×

সাময়িকী

বাংলা সাহিত্যের ‘মারাং দাই’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০১৯, ০৮:৫৭ পিএম

বাংলা সাহিত্যের ‘মারাং দাই’

তার ঠিকানা ছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। তাই তারা আদর করে মহাশ্বেতাকে ডাকতেন মারাং দাই। অর্থাৎ মা। অথচ আমরা আজও পারিনি তাকে ‘বাংলা সাহিত্যের জননী’ আখ্যা দিতে।

সালটা ১৯৮৪। নৃতত্ত্বের মাস্টার্সের ক্লাস চলছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সিলেবাস অনুযায়ী শিক্ষক পড়াচ্ছেন ভারতের অপরাধী তকমা পাওয়া উপজাতি সম্পর্কে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি। মেদিনীপুরের লোধা, পুরুলিয়ার খেড়িয়া শবর, বীরভূমের ঢিকারো। এক সময় ব্রিটিশ সরকার যে আদিবাসীরা নিয়মিত চাষবাস করে না বা অরণ্যজীবী ছিল তাদের ‘ক্রিমিনাল’ বলে ঘোষণা করেছিল। তাই তাদের নিগ্রহ ও লাঞ্ছনা করার প্রবণতা স্বাধীন ভারতে দীর্ঘদিন চালু ছিল। কিন্তু তাদের এই শাপমুক্তি ঘটল কীভাবে? পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার রাজনওয়াগড় দেবীপ্রসাদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোপীবল্লভ সিংহ দেও ১৯৬৮ সালের ৭ জানুয়ারি নিজেই গড়ে তোলেন পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর কল্যাণ সমিতি। ১৯৮৩ সালের নভেম্বর মাসে মালডির শবর মেলায় লেখিকা মহাশ্বেতা দেবী আসেন। সেই মেলাতেই মহাশ্বেতা দেবী গোপীবল্লভবাবুর প্রতিষ্ঠিত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হন। মেলার মঞ্চ থেকেই তিনি গোপীবল্লভবাবুর অনুরোধে সংস্থার কার্যকরী সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এর কিছুদিন বাদে বিনা কারণে ডাকাতির অভিযোগে ধৃত কেন্দা থানার অকড়বাইদ গ্রামের বুধন শবরকে পুলিশের পিটিয়ে মারে। মহাশ্বেতা দেবী সহ্য করতে পারেননি এ ঘটনা। তিনি হাইকোর্টে কেস করেছিলেন। তার মামলার সার কথা ছিল, ‘হি ইজ বিং বর্ন এজ এ শবর দ্যাটস হোয়াই হি ইজ কিল্ড।’ মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। এই মামলায় মহাশ্বেতা পজিটিভ ভার্ডিক্ট পেয়েছিলেন। ফলে শুধু পুরুলিয়ার শবররা নয়, পুরো ভারতের সব নোটিফাইড ট্রাইব ‘ক্রিমিনাল’ আখ্যা থেকে মুক্তি পেয়েছিল। কাজেই আমার মতো সাহিত্যানুরাগী নৃতত্ত্বের ছাত্রের কাছে তার উচ্চতা সে সময়ে আকাশ ছুঁয়েছিল। স্বাভাবিক প্রবণতায় তার সান্নিধ্যলাভের জন্য ছুটেছিলাম তার বাসায়। ‘তুমি অমিয়র ছেলে? তবে তো তুমি আমার আত্মার আত্মীয়।’ প্রথম আলাপেই বলেছিলেন মহাশ্বেতা। ঘটক পরিবারের সাথে আমার পরিবারের যোগসূত্র পূর্ববঙ্গের সূত্রে। ১৯২৬ সালের ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের পাবনা (অধুনা রাজশাহী) জেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামে মহাশ্বেতার জন্ম। আমার পূর্বপুরুষের বাস একই অঞ্চলে। বাবাকে স্নেহ করতেন। কিন্তু আমি সেদিন প্রথম গিয়েছিলাম তার কাছে। খুশি হয়েছিলেন আমার নৃতত্ত্ব পাঠের কথা জেনে। তার বাসায় তার বিখ্যাত এলোমেলো টেবিল আমাকে ভীষণ আকৃষ্ট করেছিল। গাদাগুচ্ছের খাম, আবেদনপত্র, সরকারি লেফাফা, সম্পাদিত ‘বর্তিকা’ পত্রিকার প্রুফ-কপি সংবলিত টেবিলটি ছিল সর্বাগ্রে আবেদনপত্র লেখার জায়গা। কোনো শবর গ্রামে টিউবওয়েল বসেনি, ব্যাংক কোনো লোধা যুবককে ঋণ দিতে অস্বীকার করেছে, সরকারি দপ্তরে ক্রমাগত চিঠি লেখাই যেন তাঁর প্রথম কাজ। আমার মনে হতো জ্ঞানপীঠ থেকে ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে ভূষিত মহাশ্বেতা যতখানি লেখক, ততখানিই অ্যাক্টিভিস্ট। বলতেন ‘আমার অকাজেই উৎসাহ বেশি’। একবার কোনো কাজে কলকাতায় এসে এক শবর যুবক আস্তানা নিয়েছেন মহাশ্বেতার বাড়িতে। স্নান সেরে বেরিয়ে তাকের উপরে রাখা মহাশ্বেতার চিরুনি দিয়েই ঘসঘস করে চুল আঁচড়ালেন। জাতপাতহীন, শ্রেণিহীন, শোষণহীন সমাজের স্বপ্ন এ শহরে অনেক বামপন্থিই দেখে থাকেন। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত তেল-সাবান চিরুনি অন্যকে ক’জন অক্লেশে ব্যবহার করতে দিতে পারেন? প্রসঙ্গটা তুলতেই মহাশ্বেতা বলেছিলেন, ‘যখন শবরদের কাছে গেলাম, আমার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলে গেল। আদিবাসীদের নিয়ে যা কিছু লিখেছি, ওদের মধ্যেই তা খুঁজে পেলাম।’ মহাশ্বেতার লেখালেখি ছোটবেলা থেকেই। কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ততা, শান্তিনিকেতন থেকে বিএ পাস, স্কুলে শিক্ষকতা, ইনকাম ট্যাক্সে চাকরি নেয়া, তারপরে ফের পোস্টাল অডিটে চাকরি নেয়া, চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া, বিলম্বে এম এ পাস করা, কলেজে শিক্ষকতা করা তার প্রথম জীবনের বোহেমিয়ান জীবনের স্বাক্ষর বহন করে। মাত্র একুশ বছর বয়সে ১৯৪৭ সালে বিয়ে করেন নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যকে। পুত্র নবারুণ। ১৯৬২ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এ সময়ে। ১৯৬৫ সালে বিয়ে করলেন অসিত গুপ্তকে। সে বিয়ে ভেঙে গেল ১৯৭৬ সালে। বিজনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের তেমন কোনো কারণ ছিল না। মহাশ্বেতা দেবীর ভাষায় “আমার ছেলের ১৪ বছর বয়সে ছেলেকে, স্বামীকে ছেড়ে এসেছিলাম। ঠিক করেছিলাম, একা থাকব। এমন নয় যে, বিজন আমাকে কোনো বাধা দিয়েছিলেন। উনি আমার সব কাজেই আমাকে অসম্ভব উৎসাহ দিয়েছেন। বলা যায়, কিশোর নবারুণ আর বিজনকে ছেড়ে আমি বালিগঞ্জ স্টেশন রোডে জ্যোতির্ময় বসুর গেস্ট হাউসের একটা ছোট ঘর ভাড়া নিয়ে চলে আসি। মনে করেছিলাম, আমার ‘একলা হওয়া ’ খুব দরকার। একলা ছিলাম, এটাও সত্যি। আমার সঙ্গে বিজনের কোনো কথাকাটাকাটিও হয়নি। বাট আই ওয়াজ ফোর্সড টু লিভ মাই সান।” কথাগুলো উল্লেখ করলাম একটি কারণে তা হলো গতানুগতিক মানসিকতার মানুষ তিনি ছিলেন না। উল্টোধারায় চলার প্রবণতা তার ছিল প্রথম থেকেই। তিনি ছিলেন দ্রোহের প্রতীক। পরে ব্যক্তিগত সম্পর্ক যতই তলানিতে ঠেকে যাক পুত্র নবারুণ মায়ের মতোই এক স্বতন্ত্র ধারা গড়ে তুলেছিলেন। সেই দ্রোহ সংস্কৃতি। আন্তর্জাতিক মননের সঙ্গে মহাশ্বেতার পরিচয় অবশ্য জন্ম থেকেই। বাবা : কল্লোল যুগের বিখ্যাত লেখক যুবনাশ্ব বা মণীশ ঘটক। কাকা : ঋত্বিক ঘটক। বড় মামা : অর্থনীতিবিদ, ‘ইকনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলি’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা শচীন চৌধুরী। মায়ের মামাতো ভাই : কবি অমিয় চক্রবর্তী। ক্লাস ফাইভ থেকে শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা। সেখানে রবীন্দ্রনাথ বাংলার ক্লাস নেন, নন্দলাল বসু ও রামকিঙ্কর বেইজকে শিক্ষক হিসেবে পাওয়া যায়। এহেন মহাশ্বেতার প্রথম উপন্যাস ‘লক্ষ্মীবাঈ’ ঝাঁসির রাণী ঝাঁসির রাণীর জীবনী অবলম্বনে রচিত। প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫৬ সালে। এই উপন্যাসটি রচনার আগে তিনি ঝাঁসি অঞ্চলে গিয়ে তাঁর রচনার উপাদান হিসেবে স্থানীয় অধিবাসীদের কাছ থেকে তথ্য ও লোকগীতি সংগ্রহ করে এনেছিলেন। ‘ঝাঁসির রাণী’ উপন্যাস ‘দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিক হিসেবে বেরোল এবং একা একা ঘুরে বেড়িয়ে লেখার উপাদান সংগ্রহ করার বিপ্লবিয়ানায় মহাশ্বেতা তাঁর পূর্বসূরি লীলা মজুমদার, আশাপূর্ণাদের থেকে বেশ খানিকটা আলাদা হয়ে গেলেন। এরপরে লিখলেন ঐতিহাসিক পটভূমিকায় ‘নটি’ (১৯৫৬), লোকায়ত নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে লিখলেন ‘মধুরে মধুর’ (১৯৫৮), সার্কাসের শিল্পীদের বৈচিত্র্যময় জীবন নিয়ে লিখলেন ‘প্রেমতারা’ (১৯৫৯), এ ছাড়া যমুনা কি তীর (১৯৫৮), তিমির লগন (১৯৫৯), রূপরেখা (১৯৬০), বায়স্কোপের গল্প (১৯৬৪) লিখলেন। এ সময়ে তিনি অধ্যাপনার চাকরি ছেড়ে পুরো সময়ের লেখক হয়ে যান। ক্রমেই তার উপন্যাসের বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে আদিবাসী ও অরণ্যচারী প্রান্তিক মানুষেরা। তার আদিবাসী জীবনকেন্দ্রিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য : কবি বন্দ্যঘটী গাঞির জীবন ও মৃত্যু (১৯৬৭), অরণ্যের অধিকার (১৯৭৫), চোট্টি মুণ্ডা এবং তার তীর (১৯৮০), সুরজ গাগরাই (১৯৮৩), স্বেচ্ছাসৈনিক (১৯৮৫), টেরোড্যাকটিল, পূরণসহায় ও পিরথা (১৯৮৭), বন্দোবস্তী (১৯৮৯), ক্ষুধা (১৯৯২), কৈবর্ত খণ্ড (১৯৯৪) প্রভৃতি। কিন্তু তিনি বিখ্যাত হয়ে উঠলেন যে উপন্যাসের কারণে তার নাম ‘হাজার চুরাশির মা’। এই উপন্যাসটি ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৭০-এর দশকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই উপন্যাসটি রচিত। তিনি ক্রমে অনন্য হয়ে উঠলেন তাঁর অকুণ্ঠ রাজনৈতিক উচ্চারণেও। ‘অগ্নিগর্ভ’ উপন্যাসের সেই মোক্ষম লাইন : ‘জাতিভেদের সমস্যা ঘুচল না। তৃষ্ণার জল ও ক্ষুধার অন্ন হয়ে রইল রূপকথা। তবু কত দল, কত আদর্শ, সবাই সবাইকে বলে কমরেড।’ তিনি একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। বর্তিকা। বর্তিকার প্রতিটি সংখ্যা, সমাজবিদ্যার গবেষকদের সংগ্রহ করে রাখার মতো। একটি সংখ্যার সূচিপত্র এ রকম : লোধা জীবনের কথা, পশ্চিম মেদিনীপুরের ভূমিদাস প্রথা, ঝাড়খণ্ডের লোকগীতিতে কৃষক, ডোম জাতির কথা, অরণ্যের প্রতিরোধ, বেঙ্গল পেপার মিলের শ্রমিক, নিজের কথা : চুনী কোটাল, এ ছাড়া কিছু গল্প-কবিতা। গল্প লিখেছেন নবারুণ ভট্টাচার্য, অভিজিৎ সেন, জয়ন্ত জোয়ারদার এবং মদন দত্ত, প্রহ্লাদ ভুক্তা, ভজহরি মালো, মনোরঞ্জন ব্যাপারী। এই মদন দত্ত তখন একজন রিকশাচালক। মনোরঞ্জন ব্যাপারী- একজন স্বল্পশিক্ষিত চর্মকার। তার বিছানায় নানা বইপত্র, সঙ্গে লিফলেট। ইটভাটা মজদুর সমিতির, মৃৎশিল্পী কল্যাণ সমিতির। সাহিত্যিকের টেবিল সম্পর্কে ধারণাই পাল্টে গেল। টেবিলে থ্রিলার, কিছু কাগজপত্র আর একটা ট্রানজিস্টার। বলেছিলেন, বিবিধভারতী শুনতে শুনতে তিনি লেখেন। আমি যতদূর জানি, তিনি কমপক্ষে ২০টি সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন যার মধ্যে রিকশা শ্রমিক, বিড়ি শ্রমিক, এমনকি বাউল ফকির, দরবেশ সংগঠনও আছে।

খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যখন তাঁর মুখে শুনেছিলাম দ্রৌপদী, স্তনদায়িনী, বিজন এই তিনটি গল্পই এক দিনে তিনি লিখেছিলেন। মানে এক দিন সকাল থেকে সন্ধ্যে দ্রৌপদী সৃষ্টি হয়েছে, একই রকমভাবে স্তনদায়িনী বা বিজন। প্রচণ্ড প্যাশন, অভিঘাত এবং ভালোবাসা না থাকলে এটা সম্ভব নয়। হাজার চুরাশির মা চার দিনে। ভাবা যায়? তার উপন্যাস লেখা নিয়ে কিছু কথা আমার কাছে শিক্ষা হয়ে উঠেছিল। তা হলো শিকড় খোঁজার চেষ্টা ও ইতিহাস-অন্বেষণ যদি একজন লেখকের মধ্যে না থাকে তাহলে তার লেখা নিছকই লেখার জন্য লেখা হবে। তাঁর কাছেই শিখেছি আখ্যানের ভিতরে কীভাবে মিশিয়ে দিতে হয় গান, কিংবদন্তি, ছড়া, প্রবাদ, লোককথা, ধাঁধা ইত্যাদি নানাবিধ লৌকিক উপাদান। তার কথায় উপন্যাস লিখতে হলে সে জায়গায় যেতে হবে। উপাদান সংগ্রহ করতে হবে। প্রথম উপন্যাস থেকেই তিনি নিজে তা করেছেন। ‘চোট্টি মুণ্ডা আর তার তীর’ উপন্যাসের পটভূমি বিহারের লালমাটির এলাকা ম্যাকলাক্কিগঞ্জ। একবার গিয়ে ওই জায়গাটা লেখকের ভালো লেগেছিল তারপরে পনেরবার গেছেন। তাঁর মতো বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এ সময়ের অন্য কোনো সাহিত্যিকের হয়নি। ভারতের বহু ভাষায় তাঁর বহু লেখা অনূদিত হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য বহু ভাষায়। ২০০৬ সালে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার থিম দেশ ছিল ভারতবর্ষ। উদ্বোধন করেছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ, জার্মান, ইতালিয়ান তো বটেই, জাপানি এবং কোরিয়ান ভাষাতেও তাঁর বই অনূদিত হয়েছে। কিন্তু তার ঠিকানা ছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। তাই তারা আদর করে মহাশ্বেতাকে ডাকতেন মারাং দাই। অর্থাৎ মা। অথচ আমরা আজও পারিনি তাকে ‘বাংলা সাহিত্যের জননী’ আখ্যা দিতে। যেমন তার উপন্যাসকে পাঠভুক্ত করেননি ভারতের নৃতত্ত্বের কুশীলবরাও। আসলে আমাদের দৃষ্টিই বড় সংকীর্ণ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App