, আমরা সব সময় বন্ধুসুলভ সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গত এক দশকে অনেক উঁচুতে পৌঁছেছে। দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অনেক অগ্রগতি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এ কারণে আজ আমি তাদের জন্য কাজ করতে পারছি। খাদ্যের পর মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের জন্য আরও বেশি কাজ করার ক্ষেত্রে এই পুরস্কার আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।

প্রসঙ্গত, ড. কালাম স্মৃতি আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা কমিটি শেখ হাসিনাকে এই পদকের জন্য মনোনীত করে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তার অসামান্য অবদান, জনকল্যাণ বিশেষত নারী ও শিশুদের কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App