এমপিওর আশায় ২৫ বছর
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৩২ এএম
আদমদীঘি উপজেলার ছাতিনগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের শিক্ষিকা প্রতিবন্ধী কোহিনুর আখতার বিউটি। তার চাকরি এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় বিগত ২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন। ফলে তিনি এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বিউটি আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রামের স্টেশনপাড়ার প্রয়াত মোতাহার হোসেনের মেয়ে। ৪ ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মানো বিউটি তার দুটি পায়ের হাঁটু নড়াচড়া করতে পারেন না। তাকে লাঠি ভর দিয়ে চলাফেরা করতে হয়।
শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হলেও তার অদম্য মেধাশক্তি দিয়ে তিনি ১৯৮৬ সালে এসএসসি, ১৯৮৯ সালে এইচএসসি এবং ১৯৯৪ সালে ডিগ্রি পাস করেন। এরপর কোথাও চাকরির চেষ্টা না করে তার মামা লুৎফর রহমান সরকারের দানকৃত জমিতে প্রতিষ্ঠিত ওই বিদ্যালয়ে ১৯৯৫ সালে জীববিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। এরপর থেকে এমপিওর আশায় তিনি বিনা বেতনে পাঠদান করে যাচ্ছেন। ২০০২ সালে প্রাথমকিভাবে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত এমপিওভুক্ত করা হলে ৬ শিক্ষক ও ৩ কর্মচারী বেতনভাতা পেতে থাকেন। তবে নবম ও দশম শ্রেণিতে এমপিও না হওয়ায় বেতন জোটেনি বিউটির ভাগ্যে।
বিউটি আক্ষেপ করে বলেন, বিগত ২৫ বছর বিনা বেতনে পাঠদান করে আসছি, আর কতদিন পাঠদান করাতে হবে জানি না। প্রতি বছর এসএসসির ফলাফল অত্যন্ত ভালো হওয়া সত্ত্বেও কেন নবম-দশম শ্রেণিতে এমপিও হচ্ছে না এটা ভাবতে অবাক লাগে।
আদমদীঘি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুল হোসেন জানান, নবম-দশম শ্রেণিতে এমপিও করার জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় অচিরেই বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হবে।