×

অর্থনীতি

ব্যাংকারদের আইসিটিতে দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০১৯, ০২:৫৬ পিএম

ব্যাংকারদের আইসিটিতে দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ
ব্যাংকিং খাতে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুফল পেতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাংকারদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান এবং দক্ষতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় অটোমেশন ব্যবস্থা নিরীক্ষা কার্যক্রম আরো কার্যকর এবং ফলপ্রসূ হবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) ‘ইউজ অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ইন ইনহ্যান্সিং ইফিসিয়েন্সি অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল সিস্টেমস’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালার এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে গবেষণা কর্মশালায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান। আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বিআইবিএমের সাবেক সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলী, বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিতুর রহমান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন। কর্মশালায় গবেষণা দলে অন্যদের মধ্যে রয়েছেনÑ বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত হোসেন, বিআইবিএমের প্রভাষক রাহাত বানু, আল-আরাফাহ ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল হোসেন। কর্মশালার উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বলেন, ব্যাংকিংকে আরো সহজ এবং গতিশীল করতে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোপুরি তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক হলে পরিদর্শন কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের শাখা পর্যায় পর্যন্ত নজরদারি অনেক সহজ হবে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময়ই ব্যাংকিং অটোমেশনের জন্য কাজ করছে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট একটি গাইডলাইনও তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন বলেন, প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের গবেষণা ব্যাংকিং সেক্টরের নীতিনির্ধারণে ও চিহ্নিত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। আমি আশা করি, আজকের বিষয়টির ওপর সবার অভিজ্ঞতা, ধারণা বিনিময় হবে এবং ভবিষ্যতে ব্যাংকের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে গবেষণাটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, সুশাসনের মাধ্যমে আইসিসি এবং আইটিকে ঠিক রাখতে হবে। এতে ব্যাংকিং পেশা আরো ফলপ্রসূ হবে। ব্যাংকিং খাতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে এ জন্য দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা প্রয়োজন। ব্যাংক কর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ জোরারোপ করতে হবে। অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, আইটি ব্যাংকিং খাতের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ব্যাংকিং ব্যবসায় এর প্রয়োগ সুদূরপ্রসারী। আইটি ঝুঁকি কমাতে অনেক সাহায্য করে। আইসিসির দুর্বলতা ব্যাংকের অনেক অনিয়মের জন্ম দেয়। আইসিসিতে দক্ষ জনবল নিয়োগ প্রয়োজন এবং তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে সবার সহযোগিতা দরকার। এ ছাড়া এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে আইটি খাতের উন্নয়ন প্রয়োজন। অধ্যাপক ইয়াছিন আলী বলেন, ব্যাংকিং খাতে শুধু আইটি লোকজনের দক্ষতা থাকলে হবে না। সবার আইটি সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান না থাকলে ব্যাংকিং খাতের প্রসারণ হবে না। মো. মনিতুর রহমান বলেন, ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি প্রযুক্তিভিত্তিক করতে হবে। ব্যাংকিং খাতে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষাকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে। এতে ব্যাংকিং খাত আরো এগিয়ে যাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App