×

সাময়িকী

রক্তের অক্ষরে লিখতেন মানুষের গান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০১৯, ০৬:৪৪ পিএম

রক্তের অক্ষরে লিখতেন মানুষের গান
রক্তের অক্ষরে লিখতেন মানুষের গান

জীবনে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে আপাকে। কষ্টও পেয়েছেন অনেক। অকালে স্বামীকে হারিয়েছেন। চোখের অসুখে ভুগেছেন দীর্ঘদিন। বুড়িগঙ্গায় এক মর্মান্তিক ট্রলার ডুবিতে একসাথে হারিয়েছেন পরিবারের ১১ জনকে। সেই মর্মান্তিক কষ্ট নিয়ে জীবন কাটিয়েছেন। কিন্তু অদম্য তিনি, থেমে যাননি। আর সেই ১১ জনের মধ্যে একজন তাঁর এক নাতনির কবরেই সমাধিস্থ করা হয়েছে তাঁকে।

বাঙালির আকাশে আগস্ট শোকের স্রোত বহিয়া যাইতেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের অসহনীয় শোক, কবি শামসুর রাহমান, কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদ এই মাসে প্রয়াত হয়েছেন। প্রয়াত হওয়ার মিছিলে যোগ দিলেন বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট কথাশিল্পী রিজিয়া রহমান। গত ১৬ আগস্ট তিনি উত্তরায় মারা যান। রিজিয়া রহমান ১৯৩৯ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জন্মভূমির তিনটি দেশ প্রত্যক্ষ করেছেন। জন্মেছেন সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের কালে, বেদনা আর শ্লেষের সঙ্গে দেখেছেন পাকিস্তান নামক একটি অবাস্তব রাষ্ট্রের উদ্ভব এবং রক্তাক্ত ধ্বংস। এবং সব শেষে দেখেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের অপার অভ্যুদয়। সেই দেখার বাংলাদেশকে ধারণ করেই কথাকার রিজিয়া রহমান লিখে গেছেন অবিরাম, বাংলাদেশের নাম, অজস্র লেখায়, গল্পে, স্মৃতিতে এবং উপন্যাসের পাতায় পাতায়।

রিজিয়া রহমান বিচিত্র অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মানুষ। দেখেছেন দুচোখ ভরে, সেই দেখার নির্যাস ও অভিজ্ঞতার রৌদ্র সাজিয়ে লিখেছেন অবিরাম। প্রচুর লিখেছেন। উপন্যাস : ঘর ভাঙা ঘর, উত্তর পুরুষ, ধবল জ্যোৎস্না, শিলায় শিলায় আগুন, সূর্য সবুজ রক্ত, একাল চিরকাল, বাঘবন্দি। মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস : বং থেকে বাংলা, কাছেই সাগর, উৎসে ফেরা। প্রেমের উপন্যাস : সবুজ পাহাড়, প্রেম আমার প্রেম, ঝড়ের মুখোমুখি, হে মানব মানবী, অতলান্ত নীল, বান্ধবী প্রিয়দর্শিনী, গোলাপ তবু তুমি, চন্দ্রাহত, অন্ধকারে বেতোফেন। ঐতিহাসিক উপন্যাস : অলিখিত উপাখ্যান, আবে রওয়াঁ, আলবুর্জের বাজ। নৃতাত্ত্বিক উপন্যাস : শুধু তোমার জন্য, পবিত্র নারীরা, তৃণভূমির বাইসন। সামাজিক ও রাজনৈতিক উপন্যাস : হারুন ফেরেনি, সুপ্রভাত সোনালী দিন, জগৎ জুড়িয়া কান্দে,জ্যোৎস্নায় নীল, সীতা পাহাড়ে আগুন। হাসির উপন্যাস : প্রজাপতি নিবন্ধন। আত্মজৈবনিক : অভিবাসী আমি, নদী নিরবধি, প্রাচীন নগরীতে যাত্রা। গল্প সংকলন : অগ্নি স্বাক্ষরা, নির্বাচিত গল্প, দূরে কোথাও, প্রিয় গল্প, চার দশকের গল্প। রম্য গল্প সংকলন : খাওয়া খাওয়ির বাঙালি। শিশুতোষ ও কিশোর গ্রন্থ : ঝিলিমিলি তারা- ছড়া, রাজার ছড়া, মতিশীলের বাড়ি ও অন্যান্য গল্প, আজব ঘড়ির দেশে- সায়েন্স ফিকশন। অনুবাদ : সোনালী গরাদ- মালয়েশিয়ার উপন্যাস।

ছোট গল্পের ক্ষেত্রে তিনি রেখেছেন প্রতিভার প্রদীপ্ত স্বাক্ষর। শতাধিক সার্থক ছোট গল্পের জনক রিজিয়া রহমান। লেখালেখির জগতের প্রায় সব অনুষঙ্গে লেখার সঙ্গতি করেছেন সাবলীল দক্ষতায়। সমাজ ও মানুষের ভেতরের অন্তর্দ্বন্দ্বের বহুমুখিন মানচিত্র এঁকেছেন শিল্পকুশলতায়, ফলে পাঠকরা আস্থায় নিয়েছেন রিজিয়া রহমানকে নিবিড় আগ্রহে। বলা যায়, রিজিয়া রহমান জাতিসত্তার শিকড় অনুসন্ধানে নিরন্তর গবেষক। আর্থসামাজিক অবস্থান মানুষের জীবনের স্তর নির্ধারণ করে দেয়, সেই স্তর নিজের মতো করে অনুভব সত্তায় ধারণ করে লেখার জগতে সচিত্র সক্রিয় ছিলেন তিনি। গল্প ও উপন্যাসের ক্ষেত্রে আঙ্গিকের নিরীক্ষায় রিজিয়া রহমান বিবর্তনশীল আধুনিক এবং প্রতিদিনের নতুনের জয়গান গেয়েছেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য দেশে ও বিদেশে বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার। অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, যশোর সাহিত্য পুরস্কার, হুমায়ুন কাদির পুরস্কার, কমর মুশতারী স্বর্ণপদক, কবি জসীমউদ্দীন পরিষদ সাহিত্য পুরস্কার, সা’দত আলী আকন্দ পুরস্কারসহ সবশেষ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রদত্ত একুশে পদক। এসব পুরস্কার অর্জনের মধ্য দিয়ে কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন স্বমহিমায় বাংলা সাহিত্যের বিশাল প্রান্তরে।

বিচিত্র প্রসঙ্গ নিয়ে লিখেছেন রিজিয়া রহমান। ‘রক্তের অক্ষর’ রিজিয়া রহমানের অন্যরকম উপন্যাস। উপন্যাসের প্রসঙ্গ বেশ্যা, বা বারবনিতা। আমাদের মেয়েরা, আমাদের মায়েরা, আমাদের বোনেরা ওই অন্ধকার হারেমের গোপন কুঠুরিতে পৈশাচিক বেদনার সঙ্গে, রমণ আর বমনের মিলিত স্রোতের তিক্ত গানে যে জীবনযাপন করে, তারই রক্ত বয়ান তুলে ধরেছেন তিনি ‘রক্তের অক্ষর’ উপন্যাসের পাতায় পাতায়। আমরা বাইরের মানুষেরা ভাবি ওইখানের মেয়েরা খুব আরামে আছে, ওরা সুখে থাকছে, কিন্তু গোটা ধারণাই ভুল। কারণ মানুষ যেখানে, হোক নারী বা পুরুষ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা- বিষাক্ত ঈর্ষা সেখানে উপস্থিত থাকবেই। পতিতা পল্লীর মেয়েরা আরও জিঘাংসার স্রোত বেঁচে থাকে। ওরা কি প্রেমের প্রতারণায় আসক্ত হয়ে পরপুরুষের কামুক শরীরের নিচে মেলে দেয় নিজের শরীর? নিশ্চয়ই না, এখানে বেঁচে থাকার জন্য, জীবন বেচাকেনার হাটে তিন বেলা তিন মুঠো খেয়ে-পরার ইচ্ছায়, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রতিদিন আট থেকে দশজন পুরুষের বিষাক্ত শরীরের নিচে নিজেকে মেলে ধরতে হয়। তখন সেটাকে কী রমণ বলে? বলে বলাৎকার। অন্ধকারে হারেমের আরো অন্ধকার কুঠুরির মেয়েরা কেবলমাত্র বেঁচে থাকার জন্য যে অভিশপ্ত জীবন লালন করে, এক কথায় বলা যায় পরিত্যক্ত জীবনের পরাকাষ্ঠা। জীবনবাদী কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান সেই পুঁতিগন্ধময় জীবনের সারাৎসার ‘রক্তের অক্ষর’ উপন্যাসের রক্ত অক্ষরে উপস্থাপন করেছেন।

উপন্যাসের প্রধান চরিত্র জাহানারা এবং ইয়াসমীন। দুই নারীর সঙ্গে আরো অজস্র নারীকে রক্তের অক্ষরে যুক্ত করে রিজিয়া রহমান গলিত জীবনের বেদনা ভারাক্রান্ত উপাখ্যান রচনা করেছেন, যে উপাখ্যানের একটা ধারণা হয়তো পাঠকদের থাকে, কিন্তু কতটা পাশবিক, মর্মন্তুদ, উপন্যাস পাঠ না করা পর্যন্ত অনুধাবন করা যাবে না। যারা বা যে নারীরা বেশ্যা হয়, বা হতে বাধ্য হয়, প্রকৃতপক্ষে ওরা আর মানুষ থাকে না। ওরা হয়ে যায় এক ধরনের প্রাণী। যেমন- গাধা, গরু, ছাগল বা উট। অনেকটা ভারবাহী পশুর মতো আর কি!

রিজিয়া রহমান যাদের জীবনের জলছবি এঁকেছেন, তাদের জীবনটা কেমন? বর্ণনা করে বা লিখে কি বোঝানো সম্ভব? তবুও কয়েকটি লাইন ‘রক্তের অক্ষর’ উপন্যাসের নয় পৃষ্ঠা থেকে : ‘কুসুমের দিকে দুটো নোট ছুড়ে দিল শান্তি। এ ঘরে কুসুম ছাড়া শান্তি ও জরিনা দুজনেই স্বাধীন ব্যবসা করে। ঘরের ভাড়া ওরা নিজেরাই দেয়। কুসুমের রোজগারের টাকার মালিক কালু। কুসুম এখনো ওর অধীন। তিনজনের মধ্যে শান্তিরই রোজগার ভালো। ও রেট বাড়িয়েছে। শান্তির বাজার এখন উঠতির দিকে। কুসুম নোট নিয়ে বেরিয়ে গেল। কাল ওর খরিদ্দার জোটেনি। রাতে খাবারও জোটেনি। আজ কেমন কাটবে কে জানে!’

উপরের আখ্যান ভাগ থেকে আমরা যদি সামান্য বিশ্লেষণ করি, আমরা পাব মানুষ কেনা-বেচার এক নির্মম প্রক্রিয়া। যেমন : ‘রোজগারের টাকার মালিক কালু। কুসুম এখনো ওর অধীন।’ কেন কুসুমের শরীর বিক্রির টাকার মালিক হবে একজন কালু? কেন কুসুম থাকবে কালুর অধীনে? থাকবে, থাকতে বাধ্য বেশ্যাপাড়ায় গড়ে ওঠা নির্লিপ্ত শোষণের চক্রের জাঁতায়। এমন এক নির্মম শোষণের অধিবাস বেশ্যাপড়ায় গড়ে তোলে একটি মাংসাশী চক্র। সেই চক্রে প্রত্যেক বেশ্যাকেই পড়তে হয়, না পড়ে উপায় নেই। উপায়হীনতার গিলোটিনে আমাদের কন্যারা যে বিষাক্ত দিনরাত্রি যাপন করে, তারই নিরাসক্ত বয়ান দিয়েছেন ঔপন্যাসিক রিজিয়া রহমান, ‘রক্তের অক্ষর’ উপন্যাসে। বেশ্যাপাড়া বিচিত্র এক জগৎ। ওই পাড়া যেখানে গড়ে ওঠে, সেটা একটা মোহনা। মোহনায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেয়েরা আসতে থাকে চক্রের চক্রযানে চড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েরা পাড়ায় আসে পুরুষের নিবিড়, গভীর ষড়যন্ত্রের কারণে। বেশির ভাগই বিক্রি করে দেয় প্রেমিকেরা। প্রেমিকেরা? না, প্রেমের ভান করে ফাঁদে ফেলে নিয়ে আসে পাড়ায়। পাড়ার মাসির সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ থাকে, ফলে বিক্রি হয়ে যায় মুড়ি ও মুড়কির মতো, সহজে এবং সস্তায়। জাহানারা পাড়ার মধ্যে আলাদা। সুন্দরী। লম্বা ছিপছিপে গড়নের জাহানারা জানে বেশ্যাগিরির ছলাকলা। ওর কাছে আসে বাইরের কল। টাকাঅলাদের গাড়িতে চড়ে চলে যায়, কত শৌখিন জীবন ওর। জাহানারার এজেন্ট কাঞ্চন। কাঞ্চন এসেছে নতুন খদ্দের নিয়ে। চলছে রসালাপ। ‘নিজের হাতের জ্বলন্ত সিগারেট ময়নার আঙুলে ধরিয়ে দিয়ে জাহানারা চায়ের গ্লাস তুলে নিল। ময়না বেরিয়ে যেতে কাঞ্চনের দিকে তাকাল, মুখে হাসি হাসি ছড়িয়ে প্রশ্ন করল, সাহেবের ইয়ারদোস্ত! না ঘুষ? চা খেতে খেতে কাঞ্চন একটা চোখ সরু করে হাসল, মনে হয় ঘুষই। আরে দুনিয়াডাই এইরকম, কে কার ওপর দিয়া খাইব! আমিও তো বুঝি। সাহেব এইবার বড় কনটাকট কিনব। তাই তো মাইয়া মানুষ ঘুষ দিতাছে। তুই আমি কয় পয়সা পামু! পয়সার মজা লুটবে তো হালার বড় মাইনষে। জাহানারা হিহি হাসিতে কাঞ্চনের গায়ে ঢলে পড়ল। কাঞ্চনের উরুতে চাপড় মেরে বলল, এত বড় কনটাকট কিনব তো নিজেগো মাইয়া- বউ ঘুষ দিলেই পারে। পয়সাও খরচ হয় না।’ সমাজ বাস্তবতার নিরিখে রিজিয়া রহমান কত কঠিন সংলাপ কত সহজে বলিয়েছেন একজন বেশ্যার মুখ দিয়ে। যারা ভদ্রলোক, তাদের খারাপ লাগতে পারে কিন্তু সমাজ কাঠামোর মধ্যে বসবাস করা রক্তলোলুপ হায়েনাদের জাহানারা সংলাপের দায় নেয়া উচিত। রিজিয়া রহমানের রক্তের অক্ষর উপন্যাসের আর এক প্রধান চরিত্র ইয়াসমীন। ইয়াসমীন কোত্থেকে এসেছে বেশ্যাপাড়ায়? এসেছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের থেকে। এই দেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করতে গিয়ে কত নারী যে হারিয়েছে জীবনের লাবণ্য, কত নারী বিসর্জন দিতে বাধ্য হয়েছে স্বাভাবিক জীবন, ইতিহাস হিসাব রাখেনি। প্রকৃতপক্ষে, ইতিহাস তো সাধারণের নয়, ইতিহাস প্রভাব ও প্রতাপশালীদের জয়গানে মুখর। সেখানে সামান্য ইয়াসমীনের জায়গা কোথায়? ইতিহাসের পাতায় জায়গা না পেলেও ইয়াসমীনকে জায়গা দিয়েছেন সচেতন সমাজমনস্ক কথাশিল্পী রিজিয়া রহমান রক্তের অক্ষর উপন্যাসের ক্যানভাসজুড়ে। কিন্তু পরিণতি কী? পরিণতি? বেশ্যাপল্লীর গু-াদের হাতে নির্মম মৃত্যু। জন্ম ও মৃত্যুর সেতুর স্রোতে ভেসে যায় ইয়াসমীন, জাহানারা, কুসুম, শান্তারা...। বাংলাদেশে বেশ্যা বা বারবনিতাদের নিয়ে লেখা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাহিত্যের তুলনায় অনেক কম হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এই বিষয়ে নানা আঙ্গিকে কাজ হয়েছে। বছর কয়েক আগে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক আধুনিক ঢাকা শহরের বারবনিতাদের নিয়ে অসামান্য উপন্যাস ‘ব্যবহৃতা’ লিখেছেন। রিজিয়া রহমানের উপন্যাস রক্তের অক্ষর অবশ্য অনেক আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৮ সালের জুন মাসে। স্বাধীনতার মাত্র কয়েক বছর পরের এই উপন্যাসে রিজিয়া রহমান সেই সময়ের চাপা ক্ষোভ, সমাজের অস্থিরতা আর বিপন্ন সময়ের চালচিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আজ এত বছরের পরে নিশ্চিত করে লিখতে পারি শক্তিমান কথাশিল্পী রিজিয়া রহমান গভীর শোকের স্তূপে দাঁড়িয়ে নিজে জ্বলেছেন আর জ্বলন্ত জীবনের প্রতিবিম্ব লিখেছেন রক্তের নির্যাসে, পরম সত্তায়। এই মনস্বী কথাশিল্পী বাংলাদেশের সমাজ কাঠামোর ভেতরের একটা ভয়াল অন্ধকার জগতের মানচিত্র প্রবল দক্ষতার সঙ্গে লিখেছেন। তিনি ‘বং থেকে বাংলা’ উপন্যাসের অনন্য স্রষ্ঠা, রিজিয়া রহমান বাংলা সাহিত্যের মহান অধিশ্বর।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App