দেশের শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩০ লাখ হলেও গেজেটভুক্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৫ হাজার ৭৯৫ জন। গেজেটভুক্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩২২ জন, আর খেতাব প্রাপ্ত নারী মুক্তি যোদ্ধার সংখ্যা ২জন।  বৃহষ্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।

দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪) এমপির এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

রত্না আহমেদ (মহিলা আসন-৪৩) এর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, ১৯৭১ সালে ৯ মাস ব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে সারা দেশে ৩০ লাখ গণশহীদদের চিহ্নিত করা এখনো সম্ভব হয়নি। এ লক্ষ্যে সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজ তৈরি করে বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকার বাইরে যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা থেকে থাকেন তা চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এটি সম্পন্ন হলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ সম্ভব হবে।

মন্ত্রী জানান, এ তালিকার অংশ হিসেবে বর্তমানে মোট ৫ হাজার ৭৯৫ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ঠিকানা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ তথ্য ওয়েবসাইটে রয়েছে। এরমধ্যে শহীদ বেসামরিক গেজেটভুক্ত ২ হাজার ৯২২ জন, স্বশস্ত্র বাহিনী শহীদ ১ হাজার ৬২৮, শহীদ বিজিবি ৮৩২ জন এবং শহীদ পুলিশ ৪১৩জন।

মাহফুজুর রহমানের (চট্টগ্রাম-৩) এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধীস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে ৪৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২০ হাজার সমাধীস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা হবে। তিনি জানান ৪৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সারা দেশে ২৮১ টি বধ্য ভূমি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা হবে।