ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের দলবদল শেষ হয়েছে। আর এবারের দলবদলে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার নেইমারকে নিয়ে। সময়ের সবচেয়ে দামি ফুটবলার পিএসজিতেই থাকছেন নাকি ফরাসি ক্লাবটি ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা কিংবা রিয়াল মাদ্রিদে তা নিয়েই গত দুই মাস কৌতূহল ছিল সবার মনে। এই সময়ে কোনো সুন্দরীর সঙ্গে নেইমারের প্রণয়ের খবর গণমাধ্যমে উঠে আসেনি। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিজেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেননি লাস্যময়ী কোনো মডেল কন্যার সঙ্গে তোলা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি। তাহলে কি এখন সঙ্গীহীন জীবন কাটাচ্ছেন নেইমার- অনেক ফুটবলপ্রেমীর মনে জেগেছে এমন প্রশ্ন। তবে নেইমারের অতীত বলছে এত দীর্ঘসময় একাকী জীবন কাটানোর মতো মানুষ তিনি নয়।

কেননা নেইমার ফুটবল মাঠে যেমন দুর্দান্ত তেমনি মাঠের বাইরের পারফরমেন্সেও তুলনাহীন। বিশেষ করে সুন্দরী নারীদের মন জয় করার ক্ষেত্রে। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের ফাঁকি দেয়ার মতো রমণীদের সঙ্গে প্রণয়ে জড়াতেও ওস্তাদ তিনি। ২০১১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ জন সুন্দরীর সঙ্গে প্রণয়ে জড়িয়েছেন নেইমার। এসব নারীর সঙ্গে নেইমারের অন্তরঙ্গ অবস্থায় তোলা ছবিও প্রকাশ পেয়েছে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এজন্যই অনেকে বলেন, নেইমার ফুটবল এবং নারীদের মন জয় করা উভয় ক্ষেত্রেই সমান পারদর্শী।

[caption id="attachment_160886" align="alignnone" width="700"] প্রথম প্রেমিকা ক্যারোলিনা ডান্তাসের সঙ্গে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার[/caption]

নেইমারের প্রথম প্রেমিকার নাম ক্যারোলিনা ডান্তাস। কৈশোরেই ব্রাজিলিয়ান এই সুন্দরীর সঙ্গে প্রণয়ে জড়ান তিনি। সেই প্রেম কেবল পার্কে ঘুরে বেড়ানো কিংবা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ-ডিনার করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, পৌঁছে গিয়েছিল বেডরুম পর্যন্ত। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের একমাত্র সন্তান ডাভিড লুকার মা আর কেউ নন, ক্যারোলিনা ডান্তাসই। তবে ক্যারোলিনার সঙ্গে গড়ে উঠা কৈশোরের সেই প্রেম বেশিদিন টিকেনি।

২০১০ সালের শুরুর দিকে ব্রাজিলিয়ান মডেল ব্রনো মার্কুজেনের সঙ্গে প্রণয়ে জড়ান নেইমার। কিন্তু সেলেসাও ফরোয়ার্ড নিজ দেশের ক্লাব সান্তোস ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার পর তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ তৈরি হয়। আর এই বিচ্ছেদের কারণ ছিল দূরত্ব। কয়েকবছর আগে ব্রাজিলিয়ান একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় মার্কুজেন নিজেই একথা জানিয়েছেন।

ব্রুনো মার্কুজেন এবং ক্যারোলিনা ডান্তাস ছাড়াও নেইমার বিভিন্ন সময়ে আরো অনেক সুন্দরীর সঙ্গে প্রণয়ে জড়িয়েছেন। ২০১১ সালে নেইমার প্রেম করেছেন তিনজন সুন্দরীর সঙ্গে। এরা হলেন- ব্রাজিলিয়ান অভিনেত্রী আড্রসা সুইটা, ব্রাজিলিয়ান মডেল নিকোল বাহিস এবং ব্রাজিলিয়ান মডেল ও অভিনেত্রী ক্যারোল আব্রান্সেস।

২০১২ সালে নেইমার প্রেম করেছেন ব্রাজিলিয়ান রিয়েলিটি শো তারকা মারিয়া কার্দি, ব্রাজিলিয়ান টেলিভিশন উপস্থাপিকা ক্যারোল বেল্লি, ব্রাজিলিয়ান ড্যান্সার রবের্টা আপরাত্তি এবং ব্রাজিলিয়ান মডেল ডানি স্পার্লের সঙ্গে।

[caption id="attachment_160890" align="alignnone" width="700"] প্রেমিকা ব্রুনো মার্কুজেনের সঙ্গে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার[/caption]

এরপর ২০১৩ সালে নেইমার যাদের সঙ্গে প্রণয়ে জড়িয়েছিলেন সেসব সুন্দরীরা হলেন- ব্রাজিলিয়ান মডেল ল্যারিসা অলিভিয়েরা, ব্রাজিলিয়ান মডেল ও অভিনেত্রী প্যাট্রিকা জর্ডান এবং ব্রাজিলিয়ান গায়িকা আনিত্তা।

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দামী এ ফুটবলার ২০১৪ সালে প্রেম করেছেন সার্বিয়ান মডেল সুরাজা বুচেলিচ এবং ব্রাজিলিয়ান অভিনেত্রী গ্যাব্রিয়েলা লেঞ্জির সঙ্গে। ২০১৫ সালে নেইমার প্রণয়ে জড়িয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান অভিনেত্রী থাইলা আয়ালা, ব্রাজিলিয়ান মডেল জেন্নি আনড্রেড এবং স্প্যানিশ সুন্দরী এলিজাবেথ মার্টিনেজের সঙ্গে। ২০১৬ সালে অবশ্য নতুন করে কোন রমণীর সঙ্গে প্রণয়ে জড়াননি নেইমার। তবে ২০১৭ সালে ব্রাজিলিয়ান মডেল ক্যারোলিন কাপোটোর সঙ্গে কিছুদিন প্রেম করেছেন পিএসজি তারকা।

পাঠকদের প্রশ্ন জাগতে পারে নেইমার এখন কোন সুন্দরীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন? উত্তরটা শোনে হয়তো অনেকেই চমকে উঠতে পারেন। এত নারীর সঙ্গে প্রেম করা নেইমার এখন মজে আছেন মার্কুজেনের প্রেমে। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রাক্তন এই প্রেমিকার কাছে ফেরেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। ইনজুরির কারণে গত মৌসুমের অধিকাংশ সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল নেইমারকে। আর ওই সময় তাকে সময় দেন মার্কুজেন। দুজনকে একসঙ্গে জনসচেতনতামূলত বিভিন্ন অনুষ্টানে অংশ নিতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া পার্টিতে নেইমার-মার্কুজেনের প্রকাশ্যে চুম্বনে জড়ানোর দৃশ্যও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।