×

জাতীয়

আমি মন্ত্রিত্বে থাকলে ১০ ঘণ্টায় ডেঙ্গুর ওষুধ আনতাম: অলি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০১৯, ০৭:১২ পিএম

আমি মন্ত্রিত্বে থাকলে ১০ ঘণ্টায় ডেঙ্গুর ওষুধ আনতাম: অলি

ছবি: সংগৃহীত

দেশ থেকে প্রতিদিন প্লেন বিদেশে যাচ্ছে। একটি প্লেন ভাড়া করে ডেঙ্গু মহামারির জন্য ওষুধ আনা কোনো কঠিন বিষয় নয়। আমি মন্ত্রিত্বে থাকলে দশ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনো দেশ থেকে ওষুধগুলো নিয়ে আসতাম। মানুষের জীবনরক্ষার জন্য একটি প্লেন পাঠানো বড় কিছু না। মন্ত্রীরা প্রতিনিয়ত প্লেন নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। সেখানে একটি প্লেন নিয়ে ১৮ কোটি মানুষের জীবনরক্ষার জন্য ওষুধগুলো আনতে বাধাটা কোথায়।

শুক্রবার বিকেলে এলডিপির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ এ দাবি করেন।

কর্নেল অলি অভিযোগ করেন, দেশে যখন ডেঙ্গুর মহামারি চলছে তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মালয়েশিয়া গেছেন। প্রধানমন্ত্রী গত ২০ দিন দেশে নেই। কেন নেই, লন্ডনে তিনি কী করছেন এ বিষয়ে দেশের মানুষ অবহিত নয়।

তিনি বলেন, বাধাটা হলো তারা জনগণের প্রতিনিধি না। একজন/দু’জন মন্ত্রী কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানাই তিনি কথা কম বলতে বলেছেন। কারণ ওবায়দুল কাদের বুঝে গেছেন সাইক্লোন শুরু হয়ে গেছে। সরকারের পক্ষে হয়তো ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ ২ লাখ পুলিশ তাদের নির্বাচিত করেছে। ১৪ কোটি মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া কোনো অপরাধ করেননি দাবি করে এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের ধ্বংসাত্মক কোনো কাজে না গিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

কর্নেল অলি আহমদ বলেন, খালেদা জিয়া কোনো অপরাধ করেননি। ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে সার্ভে করে দেখতে পারবেন তিনি এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। প্রক্রিয়াগত ভুল হয়েছে সন্দেহ নেই, কিন্তু টাকা আত্মসাৎ হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনা করে, তার অবদান বিবেচনা করে, জিয়াউর রহমানের অবদান বিবেচনায় মহামান্য হাইকোর্টের কাছে আমরা ন্যায়বিচার পাবো। কিন্তু হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেননি।

খালেদা জিয়াকে একজন মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে কর্নেল অলি বলেন, তিনি পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি ছিলেন। নিয়াজী সাহেব রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন। প্রথম অধিনায়ক হলো বাবার মতো। সুতরাং, খালেদা জিয়া ছিলেন নিয়াজীর মেয়ের মতো। পাকিস্তানি সেনারা অনেক নির্যাতন করেছে, কিন্তু তাদের যে কালচার সেটা তারা বিসর্জন দেয়নি। খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানিরা যে সম্মান দিয়েছিল, আজ নিজের দেশের কাছ থেকে তিনি সে সম্মান পাচ্ছেন না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, এনডিপির সভাপতি কারী আবু তাহের, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, কল্যাণ পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহিদুর রহমান তামান্না, বিএনপি নেতা মেজর অব. সারোয়ার প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App