সমুদ্রকাহন
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০১৯, ০৫:৫৩ পিএম
নাবিক,
শুনেছি, সমুদ্র আর ঈশ্বর
মানেই অনাদি প্রণয়।
সেই সমুদ্রের বুকে আকাশ ভুলে,
ঈশ্বরের সাথে বিচ্ছেদ ঘটালে-
তুমি আমায় ভালোবাসলে।
যখন এলোমেলো অক্ষরে শহরবন্দী আমি,
তুমি ছুড়ে ফেলো
ক্রুশকে সমুদ্রের বুকে।
তুমি ভুলে যাও,
তুমি মানব-
জেগে ওঠো আজন্ম প্রেমিক হয়ে।
হৃদয়ের দৈববাণীর অমৃতলিপিতে
লিখে ফেলো,
প্রেমিকের কোনো ধর্ম নেই।
ক্ষুব্ধ ঈশ্বর তোমায়
ডুবিয়ে মারবে বলে সমুদ্রের বুক থেকে নীলের প্রতিচ্ছবি কেড়ে নেয়।
বন্দি দেয়ালে প্রার্থনারাও
ছুটে পালায়-
ঈশ্বরের ভয়ে।
ছুটে পালাই উপাসনালয়ের
প্রতিটি বদ্ধ দুয়ারে।
আমার কানে আজানের ধ্বনি,
আমার শরীরে ধূপের গন্ধ,
ক্যাথলিক চার্চের মোমবাতির ম্লান আলোয় পুড়ি আমি অবিরত!
ফিরিয়ে দিতে রাজি আমি ঈশ্বর-
তোমার গন্ধম।
আমি ভুলে যাই, আমার দুহাতে
তিনটি নীলপদ্ম।
আমিও প্রেমিকা হয়ে উঠি-
খোলা প্রাঙ্গণে একলা
আকাশ গুনি।
নাবিক,
এক আসমানের মালিক কয় ঈশ্বর?
সমুদ্রের গর্জনে শুনি,
তুমি কার বুকে অনশ্বর?
নাবিক,
ডুবে যাওয়ার মুহূর্তে
সমুদ্র যদি কখনো অবাধ্য হয় ঈশ্বরের,
জেনে রেখো,
সেও মূর্ত হয়েছিল
তোমার দুচোখের নীলে।