×

জাতীয়

পদ হারালেন শোভন ও রাব্বানী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪১ পিএম

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পাবেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দুই নেতা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার পর এমন তথ্য জানা যায়।

দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক নেতা দাবি করেন, বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সরিয়ে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে শীর্ষ দুই দায়িত্ব দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে সংগঠনের ১ নম্বর সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ থাকায় গত ১০ সেপ্টেম্বর তাদের গণভবনে প্রবেশের পাস বাতিল করা হয়। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান। সেই সভায় তিনি শোভন-রাব্বানীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর ছড়িয়েছিল।

সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা,অদক্ষতার অভিযোগও রয়েছে দু’জনের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেরিতে যাওয়া এমনকি আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। গত ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের গাড়িতে ওঠাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে জড়ান ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। এ সময় দায়িত্বরত এক সাংবাদিককে শোভনের গাড়িতে তুলে নেয়া হয় এবং সাংবাদিকের মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও ডিলিট করা হয়।

শোভন ও রাব্বানী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ থেকে কয়েক শতাংশ চাঁদা দাবি করেছেন বলে সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এক চিঠিতে গোলাম রাব্বানী এ বিষয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে উপাচার্যের স্বামী ও ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

প্রধানমন্ত্রীকে রাব্বানী লিখেছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অভিযোগ আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। উপাচার্য ম্যামের স্বামী ও ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে কাজের ডিলিংস করে মোটা অংকের কমিশন বাণিজ্য করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ঈদুল আজহার পূর্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দেয়া হয়। এ খবর জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শুরু হয় এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য ম্যাম আমাদের স্মরণ করেন। আমরা দেখা করে আমাদের অজ্ঞাতসারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে টাকা দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তোলায় তিনি বিব্রতবোধ করেন। নেত্রী, ওই পরিস্থিতিতে আমরা কিছু কথা বলি, যা সমীচীন হয়নি। এজন্য আমরা ¶মাপ্রার্থী।

গোলাম রাব্বানীর অভিযোগ নাকচ করে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য ফারজানা ইসলাম। তিনি বলেছেন, তারা মিথ্যা গল্প ছুঁড়েছে। আমি তাদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলাম। তারা প্রমাণ করুক। এ বিষয়ে আমি তদন্ত করতে বলবো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে, মাননীয় আচার্যকে। আমি যাবো তাদের কাছে। এতে আমার কোনো সমস্যা নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App