×

সাময়িকী

মহাদেব সাহার বঙ্গবন্ধু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০১৯, ০৯:২০ পিএম

মহাদেব সাহার বঙ্গবন্ধু

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ওই জাতির ক্রান্তিকালে জাতিকে সংকট থেকে মুক্তির দিশা দেখিয়ে উত্তরণের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদের মতো দেবদূতসদৃশ মহামানব বা মহাপুরুষের আবির্ভাব ঘটেছে। সাতচল্লিশে ভারত বিভাগোত্তর পাকিস্তানি শাসনামলে বাঙালির মুক্তির ফরমান নিয়ে, বাঙালির নিজস্ব একটি স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড প্রতিষ্ঠার জন্য যে মহামানব বা মহানায়ক বা মহাপুরুষের আবির্ভাব ঘটেছিল তিনি অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে কোনো মহামানব বা মহানায়কের মাহাত্ম্য বর্ণনা বা প্রশস্তিবন্দনা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রভাষার শিল্প-সাহিত্যের অন্যতম অনুষঙ্গ। বাংলা ভাষার শিল্প-সাহিত্য-সঙ্গীত এর ব্যতিক্রম নয়। যুগে যুগে বিখ্যাত, বিশিষ্ট, স্মরণীয়, যুগ বা যুগোত্তর প্রতিনিধিদের নিয়ে শিল্প-সাহিত্য রচনার যে ঐতিহ্য বা ধারাবাহিকতা তা সমকালেও বহমান। বাংলা ভাষায় রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যত কবিতা লেখা হয়েছে তার নিকটতম তুলনা দিতে গেলে বঙ্গবন্ধুর নামটিই উল্লেখ করতে হয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম কবিতা লিখেছিলেন বাঙালি রেনেসাঁর অন্যতম প্রতিনিধি-পুরুষ সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায়। তার ‘যতকাল রবে পদ্মা-মেঘনা-গৌরী যমুনা বহমান/ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান’ কবিতাটি প্রবাদবাক্যের মতো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম গান রচনা করেন আধুনিক বাংলা গানের এক প্রবাদপ্রতিম গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। অঙ্কুমান রায়ের গাওয়া সেই বিখ্যাত গান ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি’- একাত্তরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়ে মুক্তিকামী আপামর বাঙালিকে উদ্দীপ্ত করেছিল। তাকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধকালে বা পরবর্তী সময়ে আরো অসংখ্য কবিতা ও গান রচিত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম দেখেছেন, যুদ্ধ করেছেন কিংবা কোনো না কোনোভাবে এ সংগ্রামে সংশ্লিষ্ট থেকেছেন কিংবা সমর্থন জানিয়েছেন, দুই বাংলার এমন প্রায় সব কবিই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন। স্বাধীনতার সপক্ষের বাংলাদেশের সব কবিই তাদের কোনো না কোনো কবিতায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এককভাবে অধিকসংখ্যক কবিতা রচনার ক্ষেত্রে বাংলা কবিতার সমকালীন এক প্রধান কবি মহাদেব সাহা অন্যতম পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লেখা প্রসঙ্গে মহাদেব সাহা মনে করেন, শুধু বিশেষ কোনো মানুষ বা কবিই নয়, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লিখেছে আপামর বাঙালি তাদের জাগ্রত কিংবা অবচেতন মনে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের যে স্বপ্ন-কল্পনা-শ্রদ্ধা-আবেগ-ভালোবাসা তাই-ই যেন একেকটি অপ্রকাশিত বা অলিখিত কবিতা। কবি মনে করেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লিখেছে বাংলার প্রকৃতি, ফুল, পাখি, নদী, আকাশ সবই। কবির ভাষায়- আমি আমার সমস্ত কবিত্ব শক্তি উজাড় করে যে-কবিতা লিখেছি তার নাম শেখ মুজিব, এই মুহূর্তে আর কোনো নতুন কবিতা লিখতে পারবো না আমি কিন্তু এই যে প্রতিদিন বাংলার প্রকৃতিতে ফুটছে নতুন ফুল শাপলা-পদ্ম-গোলাপ- সেই গোলাপের বুক জুড়ে ফুটে আছে মুজিবের মুখ এ দেশের প্রতিটি পাখির গানে মুজিবের প্রিয় নাম শুনি, মনে হয় এরা সকলেই আমার চেয়ে আরো বড়ো কবি। শেখ মুজিবের নামে প্রতিদিন লেখে তারা নতুন কবিতা মুজিব গোলাপ হয়ে ফোটে, লালপদ্ম হয়ে ফোটে হৃদয়ে হৃদয়ে; আমার না-লেখা প্রতিটি নতুন কবিতা জুড়ে গাঁথা আছে তার নাম, তার মুখচ্ছবি লিখি বা না-লিখি শেখ মুজিব বাংলাভাষায় প্রতিটি নতুন কবিতা। (শেখ মুজিব আমার নতুন কবিতা) সারা জীবন রাজনীতিচর্চা করলেও রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা এবং প্রভাব সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে সাতচল্লিশের দেশভাগের পর পাকিস্তানি শাসনামল থেকে। বিশেষত পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের নানারকম বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে বাঙালিরা যখন প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠতে থাকে তখন তাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখানো এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সংগঠিত করা, সর্বোপরি স্বাধীনতা সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাই তাকে অবিসংবাদিত করে তোলে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ- শব্দ দুটি যেন সমার্থক হয়ে ওঠে। মাত্র নয় মাসের সংগ্রামে কোনো রাষ্ট্রের স্বাধীনতাপ্রাপ্তি এবং সেই সংগ্রামের কবলে পড়ে তিরিশ লাখ মানুষের জীবনোৎসর্গের নজির পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমিক বিভিন্ন আন্দোলনের পথ পাড়ি দিয়ে একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, করাভোগ এবং নেতৃত্বদান তাকে তার দেশ ও জাতির কাছে মহীয়ান করে তোলে। তারপর স্বাধীনতা লাভের মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে সপরিবারে তার নিহত হওয়ার ট্র্যাজেডি বাঙালিকে অশ্রুসাগরে ভাসিয়েছে। এমন ট্র্যাজিক হত্যাকাণ্ডও পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি আর ঘটেনি। বাংলাদেশ তার বুকে সবচেয়ে ভারী যে লাশটি ধারণ করে আছে তা বঙ্গবন্ধুর। একমাত্র যার মুখে শোভা পেত ‘আমার বাংলাদেশ’ শব্দবন্ধটি, সেই বাংলাদেশের বিপথগামী কিছু সেনাসদস্য রাতের অন্ধকারে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যথাযোগ্য সম্মান না দিয়েই টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে তার শবদেহ সমাহিত করে। কবি মহাদেব সাহার কল্পনায় এ লাশটিও যেন হয়ে ওঠে ক্ষতবিক্ষত-রক্তাক্ত-বিধ্বস্ত এক বাংলাদেশের শরীরী অবয়ব। কফিনবন্দি লাশটিকে এসে ঘিরে ধরে চারজন দেবদূত। তাদের একজন বলে ওঠে, লাশের গায়ে জড়ানো রক্তমাখা জামাটি যেন রক্তিম ফুল হয়ে ফুটে উঠেছে। আরেক দেবদূত বলে, লাশটি যেন মাটির মানচিত্র হয়ে ফুটে উঠেছে। আরেক দেবদূত বলে, কফিনে কোনো লাশ নয় যেন একটি গোটা দেশ শুয়ে আছে। মহাদেব সাহার ভাষায়- চারজন দেবদূত এসে ঘিরে আছে একটি কফিন একজন বললো দেখো ভিতরে নবীন হাতের আঙুলগুলি আরক্ত করবী রক্তমাখা বুক জুড়ে স্বদেশের ছবি। (কফিনকাহিনী)

অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব জুড়ে যে বাংলাদেশের উপস্থিতি ছিল সারা জীবন, মৃত্যুর পরেও যেন ক্ষতবিক্ষত-রক্তাক্ত বুকজুড়ে সেই বাংলাদেশেরই অবস্থান। ‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’। যে চারটি মূলনীতি বা আদর্শ সামনে রেখে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর সেই মূলনীতিগুলোর পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন করে রচিত হয় বাংলাদেশের সংবিধান। নিষিদ্ধ হয় ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণ, বিলুপ্ত হয় ধর্মনিরপেক্ষতা। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর বিনিময়েও বাংলাদেশে চাল, কাপড় সস্তা হয়নি, অনাহারী শিশুর ক্রন্দন থামেনি। মহাদেব সাহার কাব্য চেতনা জুড়ে যে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ও উপস্থিতি- সেই বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের মধ্যেও আন্দোলিত করেন কবিকে। বাংলাদেশের মাটির ছোপ লাগানো পাঞ্জাবি গায়ে, হাতে সেই অভ্যস্ত পুরনো পাইপ, চোখে বাংলাদেশের জন্য সজল ব্যাকুলতা, মাথায় আলুথালু চুল বঙ্গবন্ধু এসে কবিকে বাংলাদেশের কুশল জিজ্ঞেস করেন- ‘কেমন আছে আট কোটি বাঙালি আর এই বাংলাদেশ’। জবাবে কবি বলেন- তোমার রক্ত নিয়েও বাংলায় চালের দাম কমেনি তোমার বুকে গুলি চালিয়েও কাপড় সস্তা হয়নি এখানে, দুধের শিশু এখানো না খেয়ে মরছে কেউ থামাতে পারি না বলতে পারিনি তাহলে রাসেলের মাথার খুলি মেশিনগানের গুলিতে উড়ে গেল কেন? তোমাকে কীভাবে বলবো তোমার নিষ্ঠুর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে জয় বাংলা, তারপরে একে একে ধর্মনিরপেক্ষতা একুশে ফেব্রুয়ারি ও বাংলাভাষাকে হত্যা করতে উদ্যত হলো তারা, এমনকি একটি বাঙালি ফুল ও একটি বাঙালি পাখিও রক্ষা পেলো না। (আমি কি বলতে পেরেছিলাম)

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি ছিল বঙ্গবন্ধুর বাসভবন। তার মৃত্যুতে শূন্য খাঁ খাঁ সেই ঘর। নিরেট প্রাণহীন সেই ইটের সৌধটিও যেন মানুষের মতো শোকার্ত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে। বাড়িটি যেন একাকী নিঃশব্দে চোখের জল ফেলে, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বুকে জড়িয়ে বাড়িটি সকাল-সন্ধ্যা অপলক তাকিয়ে থাকে ভবিষ্যতের পানে। এ বাড়িটি কখনো ঘুমায় কিনা, নাকি সারাক্ষণ জেগে থেকে রক্তমাখা স্মৃতিকে পাহারা দেয়। এ বাড়িতে এসে সময় যেন থমকে দাঁড়িয়ে আছে। এ বাড়িটি যেন গোটা বাংলাদেশের প্রতীক হয়ে ওঠে। কবি মহাদেব সাহার ভাষায়- এই বাড়িটি বাংলাদেশের প্রাণের ভিতর মর্মরিত এই বাড়িতে শহীদ মিনার, এই বাড়িতে ফেব্রুয়ারি এই বাড়িটি স্বাধীনতা, এই বাড়িটি বাংলাদেশ এই বাড়িটি ধলেশ্বরী, এই বাড়িটি পদ্মাতীর এই বাড়িটি শেখ মুজিবের, এই বাড়িটি বাঙালির! (তোমার বাড়ি) বাড়িটি আজ বাঙালির কাছে এক পুণ্যতীর্থ।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুব দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট। বাংলাদেশ যেন অভিভাবকহীন, পিতৃহীন হয়ে পড়ে। কবির মনে হয়, বঙ্গবন্ধুর অভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেন ক্ষুণ্নমনে কাঁদছে। তার অভাবে বাংলাদেশের দিকে ফিরে তাকানোর কেউ নেই যেন। সবাই যে যার আখের গোছাতে ব্যস্ত। দারুণ উপেক্ষিত বাংলার স্বাধীনতা, বাংলাদেশের মৌলস্বার্থ। যেন সূর্যাস্তের ছায়া ঘনিয়েছে স্বাধীনতার মুখমণ্ডলে, তার চোখে মুখে যেন দুর্ভিক্ষ ও মন্বন্তরের পূর্বাভাস। বঙ্গবন্ধু নেই বলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আজ হেলার বস্তু, অনায়াসে হঠাৎ পাওয়া কোনো সস্তা জিনিসের মতো, স্বাধীনতা যেন এক কৌতুকের সামগ্রী। স্বাধীনতাকে অসম্মান করতে অনেকেই দ্বিধাহীন ধৃষ্টতা দেখায়। কবির ভাষায়- তুমি নেই বলে নেকড়ে বাড়ায় থাবা গ্রীবা তোলে লোলুপ জিরাফ চারদিকে তারাই আবার মেতে ওঠে একদিন যারা এই স্বাধীনতাকেই সমূলে উপড়ে ফেলে দিতে চেয়েছিলো। এমনকি ভিন্ন দেশের নামেও জিন্দাবাদ দিয়ে বিদ্রƒপ করে এই স্বাধীনতাকেই পরিত্যক্ত পতাকাই তার দেহে তুলতে সাহস করে তারা, তুমি নেই তাই জয়বাংলা নিষিদ্ধ এখানে। (তোমার অভাবে এই স্বাধীনতা)

কবি আবারো বঙ্গবন্ধুর আবির্ভাব কামনা করেন এই বাংলার মাটিতে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অবিকল্প, অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নয় মাস কারান্তরালে থাকা সত্ত্বেও তার স্বাধীনতার ঘোষণাকেই চূড়ান্ত বলে গ্রহণ করেছিল যেসব মুক্তিযোদ্ধা তাদের কানে সার্বক্ষণিক ধ্বনিত হতো বঙ্গবন্ধুর তেজোদ্দীপ্ত আহ্বান। তাদের বুকজুড়ে ছিল বঙ্গবন্ধুর উজ্জ্বল উপস্থিতি। কবি মহাদেব সাহা কেবল কবিতা রচনার খাতিরে বঙ্গবন্ধুকে তার কবিতার বিষয়বস্তু করেননি বরং অন্তরের গভীর শ্রদ্ধাবোধ থেকেই তিনি কবিতার অর্ঘ্য নিবেদন করে বঙ্গবন্ধুকে প্রণতি জানিয়েছেন, তার প্রশস্তিবন্দনা করেছেন। একজন কবি হিসেবে নিজ জাতির জনক, নিজ রাষ্ট্রের মহান স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা এবং ঋণ প্রকাশের দায় ও দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার নিয়েই মহাদেব সাহা তার কবিতার মানচিত্রে বঙ্গবন্ধুকে উপস্থাপন করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App