উত্তরায় ইয়াবা ভাগবাটোয়ারা করতে গিয়ে ৫ পুলিশ গ্রেপ্তার
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:২১ পিএম
রাজধানীর উত্তরায় মাদক জব্দ করে ধৃতদের ছেড়ে দিয়ে ওই ইয়াবা ভাগবাটোয়ারা ও বিক্রির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার হয়েছে ৫ পুলিশ। রবিবার রাতে এ অভিযোগে এপিবিএনের চার পুলিশ সদস্য এবং গুলশান থানার এক এএসআইকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার দিনভর তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অবশেষে রাতে তাদের বিরুদ্ধে করা হয় মামলা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, এপিবিএনের কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল (২৩), নায়েক মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৭), কনস্টেবল মো. রনি মোল্ল্যা (২১), কনস্টেবল মো. শরিফুল ইসলাম (২৩) ও গুলশান থানার এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী (৪৪)। পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা ও এপিবিএন।
অভিযানে অংশ নেয়া অফিসার ও মামলার বাদী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১ এর এসআই মো. আবু জাফর গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে উত্তরার এপিবিএন-১ সদর দফতরের ব্যারাক ভবনের চতুর্থ তলার বাথরুমের সামনে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ইয়াবার ভাগবাটোয়ারা করছেন। তখনই তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় এপিবিএন। ঊর্ধ্বতনদের অনুমতি নিয়ে একটি ফোর্স যায় সেই বাথরুমে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এপিবিএন-১ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু জাফর। অভিযানে বাথরুমের সামনে গিয়ে কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল, কনস্টেবল রনি মোল্ল্যা ও কনস্টেবল শরিফুল ইসলামকে দেখতে পায় তারা। এরপর তাদের নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয়। বিস্তারিত পরিচয় নেয়ার পর তল্লাশি চালানো হয় কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডলকে। তার পরিহিত ফুল প্যান্টের ডান পকেট থেকে ১৫৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযান চালানো হয় মণ্ডলের ব্যারাকের রুমে। সেখানে তার কাপড়ের ট্রাঙ্ক থেকে আরও ৩৯৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর শরিফুলের কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রির নগদ ১৫ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শরীফুলকে। জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে জানায়, সে রনি মোল্ল্যার কাছ থেকে ১৮৫০০ টাকায় ১৫০ পিস ইয়াবা কিনেছে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় রনিকে।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রশান্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের জানান, ১১ সেপ্টেম্ব^র সকাল সাড়ে ৬টায় গুলশানের গুদারাঘাট চেকপোস্টে একটি মোটরসাইকেল তল্লাশি করে আরোহীর কাছ থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে যোগসাজশ করে তাকে ছেড়ে দিয়ে তার কাছে থাকা ২০০ পিস ইয়াবা গুলশানের এএসআই মাসুদ মিয়াজী তার হেফাজতে রাখে। বাকি ১৫০ পিস নেয় জাহাঙ্গীর আলম। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ৩৬ (১) ও ৪১ ধারায় মামলা করা হয়েছে।