কাল থেকে ঢাকায় চামড়া সংগ্রহ শুরু, থাকবে নজরদারি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০১৯, ১২:৪৭ পিএম
আগামীকাল শনিবার থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত শুধু ঢাকার চামড়াগুলো কিনবে পোস্তার পাইকারি ব্যবসায়ী, আড়তদার ও সাভারের ট্যানারি মালিকরা। পরবর্তী সপ্তাহ থেকে ঢাকার বাইরের চামড়াগুলো বেচাকেনা হবে। ঢাকায় সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া বেচাবিক্রি হয় কিনা তা যাচাইয়ে বাজার মনিটরিং করা হবে। মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্ধারিত দাম কার্যকর হলে বড় আকারের একটি গরুর চামড়া দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি মো. শাহিন আহমেদ জানান, সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কেনা হবে। এ কারণে কাঁচা চামড়া রপ্তানির বিষয়টি সরকারের পুনঃবিবেচনা করা উচিত। জানা গেছে, সারাদেশে এবছর প্রায় সোয়া কোটি গবাদিপশু কুরবানি হয়েছে। তবে দেশীয় পশুর বাইরেও এবার স্বল্প পরিমাণ গবাদিপশু মিয়ানমার, ভুটান, নেপাল ও ভারত থেকে এসেছে। সবমিলিয়ে রেকর্ড সংখ্যক কুরবানি হয়েছে এ বছর। অর্থাৎ গত কয়েক বছরে চামড়ার উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে দেশে।
এদিকে ট্যানারিগুলো যদিও বলছে যে কুরবানির সব চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের সক্ষমতা রয়েছে তাদের। কিন্তু এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। কেননা, কুরবানির বাইরে সারা বছরে আরো প্রায় সোয়াকোটি গবাদি পশুর চামড়া আসে ট্যানারিগুলোতে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে আড়াই কোটি পিস চামড়ার বাজার রয়েছে দেশে। এসব চামড়া দেশের ১৫৫টি ট্যানারিতে প্রক্রিয়াজাতকরণ হওয়া সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যায়। বিসিক বলছে, এখন পর্যন্ত পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে রয়েছে ১২৩টি ট্যানারি যদিও বিটিএ নিজেই বলছে, উৎপাদনে থাকা ট্যানারির সংখ্যা এর চেয়ে আরো কম। উল্লেখ্য, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় দেশের উত্তরবঙ্গসহ চট্টগ্রামে আরো দুটি ট্যানারি শিল্পনগরী করার পরিকল্পনা করছে। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতিও বলছে, দেশে গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে চামড়ার দাম কমে যাওয়া। চামড়ার ন্যায্যদাম নিশ্চিত হলে গরুর মাংসের দামও কমে আসবে বলে মনে করেন সংগঠনটির মহাসচিব মো. রবিউল আলম।