×

জাতীয়

শুধু বাবার নাম ভুল থাকায়....

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:২০ পিএম

শুধু বাবার নাম ভুল থাকায়....

মোটরসাইকেল মেকানিক কামাল হোসেন

এবার ভুল ব্যক্তিকে আসামি ভেবে হয়রানি ও কারাগারে পাঠানোর চেষ্টার অভিযোগে রাজধানীতে ২ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুধু বাবার নাম মিল থাকায় মোটর মেকানিক মো. কামাল হোসেনকে আটক করে মোহাম্মদপুর থানার দুই পুলিশ সদস্য। এ সময় তার কাছ থেকে উৎকোচও দাবি করা হয়। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ২ উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে জাহালামের মতো ভুক্তভোগী হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান কামাল হোসেন।

এ বিষয়ে তেজগাঁও অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ওহিদুল ইসলাম জানান, আসামী হিসাবে ভুল ব্যক্তিকে আটক ও হয়রানির অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার এএসআই জাকারিয়া এবং এসআই আলমগীরকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে ডিসি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ আগস্ট (শুক্রবার) বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার শ্যামলী রিং রোডের বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গলিতে তল্লাশির সময় এএসআই জাকারিয়া তাকে আটক করেন। সে সময় ভোটার আইডি দেখালেও ওই কর্মকর্তা জানায় তার নামে থানায় ২০০৯ সালের একটি মাদক মামলা রয়েছে। এএসআই জাকারিয়ার মোবাইলে তাকে এই সংক্রান্ত মামলার আসামির বিরুদ্ধে কথিত গ্রেপ্তারী পরোয়ানার একটি ছবি দেখিয়ে তৎক্ষনাত আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরে যাচাই-বাছাইকালে পুলিশ সদস্যরা জানতে পারে, যার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে সেই ব্যক্তি ও আটক হওয়া কামাল হোসেন এক ব্যক্তি নয়। নিজের নাম ও বাবার নাম মিল থাকলেও ওয়ারেন্ট ইস্যুকৃত ব্যক্তির মায়ের নাম, জন্মসন, এলাকার ঠিকানা ও পেশার কোন মিল নেই। শুধু এটাই নয়, এখন পর্যন্ত কামালের নামে কোন মামলা এমনকি জিডিও নেই। আসল আসামির সঙ্গে তার শুধু বাবার নাম মিল রয়েছে। বিভিন্ন ধরণের প্রমাণ তথ্য উপাত্ত যাচাই পরবর্তীকালে ওসির অনুমতি নিয়ে ওইদিনই থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় ভুক্তভোগী কামালকে।

অন্যদিকে আরেকজন এএসআই আলমগীর, থানায় যিনি জাকারিয়ার বন্ধু বলে নিজের পরিচয় দেয় ভিক্টিমের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে উৎকোচ দাবি ও আদায়ের চেষ্টা করে। গত রবিবার এএসআই আলমগীর কামালের দোকানে এসে তাকে আবারো খুঁজেও যান। এরপর তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কামালকে আশ্বাস দেন, মামলার ভোগান্তি থেকে অব্যাহতি পেতে চাইলে তাকে কিছু খরচ দিয়ে খুশি করতে হবে। অন্যথায় ভোগান্তিসহ জেল জরিমানার ভয়ভীতি দেখান তিনি। পরে ভুক্তভোগী এক গণমাধ্যমকর্মীকে বিষয়টি জানালে ডিএমপির যুগ্ন-কমিশনার শেখ নাজমুল আলমের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় এই কর্মকর্তা ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্টদের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App