আমতলী ও তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আমতলী ও তালতলী উপজেলাবাসী। এ দুটি উপজেলার ৫ লাখ মানুষের জন্য হাসপাতালে চিকিৎসক আছেন মাত্র ৫ জন। এতে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ রোগীরা। বিশেষ করে বৃদ্ধ, গর্ভবতী মহিলা ও শিশু রোগীদের নিয়ে অভিভাবকরা বেশি সমস্যায় পড়ছেন। আমতলী হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২১টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক আছেন মাত্র ৪ জন। তারা হলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন, ডা. শাকিলা পারভীন ও ডা. ইমদাদুল হক চৌধুরী। বাকি ১৭টি পদের মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট- শিশু, কার্ডিয়াক, অর্থোপেটিক্স, চক্ষু, ইএনটি, স্কিন, এনেসথেসিয়া, প্যাথলজিস্ট, গাইনি, মেডিসিন, মেডিকেল অফিসার, সহকারী সার্জন এমও, ইএমও, প্যাথলজিস্ট, আইএমও, এনেসথেশিয়া, ইউনানি (নবসৃষ্ট) ও ডেন্টাল সার্জন পদগুলো দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ডেন্টাল সার্জন ডা. শেখ রাকিবুল আলম প্রেষণে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রয়েছেন প্রায় ৯ মাস। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম শ্রেণির মঞ্জুরকৃত ১৫ জন চিকিৎসকের মধ্যে আছে মাত্র ৪ জন। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে বর্তমানে ৪ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে ৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা। এর মধ্যে ডা. শাহাদৎ হোসেন ৬ সেপ্টেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় পা ভেঙে এখন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখন ৩ জন চিকিৎসক হাসপাতালে থাকলেও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী হাসপাতালে কোনো রোগী দেখেন না। এখন মূলত হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দেন ডা. শাকিলা পারভীন ও ডা. ইমদাদুল হক চৌধুরী। এ ছাড়া আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন তালতলী ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসকের ৬টি পদ রয়েছে। একজন মেডিকেল অফিসার ছাড়া বাকি ৫টি চিকিৎসকের পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। অপরদিকে কুকুয়া ইউনিয়নে ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ২টি চিকিৎসকের পদ থাকলেও একটি পদেও চিকিৎসক নেই। ৩টি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেই কোনো এমবিবিএস ডাক্তার। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় আমরা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।