×

আন্তর্জাতিক

কাশ্মিরে ৩৯ দিন পর বিধিনিষেধ প্রত্যাহার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:০৭ এএম

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ৩৯ দিন পর নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নিল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। খুলে দেয়া হয়েছে ফোন লাইন ও মোবাইল পরিষেবাও। কাশ্মির সরকারের জনসংযোগ ও তথ্য অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হজরতবাল এলাকায় নতুন করে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। লাদাখ ও কাশ্মিরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে বিল পাস হয়। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। সড়কগুলোতে গড়ে তোলা হয় কাঁটাতারের ব্যারিকেড। টেলিফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় অনেকেই নিজেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। কাশ্মিরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ শত শত মানুষকে আটকের কথা জানা গেলেও মোট আটকের সংখ্যা বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি ভারত সরকার। তবে ৬ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের এক পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কাশ্মিরে অভিযান শুরুর পর থেকে তিন হাজার আটশো মানুষকে আটক করা হয়েছে। তবে এসব মানুষকে কিসের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এর আগে আংশিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলেও জীবনযাত্রায় খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। দোকানপাট বন্ধই ছিল, ফাঁকা ছিল স্কুলগুলোও। সড়কগুলোতে খুব বেশি গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি। ভারত সরকারের জারি করা লকডাউনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অনেকেই। রাজনীতিকদের আটকের বিরুদ্ধেও আদালতে পিটিশন জমা পড়ে। আদালত আইনের এক শিক্ষার্থী, সিপিএমের সিতারাম ইয়েচুরি ও মেহবুবা মুফতির মেয়েকে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দিতে নির্দেশ দেয়। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের শুনানি এখনো শুরু হয়নি। এক ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এদের অনেককেই জননিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাশ্মিরের জন্য প্রণীত এই বিশেষ আইনের অধীনে বিনাবিচারে যে কাউকে দুই বছর পর্যন্ত আটক রাখা যায়। কাশ্মিরের জনসংযোগ অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, সব এলাকা থেকেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। এখন গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ল্যান্ডলাইন কাজ করছে এবং মোবাইল পরিষেবাও চালু করা হয়েছে। তবে হজরতবাল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আবারও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা জানান, হজরতবালে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর আগে থেকে বহাল নিষেধাজ্ঞা পাঁচটি থানায় বলবত রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App