সম্পর্কটা বন্ধুত্বের
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:৪৩ পিএম
অমিত হাসান-শাবনূর, দুই পরিবারের দু’জন মানুষ হলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা দু’জনই চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্য, আবার দু’জনের মধ্যে শুরু থেকেই পারিবারিক সম্পর্কটা বেশ দৃঢ়। অমিত হাসানের দুই কন্যা লামিসা ও নামিরাকেও শাবনূর খুব স্নেহ করেন, ভালোবাসেন। আবার শাবনূরের একমাত্র ছেলে আইজেনকে অমিত ও তার স্ত্রী লাবণী ভীষণ আদর করেন। এই যে দুটো ভিন্ন পরিবারের পারস্পরিক ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধাবোধের আদান প্রদান এটা শুরু থেকেই ছিলো বলে জানান শাবনূর। শাবনূর বলেন,‘ আমি যখন থেকে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেছি তখন থেকে কীভাবে যেন আমি আর অমিত একই এলাকার বাসিন্দা হয়েই থেকেছি। আমার বিপদে আপদে অমিত, অমিতের স্ত্রী লাবনী আমার পাশে এসে দাঁড়ায় সবসময়। অনুরূপভাবে অমিত বা লাবনী কোন কাজে আমাকে ফোন করলে আমি পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমি অমিত সহশিল্পী বা ভালো বন্ধু, তার বাইরে আমি মনেকরি আমরা একই পরিবারের। এই একই পরিবারের হয়ে উঠাটা কিন্তু একদিনের নয়। বলা যায় প্রায় দুই যুগের। দুই যুগ টা বলা হয়তো খুব সহজ। কিন্তু সময়টা পেরিয়ে আসা, সর্ম্পকটা লালন করে এগিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জিং। আবার এটাও সত্য আন্তরিক হলেই তা সম্ভব। আমার এবং অমিতের পরিবারের মধ্যে সেই আন্তরিকতাটা আছে।’ অমিত হাসান বলেন,‘ শাবনূর আমার খুব ভালো বন্ধু, তবে আমার চেয়ে আমার স্ত্রী লাবনীই শাবনূরের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ। তার অনেক কথা আমার চেয়ে আমার স্ত্রীর কাছে শাবনূর শেয়ার করে বেশি। আমরা সুখে দুঃখে একে অন্যের পাশে থাকি।’
এদিকে আজ অমিত হাসানের জন্মদিন। সপরিবারে ভারতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন অমিত। শাবনূরের সঙ্গে জুটি হয়ে অমিত হাসান প্রথম অভিনয় করেন এহতেশাম পরিচালিত ‘সৈনিক’ চলচ্চিত্রে। এরপর তাদের দু’জনকে দেখা গেছে আবিদ হাসান বাদলের ‘আত্মসাৎ’,‘বিদ্রোহী প্রেমিক’, ‘পাগলীর প্রেম’, ‘তুমি শুধু তুমি’, মোতালেব হোসেনের ‘স্ত্রী হত্যা’, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ‘চিরঋণী’, শিল্পী চক্রবর্তীর ‘উজান ভাটি’,‘বিনি সুতার মালা’, ওয়াকিল আহমেদ’র ‘ভুলোনা আমায়’, শাহআলম কিরণের ‘শেষ ঠিকানা’, শিল্পী চক্রবর্তীর ‘তোমার জন্য পাগল’। শাবনূর প্রসঙ্গে অমিত হাসান বলেন,‘ একজন মানুষ হিসেবে শাবনূর খুউব ভালো মনের একজন মানুষ। তার রয়েছে শিশু সুলভ এক মন। আর একজন আর্টিস্ট হিসেবে সুপার ট্যালেন্টেড একজন আর্টিস্ট-এটা আসলে বলার অপেক্ষা রাখেনা। একজন সহশিল্পী হিসেবে দারুণ সহযোগিতা পরায়ণ একজন শিল্পী। তারসঙ্গে করা প্রতিটি চলচ্চিত্রই আমার জন্য ছিলো অনেক ভালোলাগার। প্রতিটি চলচ্চিত্রের জন্য এখনো সাড়া পাই।’ শাবনূর বলেন,‘ অমিত আমাার চলচ্চিত্রের বন্ধু, পারিবারিক বন্ধু। যখন থেকে অমিতের সঙ্গে কাজ করি তখন থেকেই আমার সঙ্গে তার খুব ভালো বন্ধুত্ব। দেখা যেতো যে আমরা যেকোন বিষয় নিয়ে সেট এ ঝগড়া করেছি, আবার কিছুক্ষণ পর মিলেও গেছি। অমিত খুব ভালো একজন অভিনেতা, সহশিল্পী হিসেবে সময়টাকে উপভোগ্য করে তোলার মতো একজন সত্যিকারের বন্ধু। ’