×

সাময়িকী

নজরুলের বাংলাদেশ ভ্রমণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০১৯, ০৭:০৭ পিএম

নজরুলের বাংলাদেশ ভ্রমণ

“এই ময়মনসিংহ জেলার কাছে আমি অশেষ ঋণে ঋণী। আমার বাল্যকালে অনেকগুলি দিন ইহারই বুকে কাটিয়া গিয়াছে। এখানে থাকিয়া আমি কিছুদিন লেখাপড়া করিয়া গিয়াছি। আজও আমার মনে সেই সব প্রিয় স্মৃতি উজ্জ্বল ভাস্বর হইয়া জ্বলিতেছে। বড় আশা করিয়াছিলাম আমার সেই শৈশব-চেনা ভূমির পবিত্র মাটি মাথায় লইয়া ধন্য হইব, উদার হৃদয় ময়মনসিংহ জেলাবাসীর প্রাণের পরশমণির স্পর্শে আমার লৌহপ্রাণকে কাঞ্চনময় করিয়া তুলিব। কিন্তু তাহা হইল না- দূরদৃষ্ট আমার।”

কবি নজরুলের জন্মস্থান বর্ধমানের চুরুলিয়ার প্রকৃতি রুক্ষ, শুষ্ক, বৈরী। কিন্তু বাংলাদেশ? ঠিক তার উল্টো। সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা এই বাংলাদেশই শেষ পর্যন্ত হয়ে গেল কবির চিরদিনের ঠিকানা। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশে জন্মাননি ঠিকই, কিন্তু জীবনে-মরণে এই দেশ হয়ে আছে তাঁর সত্তার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য। বাংলাদেশের জাতীয় কবি তিনি। সেই কৈশোর থেকে দফায় দফায় এই দেশে তাঁর আগমন ঘটেছে, অবস্থান করেছেন তিনি। চিরনিদ্রায় তিনি শায়িত আছেন এই বাংলাদেশেরই মাটিতে। আপন গানের চরণে আকুল-মরমি এক আকাক্সক্ষা তিনি ব্যক্ত করে গিয়েছিলেন, ‘মসজিদের পাশে আমায় কবর দিও ভাই।’ তা-ই হয়েছে শেষ পর্যন্ত। কবির হৃদয়ে গেঁথে ছিল শ্যামল বাংলার মানুষ, প্রকৃতি। তাঁর রচনার সোনালি সম্ভারে সেই শৈল্পিক প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই। একটি দুটি নয়, বহু কবিতায়, গল্পে, গানে, উপন্যাসে, বক্তৃতায়, স্মৃতিচারণে। কবির দু’দুটি বিবাহও হয়েছে এই বাংলাদেশেই। প্রথম তিনি যখন বাংলাদেশে আসেন, তখন নিতান্তই কিশোর তিনি। বয়স ১৫ বছর। কাজী রফিজউল্লাহ দারোগার আশ্রয়ে ছিলেন ময়মনসিংহের কাজীর সিমলা গ্রামে। ভর্তি হয়েছিলেন দরিরামপুর হাইস্কুলে। কবির কর্মময় জীবন হচ্ছে মাত্র ২৮ বছরের, ১৯১৪ থেকে ১৯৪২। বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় একটানা তিনি কখনো থাকেননি বটে, কিন্তু এই দেশটির নাড়ির সঙ্গে, আত্মার সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ এবং অনন্য আত্মীয়তা ছিল বরাবরই। নানা উপলক্ষে এসেছেন বাংলাদেশে। কখনোবা শুধুই বেড়ানোর জন্য, আবার কখনো কর্ম উপলক্ষে, কখনো সভা-সমিতিতে যোগ দিতে। এমনকি নির্বাচনে লড়তেও এসেছেন ঢাকায়। নির্বাচনে জয় শেষ অবধি পাননি, জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সে অবশ্য আলাদা প্রসঙ্গ। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে কবিকে একবার আমন্ত্রণ জানানো হলো ময়মনসিংহে। সেই সম্মেলনে যোগ দেয়া সম্ভবপর হয়নি তাঁর পক্ষে। আহ্বানে সাড়া দিতে অপারগ হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম লেখেন, “এই ময়মনসিংহ জেলার কাছে আমি অশেষ ঋণে ঋণী। আমার বাল্যকালে অনেকগুলি দিন ইহারই বুকে কাটিয়া গিয়াছে। এখানে থাকিয়া আমি কিছুদিন লেখাপড়া করিয়া গিয়াছি। আজও আমার মনে সেই সব প্রিয় স্মৃতি উজ্জ্বল ভাস্বর হইয়া জ্বলিতেছে। বড় আশা করিয়াছিলাম আমার সেই শৈশব-চেনা ভূমির পবিত্র মাটি মাথায় লইয়া ধন্য হইব, উদার হৃদয় ময়মনসিংহ জেলাবাসীর প্রাণের পরশমণির স্পর্শে আমার লৌহপ্রাণকে কাঞ্চনময় করিয়া তুলিব। কিন্তু তাহা হইল না- দূরদৃষ্ট আমার।” স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় কেটেছে কবির জীবনের শেষ ক’টি বছর। সবাই জানেন, তাঁর অন্তিম শয়ানও এই ঢাকার বুকেই হয়েছে। এই নিবন্ধে ঢাকা নয়, বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে কবির সফরের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাতের চেষ্টা করা হয়েছে। রাজশাহীতে কাজী নজরুল ইসলাম এলেন ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে। উপলক্ষ রাজশাহী মুসলিম ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান এবং কবি সংবর্ধনা। কলকাতা থেকে নাটোরে কবি এলেন ট্রেনে। তারপর রাজশাহী। তাঁকে রাখা হলো ‘চৌধুরীর দালানে’, ছাত্রদের মেসে। আমন্ত্রণকারীরা এতে বিব্রত বোধ করেন। কিন্তু কবি বললেন যে, তিনি ছাত্র ও তরুণদের ভালোবাসেন। সুতরাং তাদের সঙ্গে বাস করতে তিনি পছন্দ করেন। ছাত্রদের তিনি বলেন, আমি একটু দেরিতে ঘুমাই, তোমাদের অসুবিধা হবে না তো? ছাত্ররা চটপট জবাব দেয়, না। আমরা তো আপনার জন্য একটা বড় কামরাই ছেড়ে দিয়েছি। গানের জলসা, বক্তৃতা, সংবর্ধনা- নানামাত্রিক আয়োজন হলো কবির রাজশাহী আগমন উপলক্ষে। রাজশাহী টাউন হলে (অলকা সিনেমা হল) অনুষ্ঠিত হলো সংবর্ধনা। জবাবে কবি বলেন, “... আপনারা আমাকে ভালোবাসেন, আপনারা আমার বন্ধু, হিতাকাক্সক্ষী, গুরুজন। আপনাদের হৃদয়ে আমার জন্যে এত ভালোবাসা সঞ্চিত আছে তা দূর থেকে বুঝতে পারা কঠিন। আপনারা আমাকে ভালোবাসার ফুল আর আনন্দের সওগাত দিয়ে অভিনন্দিত করলেন, তা আমাকে অভিভূত করেছে। আমি যেন দেশ ও দশের জন্যে, ভাই-বোনদের জন্যে রস-সমৃদ্ধ কাব্য লিখতে পারি, ভরে তুলতে পারি সবার প্রাণ-মন আনন্দে, প্রীতিতে।” সংবর্ধনা পর্বের পর জলসা। একের পর এক কবিতা আবৃত্তি করেন কবি। বসে সঙ্গীতের আসর। স্থানীয় কয়েকজন শিল্পী কবির লেখা গান পরিবেশন করেন। এরপর কবি নিজেই গাইলেন। একটি দুটি নয়। অনেক, অনেকগুলো গান। ‘রাজশাহীতে নজরুল’ শিরোনামে গোলাম সাকলায়েন লিখছেন, “কবি নজরুল দিনরাত ২৪ ঘণ্টায় ২৫/৩০ বার চা পান করতেন। প্রচুর পান খেতেন। ভাত-মাছ-মাংস খেতেন অল্প পরিমাণে। আর একটা ব্যাপার লক্ষ করা গেছে। এটা কারো কারো কাছে হাসির ব্যাপার বলে মনে হতে পারে বটে তবে যেহেতু কবি স্বয়ং এ বিষয়ে নিজের অভ্যাসের কথা ব্যক্ত করেছিলেন তাই সবিনয়ে কথাটি আমি নিবেদন করতে চাই। সেটা হলো এই : কবি গোসল করতে বাথরুমে ঢুকতেন এবং কমপক্ষে এক ঘণ্টা কাটাতেন। বাথরুম থেকে বের হয়েই কাগজ কলম নিয়ে বসে যেতেন। তিনি বলতেন, বাথরুমে চিন্তা-ভাবনার অবকাশ পাওয়া যায়, কাজেই প্রয়োজন মতো সময় ব্যয় করা চলে। স্নানাগার থেকে বেরিয়ে এসেই কবি লিখতে বসে যেতেন এবং হারমোনিয়াম খুঁজতেন। তিনি এভাবে গান লিখতেন এবং সাথে সাথে সুরারোপ করতেন। যে ক’টা জিনিস না হলে কবির চলতো না, সেগুলো হলো চা, পান, খাতা-কলম ও হারমোনিয়াম। লেখার এ উপকরণগুলো পেলে কবির লেখা সহজেই স্ফূর্তি পেতো। মানুষের কোলাহলই বলুন আর নির্জনতাই বলুন কবির লেখার ব্যাপারে কোনো অন্তরায় সৃষ্টি হতো না। এ এক অদ্ভুত ব্যাপার। অথচ কবির পক্ষে তাই অতি সত্য।” বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছেন নজরুল। মুগ্ধ হয়েছেন। সেই মুগ্ধতা শৈল্পিক রূপ লাভ করেছে তাঁর সৃষ্টিসম্ভারে। সিলেটে এসেছিলেন ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময়ে আয়োজন করা হয়েছিল প্রাদেশিক মুসলিম স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের কনফারেন্সের। এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, কাজী নজরুল ইসলাম ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে। নজরুলের সিলেট সফর নিয়ে মজার স্মৃতিচারণ করেছেন দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ। ‘সিলেটে নজরুল’ শীর্ষক একটি রচনায় তিনি সেই সফরের খুঁটিনাটি বর্ণনা দিয়েছেন। সামান্য উদ্ধৃতি সেই লেখা থেকে-

“... মকবুল হোসেন সাহেব ও আমি একটা ট্যাক্সি করে নজরুল ইসলামকে নিয়ে গেলাম দরগা মহল্লায়, তাঁর বাসায়। তখন বেলা বোধহয় আটটা। সকালে কিছুই খাইনি। পেটে বেশ ক্ষুধার তাড়না হয়েছে। নজরুল ইসলাম হাত মুখ না ধুয়ে আবার কিছুই খাবেন না। তাঁর জন্য সকলকেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তিনি তাঁর এ সমরসজ্জা ত্যাগ করে ধুতি পরে নিলেন। কোট ছেড়ে সাদা নিমা পরেই বাথরুমে গেলেন। তবে বেশ দেরি হতে লাগলো। সকলে তো বিস্ময়ে অবাক। শেষে কি বাথরুমে যেয়ে শুয়ে পড়েছেন। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে বেরিয়ে এলেন। মুখে স্মিত হাসি। মকবুল হোসেন ঠাট্টা করে বললেন : ‘কী! কাজী সাহেবের রাত্রে বোধহয় ঘুম হয়নি তাই বুঝি বাথরুমে যেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন?’ হাসিতে ফেটে পড়ে নজরুল বলেন, ‘তা নয়। এই দেখুন একটা গান রচনা করেছি। গানটি পদ্মার বুকেই আমায় চেপে ধরেছিল। তখনই লিখতাম, তবে জাহাজে এত লোক আমাকে দেখার জন্য এসে ভিড় করে যে, আমার পক্ষে এক লাইনও লেখার অবসর ছিল না। এখন নাস্তা খাওয়া হবে। মুরগি মুসল্লাম, পরোটা ফালুদা রয়েছে প্রচুর; তারপরে চা তো আছেই। নজরুল কিন্তু একটু একটু মুসল্লাম ও পরোটা খেয়ে, কেবল কাপের উপর কাপ চা খেয়েই চললেন। এক কাপ শেষ করেই পান খান। মুখের পান শেষ হলেই আবার চা পানে মনোনিবেশ করেন।” ওই একই দিন বিকেলে স্থানীয় রাজা গিরিশচন্দ্র উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে সভা। তখন পূজার ছুটি চলছে। নজরুল এসেছেন। এই খবরে স্কুলের প্যান্ডেলে এসে ভিড় করেছেন অসংখ্য মানুষ। শুধু মধ্যবিত্ত সমাজের লোকজনই নন, সাধারণ মানুষও এসে জড়ো হয়েছেন। কবিকে দেখবেন। শুনবেন তাঁর গান। দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ সে দিনের অনুষ্ঠানের সরস, মনোগ্রাহী বর্ণনা দিচ্ছেন এইভাবে- “...সে দিন নজরুল ইসলামের পরিধানেও ছিল সুন্দর পোশাক। আলীগড় প্যাটার্নের পায়জামা তার ওপর আসমানি রঙের সিল্কের পাঞ্জাবি। খোদাদাদ্ ঝাঁকড়া মাথার চুল তো আছেই। প্রকাণ্ড ডায়েসের ওপর তাঁকে নিয়ে বসানো হলো। সামনে একটা হারমোনিয়াম, গান করবেন। এক মৌলবি সাহেব প্রশ্ন তুললেন, ‘গান গাওয়া জায়েজ কিনা?’ নজরুল কোনো উত্তর দেয়ার আগেই শেরে বাংলা জওয়াব দিলেন : ‘গান গাওয়া গায়কের নিয়তের ওপর নির্ভর করে। যদি গায়ক মনে করেন তিনি গান গেয়ে সকলকে মোহিত করে দেবেন তাহলে জায়েজ হবে না, তবে যদি তার নিয়তে থাকে আমার ঐ গানের সুরে আমি আমার জাতির প্রাণে আশার আলো সঞ্চার করবো- তাহলে নিশ্চয়ই জায়েজ হবে। ইন্না মা’ল আ’মাল ও বিন্নিয়ত।’ নজরুলের উত্তর হলো ঠিক কবিজনোচিত। তিনি বললেন : ‘বসন্তে কোকিল গাছের ডালে বসে আপন মনে গান গায়। সে কারো তোয়াক্কা করে না। কাক এসে তাকে তাড়া করলে সে উড়ে যায়। আমিও আমার মনের আনন্দেই গান করবো, যদি আপনারা কাকের মতো আমায় তাড়া করেন, তাহলে চলে যাবো।’ তখন চারদিক থেকে শোরগোল ওঠে : ‘মৌলবি সাহেব, আপনি বসে যান।’ অগত্যা বাধ্য হয়েই মৌলবি সাহেব বসে পড়েন। নজরুলও গান গাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন, অমনি আরো একজন মৌলবি সাহেব দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করেন : ‘কবি সাহেব নামাজ পড়েন কিনা।’ নজরুল বলেন, ‘এটি ব্যক্তিগত ব্যাপার এতে অপরের জিজ্ঞাসা করার মতো কিছুই নেই।’ এ প্রসঙ্গে নজরুল একটা মজার গল্প বলে ফেলেন। একদিন নাকি তাঁকে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেছিল তিনি তাঁর স্ত্রীকে ভালোবাসেন কিনা। তার উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘এ কথাটির উত্তর আমার থেকে আমার স্ত্রী ভালো দিতে পারবেন। তাকেই জিজ্ঞেস করুন। সকলে হো হো করে হেসে ওঠে। এ সময়ে বোমার আওয়াজের মতো শোরগোল ওঠে : ‘বসে যান বসে যান আপনারা। আমরা গান শুনতে এসেছি, ঐসব বাজে কথা শুনতে আসিনি।’ অতঃপর নজরুল তাঁর স্বাভাবিক সুরে গাইতে শুরু করেন : বাজলো কিরে- ভোরের সানাই নিঁদ মহলার আঁধার পুরে! শুনছি আজান গগন-তলে অতীত রাতের মিনার চূড়ে। গলা তেমন মিহি নয়, খাদ মেশানো। তবে তাতে এমন দরদের সৃষ্টি হয় যে একবার শুনলে আর ভুলতে পারা যায় না। গলার ভল্যুম এমনি যে বহু দূর থেকেও শোনা যায়। একমাত্র হরেন্দ্র ঘোষ ব্যতীত এত উঁচু পর্দায় গান গাইতে আর কাউকে শুনিনি কোনো দিন। এ গান শেষ হলে নানাদিক থেকেই আবদার আসে : ‘কাজী সাহেবের আরো গান শুনতে চাই। পেশাদার গাইয়ের মতো- ঘনঘন অনুরোধের অপেক্ষা না করে আবার তিনি সুর তোলেন : দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুঁশিয়ার। এবার বুড়োদের শুকনো হাড়েও যেন নব-যৌবনের স্রোত বইতে শুরু করে। অঙ্কশাস্ত্রের মতো নীরস বিষয়ের অধ্যাপক ঋষিপ্রতিম সুরেন্দ্রনাথ সেনও উল্লসিত হয়ে উচ্চারণ করেন : চমৎকার চমৎকার।”

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App