×

সাময়িকী

অসামান্য রফিক ভাই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম

অসামান্য রফিক ভাই

আমাদের দেশে জ্ঞানী-পণ্ডিতের সংখ্যা নিতান্ত স্বল্প না হলেও সমাজে জ্ঞানী, বিবেকবান, নীতিনিষ্ঠ পণ্ডিতজনের বড়ই অভাব। যাঁরা মেরুদণ্ড সোজা রেখে আজীবন চলছেন, তেমন মানুষের তো আকাল চলছে দেশে। হাতেগোনা যে দু’চারজন আছেন তাঁদেরই একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় আহমদ রফিক। যিনি আমাদের ক্ষমতার রাজনীতির কেনা-বেচার হাটে পার্থিক লোভ-লালসায় নিজেকে কখনো বিকিয়ে দেননি। বিপরীতে আমাদের শাসকগোষ্ঠীর অগণতান্ত্রিক-স্বেচ্ছাচারী এবং ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বরাবর সোচ্চার থেকেছেন। জনগণের কাতারে শামিল হয়ে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। আহমদ রফিক যিনি কারো রফিক স্যার, কারো রফিক ভাই। যাঁকে আমরা জাতীয় নানা অসময়ে-দুঃসময়ে কাছে পাই। যিনি মতাদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গিতে অটল থাকতে আমাদের প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁর চরিত্রের একটি অসামান্য দিক হচ্ছে সময়জ্ঞান। সময়জ্ঞানের ব্যত্যয়ে কাউকে তিনি ছেড়ে কথা বলেন না। রফিক ভাই ঘড়ির কাঁটা ধরে যেমন নিজে চলেন, অন্যকেও তেমনি সময়জ্ঞানে সচেতন হতে বাধ্য করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি বড্ড কঠোর। সময়টা দেশভাগের অন্তিম সময়ের। দেশভাগ এবং বাংলাভাগ প্রায় চূড়ান্ত। বাংলাভাগে উত্তাল পূর্ববাংলার সকল অঞ্চল-জনপদ। গ্রামের যুবকরা পাকিস্তান রাষ্ট্রের পক্ষে মিছিল, সভা-সমাবেশ করে মুসলমানের পৃথক রাষ্ট্রের যৌক্তিকতা তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে। স্লোগানে-স্লোগানে মুখর ধর্মভিত্তিক পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আনন্দ-উল্লাস ধ্বনি চারদিকে। তখন যুবক আহমদ রফিককে দেশভাগ-পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা মোটেও উদ্বুদ্ধ করতে পারেনি। বিপরীতে শঙ্কা-আতঙ্কে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না ধর্মের বিভাজনের সেই দেশভাগ। দেশজুড়ে সেই জনস্রোতের ভাবনার বিপরীত ভাবনাই তাঁকে ঘিরে ধরেছিল। সেই ভাবনার কেন্দ্রে ছিল মর্মান্তিক বাংলাভাগের অশুভ পরিণতির উপলব্ধি। দেশভাগে উচ্ছেদ, বিচ্ছেদ এবং উৎপাটনের শঙ্কায় তিনি উদ্বিগ্ন। পরিণতি আঁচ করতে পেয়ে শঙ্কিত। তিনি দেশভাগের উন্মাদনার কালেই দেশভাগ মেনে নিতে পারেননি। ভবিষ্যৎদ্রষ্টার ন্যায় তাঁর সেই চেতনা কতটা বাস্তবসম্মত ছিল, বাস্তবে সেটা ক্রমেই প্রকাশ পেয়েছে। পরিণত বয়সে তিনি নানা মাত্রার গবেষণার ফাঁকে লিখেছেন অসামান্য গ্রন্থ দেশবিভাগ : ফিরে দেখা। বইটি প্রথম আলোর বর্ষসেরা গ্রন্থ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। তাঁর চিন্তার অগ্রসরতা নানাভাবে নানা ক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়েছে। সনাতনী ধ্যান-ধারণার বিপরীতে সমষ্টিগত মানুষের মুক্তির ভাবনা তাঁকে মার্কসবাদী রাজনীতির প্রতি উদ্বুদ্ধ করে তোলে। আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারের মৌলিক আকাক্সক্ষাটি হচ্ছে শ্রেণি উত্তরণ, অর্থাৎ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দীক্ষা। রফিক ভাই ছাত্র হিসেবে ছিলেন খুবই মেধাবান। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সঙ্গত কারণে পরিবারের আকাক্সক্ষায় ও ইচ্ছায় তাঁকে ডাক্তারি পড়তে ভর্তি হতে হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র আহমদ রফিক জড়িয়ে পড়েন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে। ভাষা আন্দোলনে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিরূপে তিনি মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ছিলেন নেতৃত্বে। প্রত্যক্ষ ভাষা-আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ যুক্ততার কারণে একুশে ফেব্রুয়ারি-পরবর্তীতে ভাষা মতিনকে বন্দি করা হয় এবং মেডিকেল কলেজের ছাত্র আহমদ রফিকের ওপর হুলিয়া জারি হলে বাধ্য হয়ে তাঁকে আত্মগোপনে চলে যেতে হয়। প্রায় দুই বছর ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পুলিশি নজর এড়িয়ে গোপনে বসবাস করেন। সেই সময়ে চরম আর্থিক অনটনে খেয়ে না খেয়ে পরিবার-সমেত তাঁকে জীবন কাটাতে হয়েছে। যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও ছাত্রত্ব ফিরে পাওয়ার আশা পূরণ হয়নি। কিন্তু হাল ছেড়ে দেয়ার পাত্র তিনি নন। ওদিকে পরিবারের মেধাবী ছেলেটি আর ডাক্তার হতে পারলো না- এই শঙ্কায় পরিবারের মধ্যেও তীব্র হতাশা নেমে আসে। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে হুলিয়া প্রত্যাহারের পর আবার তিনি মেডিকেল কলেজের ছাত্রত্ব ফিরে পান এবং ইচ্ছা শক্তির কঠিন দৃঢ়তায় সাফল্যের সঙ্গে এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। লক্ষ্য বাস্তবায়নে তাঁর একরোখা একাগ্রতাই এ ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয়েছে। সেই দৃঢ়তায় মেরুদণ্ড সোজা রেখে তিনি জীবনভর চলেছেন। ডাক্তার হয়েও ডাক্তারি পেশায় তিনি যুক্ত হননি। করেননি সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের চাকরি কিংবা প্রাইভেট প্র্যাকটিসও। ওষুধ শিল্পের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। পরে ক’জন মিলে ওষুধ শিল্পও গড়ে তোলেন। কিন্তু সেখানেও অংশীদারদের সঙ্গে নীতিগত বিরোধে শূন্য হাতে সেখান থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। আর্থিক ক্ষতির মুখেও অংশীদারদের নীতিভ্রষ্টতাকে মেনে নিতে পারেননি, বেরিয়ে এসেছেন। সম্পূর্ণ ভিন্নতর পেশায় থেকেও তিনি সাহিত্য-সংস্কৃতি, গবেষণা এবং রাজনৈতিক মতাদর্শিতা থেকে কখনো বিচ্যুত বা বিচ্ছিন্ন থাকেননি। নাগরিক নামের পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। ভাষা আন্দোলন নিয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং নানামুখী গবেষণামূলক রচনা লিখেছেন। লিখেছেন অসংখ্য প্রবন্ধ-গবেষণা গ্রন্থ। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তাঁর গবেষণা গ্রন্থগুলো কেবল দেশে নয়, ভারতেও সমান জনপ্রিয়। ভারত থেকে সম্মাননাসহ ট্যাগোর রিসার্স ইনস্টিটিউট তাঁকে রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য উপাধি দিয়েছে। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে রবীন্দ্রজীবনী একটি খণ্ডও তিনি লিখেছেন। দুবছর পূর্বে সেটি প্রকাশিত হয়েছে এবং বাংলা একাডেমির ক্রমাগত অনুরোধে পরবর্তী আরেকটি খণ্ড এখন রচনা করছেন। লেখক-গবেষক হিসেবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় একুশে পদকসহ অসংখ্য পদক-সম্মাননা তিনি পেয়েছেন। তবে সেই পুরস্কার প্রাপ্তিতে শাসক অনুগতদের ভিড়ে তিনি হারিয়ে যাননি। নিজের স্বকীয়তা অক্ষুণ্ন রেখেই চলেছেন। কিশোর বয়সেই তাঁর চিন্তা-মনন ও দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রগতিশীল উজ্জ্বল চেতনা গড়ে উঠেছিল। সমাজের ধনবৈষম্য, শ্রেণি বিভক্তি, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনাচার এসব দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন বটে, তবে হতাশাগ্রস্ত হননি। বরং অনাচারী ব্যবস্থা থেকে মুক্তির উপায়টি তিনি সঠিকভাবে বুঝতে সক্ষম হয়ে ক্রমেই মার্কসবাদী হয়ে ওঠেন। যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। পার্টির সদস্য পদও লাভ করেন। কিন্তু অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির ওপর ক্রুশ্চেভের সংশোধনবাদী সোভিয়েত ইউনিয়নের মাত্রাতিরিক্ত খবরদারি-হস্তক্ষেপ তিনি মেনে নিতে পারেননি। আমাদের প্রেক্ষাপটকে এড়িয়ে সোভিয়েত পার্টির আদেশ-নির্দেশ পালন এবং কমিউনিস্ট পার্টির স্বাতন্ত্র্য ক্রমাগত ক্ষুণ্ন হওয়ার কারণে তিনি পার্টি ত্যাগে বাধ্য হন। তবে পার্টি ত্যাগ করলেও বিলোপবাদী হননি। আজীবন মার্কসীয় মতাদর্শকে বহন করে চলেছেন। যার প্রকাশ ঘটেছে তাঁর লেখায় এবং নানাবিধ কর্মকাণ্ডে। কর্মজীবনের ব্যস্ততা-সীমাবদ্ধতা এমনকি পারিবারিক সীমা পর্যন্ত অতিক্রম করে তিনি মার্কসবাদী চেতনায় অবিচল থাকার দৃষ্টান্ত রেখে এসেছেন। নিয়মিত গবেষণা ও জ্ঞানচর্চায় নিজেকে ঋদ্ধ করে যাচ্ছেন। জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হচ্ছে লেখালেখি, যেটি তিনি এখনো অবিরাম সচল রেখেছেন। সময়কে অপচয় না করে প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে নিজে যেমন আলোকিত হয়েছেন, তেমনি সে আলো ছড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছেন সমাজের সর্বস্তরে। এমন অসামান্য মানুষ আমাদের সমাজে সত্যিই বিরল। নিজ কর্মগুণেই তিনি সকলের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার প্রিয় রফিক স্যার-রফিক ভাই।

বয়স তাঁকে দমাতে পারেনি। তাঁর মধ্যে তারুণ্যের দীপ্তি সর্বক্ষণ বিরাজ করে। তরুণদের প্রতি তাঁর যেমন ভালোবাসা তেমনি আকর্ষণও। তরুণদের প্রতিই সর্বাধিক আস্থা-ভরসা রাখেন। তরুণরাই সমষ্টিগত মানুষের মুক্তির অধরাকে ধরায় পরিণত করতে পারবে বলে তিনি মনে করেন। তরুণদের সঙ্গে তাঁর নৈকট্য সর্বাধিক। তরুণরাই বদলাতে পারে বিদ্যমান ব্যবস্থা, তাই তরুণদের গভীর আস্থায় রাখেন। সময় সচেতনতায় অসামান্য দৃষ্টান্ত রফিক ভাই। ঘড়ির কাঁটা ধরে চলেন। সময়জ্ঞানের শিক্ষাটা তরুণদের দিতে ভোলেন না। ব্যতিক্রম হলে কাউকে ছাড়ও তিনি দেন না। রফিক ভাইয়ের সঙ্গে সময় নিয়ে আমরা বরাবরই শঙ্কায় থাকি। সময়ের হেরফেরে স্নেহপূর্ণ তিরস্কার শুনতে হয়। ব্যক্তিগত জীবনে সময়জ্ঞান, নিয়মানুবর্তিতা, নীতিনিষ্ঠ না হলে কোনো ব্যক্তিই প্রকৃত মানুষ রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন না। ব্যক্তি জীবনে মার্কসবাদী চর্চায় নিজেকে যুক্ত রাখতে না পারলে প্রকৃত মার্কসবাদীও হওয়া যায় না। রফিক ভাই কোনো মার্কসবাদী দলভুক্ত না হয়েও আজীবন মার্কসবাদী চর্চার মধ্যেই জীবন কাটিয়ে এসেছেন। রফিক ভাই অত্যন্ত সহজ-সরল প্রাণবন্ত একজন মানুষ। যেমন মানবিক তেমনই স্নেহপ্রবণ। তাঁর অতি সাধারণ জীবনযাপন আমাদের জন্য অনুকরণীয় বলেই মান্য করি। পার্থিব লোভ-লালসা, অর্থ-বিত্তের মোহ তাঁকে কখনো পথভ্রষ্ট-আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। সারাটি জীবন নির্লোভ-নির্মোহ জীবন কাটিয়ে এসেছেন। দুই যুগ পূর্বে স্ত্রী মারা গেছেন। নিঃসন্তান রফিক ভাইকে আগলে রেখেছেন দুজন নারী-পুরুষ। তারাই তাঁকে দেখভাল করেন। স্ত্রীর জীবদ্দশা থেকেই তারা দুজন তাঁদের পরিবারে যুক্ত হয়ে আছেন। ওই দুজনকে নিয়েই রফিক ভাই নিউ ইস্কাটনের ভাড়া বাসায় একটি সমতার পরিবারে বসবাস করছেন। গত মাস ছয় পূর্বে পর্যায়ক্রমে দুই চোখের অপারেশন করেছেন। একটি চোখ প্রায় অকেজো হওয়ার পথে। অন্যটি সচল থাকলেও দুর্বল। ছয় মাসের এই ক্রান্তিকালকে দৃঢ় মনোবলে সামলেছেন। চোখের সমস্যার কারণে তাঁর নিয়মিত পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটেছে। যেটি তাঁর জন্য খুবই বেদনাদায়ক। নবতিতম জন্মবার্ষিকী অতিক্রম করে একানব্বইতে পদার্পণ করছেন। বয়সের প্রভাবে স্বাভাবিক কাজ করা পূর্বের ন্যায় সম্ভব না হলেও তিনি ক্ষান্ত হননি। শারীরিক প্রতিকূলতাকে পরাস্ত করে লিখছেন, পড়ছেন, গবেষণা করছেন। শরীর ও বয়সের কাছে আত্মসমর্পণ না করে অবিচল রয়েছেন নিজ কর্মে। এখানেও তাঁর দৃঢ়চেতা মনোবলের প্রকাশ পাওয়া যায়। সময় অপচয় না করে প্রতি মুহূর্তকে কাজে-কর্মে বিনিয়োগ করে অবিরাম পড়াশোনা ও লেখালেখিতে নিয়োজিত রয়েছেন। কারো সঙ্গেই তাঁর তুলনা করা যাবে না। তিনি স্বাতন্ত্র্যরূপেই নিজের অবস্থান সুদীর্ঘকাল যাবৎ বজায় রেখে এসেছেন। সেখানে তিনি যেমন অনন্য তেমনি অসাধারণ। রফিক ভাই ডাক্তার বলে নয়, সুদূর কৈশোর থেকেই অত্যন্ত নিয়মানুবর্তিতায় জীবনযাপন করে এসেছেন। খাদ্যাভ্যাস হতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই খুবই পরিমিত তাঁর জীবনাচার। পরিণত বয়সেও তারুণ্যে ভাটা পড়েনি। বার্ধক্যজনিত রোগভোগ পোহাতে হয়। কিন্তু এতে তাঁর কর্মস্পৃহা কখনো থেমে থাকেনি। নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন, করে যাচ্ছেন গবেষণা। পড়াশোনাও নিয়মিত করছেন। জাতীয় ক্রান্তিলগ্নে প্রতিবাদীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন। গত ২০১৭ সালটি ছিল অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ। বিশ্বব্যাপী অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উদযাপিত হয়েছে। আমাদের দেশেও সব বামপন্থি দলসমূহের সমন্বয়ে জাতীয়ভাবে উদযাপিত হয়েছে। অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটির তিনি এবং অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী যুগ্মভাবে আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া রফিক ভাই রবীন্দ্রনাথ ও বাংলা ভাষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে গড়ে তুলেছিলেন অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান। অন্যদের অসহযোগিতায় সেগুলোকে তাঁর একার পক্ষে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আমাদের সকলের অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রিয় ব্যক্তিত্ব রফিক ভাইয়ের ৯১তম জন্মদিনে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অফুরন্ত ভালোবাসা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App