×

মুক্তচিন্তা

শেষ হোক এই নির্মম নাটকের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০৯:০৪ পিএম

সংকটের শুরু থেকেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমার রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিশ্বাস করতে পারেনি। আমাদের মতো যে কোনো দেশের সাধারণ মানুষই মিয়ানমারের এরূপ ধূর্ততায় ত্যক্ত-বিরক্ত। মিয়ানমার সরকার ইতোপূর্বে রোহিঙ্গাদের দেয়া নানা রকমের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গই শুধু নয় উপেক্ষা করেছে, অসম্মানও করেছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছে তা বিশ্ববিবেককে স্তব্ধ করেছে।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের দুই বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু বিশাল জনসংখ্যার এই উদ্বাস্তু সমস্যার কোনো কূলকিনারা এখনো দৃশ্যমান হয়নি। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে গণহত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। প্রাণভয়ে সে সময় সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। নতুন করে আসা এ সংখ্যার অতিরিক্ত আরো প্রায় সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা আগে থেকেই এ দেশের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশকে নিজ জনসংখ্যার অতিরিক্ত প্রায় বারো লাখ মানুষের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের জোগান দিতে হচ্ছে। এ সংকট একদিকে সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর যেমন চাপ তৈরি করছে তেমনি ব্যাপকহারে বিনষ্টের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের পরিবেশ, ক্ষতি হচ্ছে ভূ-প্রাকৃতিক অবকাঠামোরও। বিশেষ করে বিনষ্টের শিকারে পরিণত হচ্ছে পার্বত্যাঞ্চলের আবহমানকালের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। যা ভবিষ্যতের পর্যটনশিল্পের বিকাশকে নেতিবাচক প্রভাবে জর্জরিত করবে। বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবন বাঁচানোকে অগ্রাধিকারে বিবেচনার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব মহলকে নির্দেশ দেন। বিশ্বে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ খেতাবে ভূষিত ও প্রশংসিত হন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সমগ্র দেশবাসীও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে এই ভেবে যে, জননেত্রী শেখ হাসিনার এমন যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে নিরাপদ আশ্রয় লাভে সক্ষম হয়েছে সাড়ে সাত লাখ মানুষ। মানবতার পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে এমন যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা পুনর্বার অভিবাদন ও অভিনন্দন পাওয়ার দাবিদার। কিন্তু বিশ্ববাসী বিশেষত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উদ্বাস্তু ও জনমদুঃখী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বার্থ-সংরক্ষণে তেমন কোনো শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। এ ব্যর্থতাই বিশ্ব মানবতার জন্য দুর্ভোগ, দুর্ভাগ্য এবং একই সঙ্গে লজ্জার। ‘রাজনীতি’ মানবতাকে কী নির্মমভাবে দলন করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল মিয়ানমারসৃষ্ট রোহিঙ্গা সংকট। গত ২২ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছিল। কিছুদিন ধরেই পত্রপত্রিকায় ২২ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর খবর যেমন ছাপা হয়েছে তেমনি আবার এ নিয়ে সন্দেহ আর সমালোচনাও হয়েছে বিস্তর। আবার প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো সংখ্যা উল্লেখ করা হলেও তারা কারা এ বিষয়ে যেমন অস্পষ্টতা ছিল তেমনি অস্পষ্টতা ছিল যারা প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে নিজ দেশে ফেরত যাবে তাদের জন্য সেখানে কিরূপ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তা নিয়েও। উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা রাখাইন প্রদেশে কতটুকু নিরাপদ, নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করলেও নিজ বসতভিটা আদৌ ফেরত পাবে কিনা অথবা কী অধিকার নিয়ে তারা ফেরত যাবে তা মিয়ানমার কখনো স্পষ্ট করেনি। জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাও রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে মিয়ানমারের প্রস্তুতি ও মনোভাব শরণার্থী রোহিঙ্গাদের সম্মুখে স্পষ্ট করেনি। সমগ্র বিশ্বও প্রত্যাবাসনের পূর্বশর্ত হিসেবে রোহিঙ্গাদের দাবি-দাওয়া এবং অধিকার সম্পর্কে মিয়ানমারের স্পষ্ট বক্তব্য শুনতে পায়নি। এক কথায়, প্রত্যাবাসিত হতে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ-অধিকারের বিষয়ে সবাই রয়ে গেছেন এক ধরনের অন্ধকার রহস্যের মধ্যেও। তবে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শুরুর আগে আগে প্রায় প্রতি বছরই মিয়ানমার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে কিছু কৌশলী প্রচারণার আশ্রয় নেয়। এবারো তারা তাই করেছে। প্রত্যাবাসনের এরূপ ঘোষণা দিয়ে তারা বাংলাদেশকে ফাঁদে ফেলেছে বলেই আমাদের ধারণা। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি বুঝতে পারবেন আশা করি। সংকটের শুরু থেকেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমার রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিশ্বাস করতে পারেনি। আমাদের মতো যে কোনো দেশের সাধারণ মানুষই মিয়ানমারের এরূপ ধূর্ততায় ত্যক্ত-বিরক্ত। মিয়ানমার সরকার ইতোপূর্বে রোহিঙ্গাদের দেয়া নানা রকমের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গই শুধু নয় উপেক্ষা করেছে, অসম্মানও করেছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছে তা বিশ্ববিবেককে স্তব্ধ করেছে। তাই এবারের প্রত্যাবাসনের তালিকা স্পষ্ট হলে তালিকাবদ্ধ রোহিঙ্গা নারী বা পুরুষের কেউই রাখাইনের নিরাপত্তা ও নাগরিকত্বের মর্যাদা নিশ্চিত হওয়ার আগে মিয়ানমার ফিরতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে। ফলে ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বারবার বলছেন কোনো রোহিঙ্গাকে জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না- সেখানে প্রত্যাবাসন তারিখ ঘোষণার আগে বাংলাদেশের পক্ষে দায়িত্বশীল এবং জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থা কেন মিয়ানমারের প্রস্তুতি স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণ করেনি তা আমাদের বিস্মিত করেছে। এত জটিল এবং এত বৃহৎ একটি কর্মকাণ্ডের এরূপ ব্যবস্থাপনা আমাদের রীতিমতো হতাশ করেছে। প্রথমত, এ মাসের দ্বিতীয়-তৃতীয় সপ্তাহে হঠাৎ করে যখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছিল তখন এ সংবাদের শিরোনাম দেখে-শুনেই আমাদের খানিকটা উল্লাস বোধ হয়েছিল। যদিও ভেতরের খবরটি পড়ে যথারীতি হতাশও হয়েছিলাম। ‘পর্বতের মূষিক প্রসব’ বলে প্রচলিত সেই প্রবাদ-প্রবচনটির কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। কারণ মূল খবরে মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিন্ট থু-এর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল যে, ‘আমরা ৩ হাজার ৫৪০ জনকে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে একমত হয়েছি। ২২ আগস্ট তাদের ফেরত নেয়া হবে।’ আমরা জেনেছি, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের কাছে দেয়া ২২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা থেকে বাছাই করে বর্ণিত ৩ হাজার ৫৪০ জনকে প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মিয়ানমারের পক্ষে উল্লিখিত হয়েছে যে, এটি প্রত্যাবাসনের প্রাথমিক সূচনা। তাদের ভাষায় ‘ছোট আকারের’ প্রত্যাবাসন পরিকল্পনার অংশ। কিসের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত প্রত্যাবাসনের সংখ্যাটি ২২ হাজার থেকে মাত্র সাড়ে তিন হাজারে নেমে এল বাংলাদেশ বা মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তারও স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা আমরা শুনিনি। তাই ব্যক্তিগতভাবে এটিকে আমি ‘পরিকল্পনা’র চেয়ে মিয়ানমারের ষড়যন্ত্রমূলক কৌশলের অংশ বলতেই বরং বেশি যৌক্তিক মনে করি। কারণ ইতোপূর্বে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় একাধিক সমঝোতা-স্মারক স্বাক্ষরসহ নানাবিধ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে যার কোনোটিই মিয়ানমার বাস্তবায়নে আগ্রহ দেখায়নি। উল্টো বাংলাদেশের ওপরই সব দোষ চাপিয়ে তারা বলেছে ‘আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য বাংলাদেশই শরণার্থী প্রত্যাবাসনে আগ্রহী নয়।’ এমন মন্তব্য করার মাধ্যমে কার্যত মিয়ানমার বাংলাদেশকে অপমান করেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আঘাত করেছে। আমরা বারবার শুনে আসছিলাম রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন ছাড়া বাংলাদেশ কিছুই চায় না। বাংলাদেশ সহস্র সমস্যা সত্ত্বেও কোনো রোহিঙ্গাকে জোর করে সে দেশে ফেরত পাঠাবে না। একে তো বিপুলসংখ্যার শরণার্থীর তুলনায় প্রত্যাবাসন তালিকার এই ক্ষুদ্রতা আমাদের দুঃখের মধ্যেও হাসির সঞ্চার করেছে। কারণ ব্যাপকসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর তুলনায় মাত্র ৩৫৪০ সংখ্যাটি সত্যিকার অর্থেই পর্বতের মূষিক প্রসবের মতো ঘটনা। এ তো একদিক। আবার অন্যদিকে আমরা নিশ্চিত নই এমনকি ইউএনএইচসিআরও নিশ্চিত নয় যে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের যথার্থ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কিনা। এটা কি মিয়ানমারের সেই কৌশল- যা বিশ্ববাসীকে বোঝানোর প্রয়াস যে, তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করেছে! আর বাংলাদেশ যদি সত্যি সত্যি এ রকম একটি প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় কিংবা উভয় দেশ এ রকম একটি সমঝোতায় এসে থাকে তবে মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত ‘চাপ’ কিছুটা হলেও শিথিল হয়ে যাবে। কারণ এ কথা বাংলাদেশকে উপলব্ধি করা প্রয়োজন ইতোপূর্বেকার কোনো প্রকার চুক্তি বা সমঝোতাকে মিয়ানমার কোনো প্রকার সম্মানের সঙ্গে বিবেচনা করেনি। ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে এসেও তা ভেস্তে গেল। তবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলমান বলে জানা গেছে। প্রত্যাবাসন যখনই শুরু হোক না কেন মিয়ানমারের কৌশল এবং মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় না দিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ‘ছোট আকারের’ না করে এ সংখ্যা যৌক্তিকভাবে শরণার্থীর শতকরা হারে এবং দৃশ্যযোগ্যভাবে বাড়াতে হবে। তা না হলে ‘বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়ে গেছে’ এই গল্প শুনে শুনেই বিশ্ববাসী রোহিঙ্গা সংকটের কথা একদিন ভুলে যাবে! আমরা একটি স্থায়ী কার্যকরী সমাধানের জন্য বিগত দুটি বছর অপেক্ষা করলাম। আরো কিছুদিন অপেক্ষা করি; কিন্তু কোনোমতেই এই স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গার মাধ্যমে ‘প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু’ করতে পারি না। কিছুদিন আগে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে। সেখানে রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয় যে, নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, ভিটেমাটি, সমঅধিকার প্রভৃতি দাবি মেনে নিলে কোনো কথা ছাড়াই তারা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করবে। তাদের অধিকারহীন জোরপূর্বক পাঠানো যাবে না। এসব দাবি-দাওয়ার কথা কেবল মিয়ানমারের ওই প্রতিনিধিদেরই জানানো হয়েছে এমন নয়- সমস্যা সৃষ্টির শুরু থেকেই কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানের আশ্রয় শিবির পরিদর্শনকারী বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতা-নেত্রী, সেবাকর্মী, চলচ্চিত্র তারকা, মানবাধিকারকর্মী এমনকি জাতিসংঘের মহাসচিবকেও জানানো হয়েছে। অর্থাৎ যারাই রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছেন তাদের সবার কাছেই একই দাবি তারা জানিয়েছে, জানিয়েছে নিজভূমে অধিকারসহ ফিরে যাওয়ার মানবিক আকুতি। আর সবাই শরণার্থী শিবিরের ক্লিষ্ট মানুষকে প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি দিলেও বৈশ্বিক ও ভূরাজনীতির কুটিল নীতির কাছে মানবতা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি আজো। তাই মানবতা বিসর্জনের মধ্য দিয়েই আমরা প্রত্যাবাসনের নাটক করে চলছি। এই নির্মমতার যবনিকাপাত ঘটা জরুরি।

আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App