ভক্তের কাণ্ডে অবাক সাকিব
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৫৯ পিএম
মাঠে প্রবেশ করে সাকিব আল হাসানকে ফুল উপহার দিচ্ছেন এক ভক্ত
বিশ্বকাপ আসর শেষে ছুটিতে ছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে মাঠে ফিরেছেন তিনি। তবে শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অভাবনীয় এক দৃশ্য দেখলেন সাকিব। কারণ টাইগার টেস্ট দলপতিকে উপহার হিসেবে ছোট্ট একটি ফুলের তোড়া উপহার দিতে মাঠে প্রবেশ করেন এক ভক্ত।
পরে জানা গেছে ফয়সাল নামের ২২ বছর বয়সী এ ভক্ত চট্টগ্রাম শহরের এনায়েত বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি একজন ফুল বিক্রেতা। তবে ভক্তের এমন কা-ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় সাকিব যেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না।
শুক্রবার প্রতিপক্ষ অধিনায়ক রশিদ খানকে আউট করার পরিকল্পনা নিয়ে নিজের প্রথম ওভার বল করছিল সাকিব। তিন বল করার পরই থেমে যেতে হয় তাকে। কেননা, ইস্টার্ন গ্যালারির কাঁটা তারের বেড়া টপকে মাঠের মধ্যে ঢুকে যান এক দর্শক। দৌড়ে সাকিবের কাছে গিয়ে স্যালুট দিয়ে হাঁটু গেড়ে ফুল বাড়িয়ে ধরলেন। সাকিব গ্রহণ করলেন তার উপহার। এরপর সাবিককে জড়িয়ে ধরতে চাইলেন ফয়সাল নামের সেই ভক্ত। কিন্তু নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে এড়িয়ে যেতে চান সাকিব। তখনো দেখা নেই মাঠের কোনো নিরাপত্তা কর্মীর। তবে ভক্তের বারবার অনুরোধে সাকিব তাকে জড়িয়ে ধরেছেন কিছুক্ষণের জন্য। এরপর ২-৩ জন নিরাপত্তা কর্মী এসে ওই দর্শককে টেনে মাঠের বাইরে নিয়ে যান । তারপর ফয়সালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায় বিসিবির নিরাপত্তা কর্মীরা। সন্দেহজনক মনে হওয়াতে তার দেহ তল্লাশি করলেও মানিব্যাগে একশ টাকা ছাড়া আর কিছুই পাননি তারা। এমন কর্মকাণ্ডের পর পাহাড়তলী থানায় সাকিব ভক্তের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছে পুলিশ। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) হোসেন ইমাম।
তিনি জানান, গ্যালারিতে দায়িত্ব পালনরত সেই এসআইকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে, এ মুহূর্তে ফয়সাল পাহাড়তলী থানায় রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছি না আমরা। হয়তো কিছু ঘাটতি ছিল, পরবর্তী দিন থেকে এ ব্যাপারে আমরা সচেতন থাকব। এ ছাড়া পূর্ব গ্যালারিতে দায়িত্ব পালন করা এসআইকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
নিজের কৃতকর্মের ভুল বুঝতে পেরে বেশ অনুশোচনায় আছেন ফয়সাল। তবে নিরাপত্তাবলয় ভঙ্গটা যে অপরাধ ছিল তা স্বীকার করেছেন তিনি।