×

জাতীয়

বানারীপাড়ার গণধর্ষণ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে মামলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০১৯, ০৩:৪৭ পিএম

বানারীপাড়ার গণধর্ষণ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে মামলা
বানারীপাড়ায় কিশোরী যাত্রীকে তিন লেগুনা গাড়ি চালকের রাতভর গণধর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে বানারীপাড়া থানায় ধর্ষিতা কিশোরীর মামা মো. আলাউদ্দিন মাঝি বাদী হয়ে ধর্ষক লেগুনা চালক রাজ্জাক (৩৫) ও মাসুমক (২৮) সহ অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খলিলুর রহমান জানান বুধবার রাতেই চিকিৎসা ও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষক রাজ্জাক পুলিশের কাছে ধর্ষনের বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বরিশাল আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে ম্যাজিষ্ট্রেট তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আহম্মেদ জানান,বাকি দুই আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার গাঁওখালী গ্রামের নৌকায় ভাসমান সব্জি বিক্রেতা হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী আ.বারেকের কিশোরী (১৫) মেয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাটের খালা বাড়িতে দু’দিন বেড়ানো শেষে মঙ্গলবার বিকালে বাড়ির উদ্দেশ্যে ট্রলারে চড়ে সন্ধ্যায় বানারীপাড়ার বিশারকান্দিতে আসে। সেখান থেকে লেগুনা গাড়িতে বিশারকান্দি-শিয়ালকাঠি সড়কের সীমান্তবর্তী নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়া ঘাট হয়ে নিজ বাড়ি গাঁওখালী গ্রামে যাওয়ার জন্য সে বিশারকান্দি লেগুনা স্ট্যান্ডে চালক রাজ্জাককে মামা ডেকে তার কাছে ভাড়া না থাকার বিষয়টি জানায়। বানারীপাড়ার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে দুই সন্তানের জনক লম্পট রাজ্জাক বিনা ভাড়ায় তাকে বৈঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়াঘাটে নামিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাড়িতে তুলে গন্তব্যে না নামিয়ে ইলুহার ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন তার চাচাতো ভাই রশিদের বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে তাকে ধর্ষণ করে। পরে রাত ১০ টার দিকে জনতা বাজার থেকে অপর লেগুনা গাড়ির চালক বিশারকান্দি গ্রামের সালেক বেপারীর ছেলে মাসুমের গাড়িতে তাকে তুলে দেয় রাজ্জাক। কিন্তু লম্পট মাসুম(২৮) ওই কিশোরীকে বৈঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়াঘাটে না নামিয়ে বিশারকান্দি লেগুনা ষ্ট্যান্ডের একটি কক্ষে নিয়ে অপর এক সহযোগী সহ রাতভর ধর্ষণ করে। ভোররাতে মাসুম ওই কিশোরীকে বৈঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়াঘাটে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। ওই কিশোরীকে খেয়াঘাটে কাঁদতে দেখে স্থানীয় লোকজন তার কাছ থেকে গণধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন। বুধবার ভোরে ওই কিশোরীর প্রথম ধর্ষক রাজ্জাক ওই স্থান থেকে যাত্রী সহ গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করেন। বিষয়টি বানারীপাড়া থানার ওসি জানতে পেরে লবনসাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক সুজিত কুমার বিশ্বাসকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তিনি গিয়ে ধর্ষক রাজ্জাক ও ধর্ষিতা কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App