×

মুক্তচিন্তা

চিহ্নিত করে দ্রুত সংস্কার করুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০১৯, ০৮:৩৫ পিএম

এবারের বন্যায় সারাদেশে ৪ হাজার ৭০৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রকাশিত সর্বশেষ দুর্যোগ পরিস্থিতি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬৮২টি প্রতিষ্ঠান আংশিক এবং ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের বন্যা প্লাবিত জেলাগুলোতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির হয়ে গেছে। বন্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণের ক্ষয়ক্ষতিকে আমলে নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবারের বন্যায় কুড়িগ্রামে সবচেয়ে বেশি ২২৪টি বিদ্যালয় বন্যাকবলিত। এরপর বেশি ক্ষতি হয়েছে গাইবান্ধায়। এ জেলার শুধু সুন্দরগঞ্জেই ৪৫টি বিদ্যালয় বন্যাকবলিত হয়েছে। অন্যদিকে মাউশি সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ ও রংপুর অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৫৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া রংপুরে ৫২৯, সিলেটে ২৫২, রাজশাহীতে ১৩৫, চট্টগ্রামে ৩৬ এবং ঢাকা অঞ্চলে ৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিদ্যালয়ের আসবাবসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ। কোথাও কোথাও ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে খোদ বিদ্যালয় ভবনই। বন্যার কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়ায় বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দেশে বন্যা এখন নিয়মিত ঘটনা। আর এবারের বন্যা নদী তীরবর্তী মানুষের সক্ষমতাকে আঘাত করেছে। বাড়িঘর বিনষ্ট হয়েছে। গবাদিপশু, হালের বলদ স্থানাভাবে ও খাদ্য সংকটে জলের দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে মানুষ। দুঃখজনক বিষয় হলো, এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই কোনো ধরনের প্রস্তুতি থাকে না। ফলে শিক্ষার্থী ঝরেপড়ার হার বেড়ে যায়। বন্যার কারণে বন্ধ হয়ে থাকা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে দিতে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে। শিক্ষা ও প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত ভবন মেরামতের পাশাপাশি অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু অতিরিক্ত ক্লাস কখন নেয়া হবে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় আনতে হবে। সুতরাং বন্যা-উত্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোগত সংকট মোকাবেলায় অগ্রাধিকার নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী হস্তক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব প্রক্রিয়ায় কর্তৃপক্ষের নিবিড় নজরদারি জরুরি। আমরা জানি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপদকালীন সংস্কার কাজের জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রয়েছে। ফলে এসব অর্থের সদ্ব্যবহারও নিশ্চিত করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App