সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আগামী ৩০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য এ আর আহমদ সেলিম জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাপায় যোগ দেন। জাপাকে দেশের বড় তিনটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম হিসেবে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি পার্টির গঠনতন্ত্র এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় চলছে। বিভেদের অবকাশ নেই। বিভ্রান্তি বা বিশৃঙ্খলার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, কাউন্সিলে দলের নেতা-কর্মীরাই জাতীয় পার্টির আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। নেতা-কর্মীদের সিদ্ধান্তই আমি মেনে নেবো। পদ-পদবী বা ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের জন্য আমি রাজনীতি করিনা। দেশ, দেশের মানুষ ও পার্টির জন্য আমাদের রাজনীতি। কোনো লোভ-লালসার জন্য আমাদের রাজনীতি নয়। সভাপতির বক্তব্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জাতীয় পার্টির ওপরে বারবার আঘাত এসেছে। নানা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই পার্টি এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক পল্লীবন্ধু তাঁর অবর্তমানে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছেন। এটা গঠনতন্ত্র মোতাবেকই হয়েছে। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বেগম রওশন এরশাদ আমাদের মায়ের মতো। তিনি আমাদের অভিভাবক। আমরা বিশ্বাস করি কিছু মানুষের পরামর্শে বেগম রওশন এরশাদকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। বেগম রওশন এরশাদ অবশ্যই অনুধাবন করবেন এবং জাতীয় পার্টির এগিয়ে চলার রাজনীতিতে আমাদের অভিভাবক হয়েই থাকবেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান এইচএনএম. শফিকুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু প্রমুখ। দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদের উপস্থাপনায় যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভ রায়, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, আলমগীর সিকদার লোটন, নাজমা আখতার এমপি, মেজর অব. রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, উপদেষ্টা মো. নোমান, ড. নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান-সরদার শাহজাহান, মো. দেওয়ান আলী, আহসান আদেলুর রহমান এমপি প্রমুখ।