শিল্পকলায় যুদ্ধবিরোধী ‘ত্রিংশ শতাব্দী’
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০১৯, ১২:৫১ পিএম
যুদ্ধ উন্মাদনার বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদ ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র মূল কাহিনী পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকির আণবিক বোমা বিস্ফোরণের অপ্রত্যাশিত পরিণতি। এর সমান্তরালে গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বসনিয়া-ফিলিস্তিন, আফগানিস্থান, পাকিস্তান-ভারত, ইরাকে আগ্রাসন, কুয়েত-তিউনিশিয়া-ইয়ামেন-সিরিয়া-তুরস্ক-মিয়ানমার-গুলশানে বর্বর হামলা, নিউজিল্যান্ডের মসজিদে ও শ্রীলঙ্কায় অমানবিক সন্ত্রাসী হামলা, ফেনীর সোনাগাছিতে শিক্ষার্থীকে পুড়িয়ে হত্যা, বরগুনায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা প্রভৃতি নানা প্রসঙ্গ। ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনায় বহুমুখী দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবাজ-যুদ্ধাপরাধী-অশান্তিকামীদের স্বরূপ এবং তাদের কাজের তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী বীভৎসতার চিত্র উদঘাটিত হয়েছে। সভ্যতা ধ্বংসকারী মানবসৃষ্ট যুদ্ধ-গণহত্যা-অনাচারের বিপরীতে মানুষ হিসেবে বর্তমান কর্তব্য অনুধাবন এবং এক্ষেত্রে দর্শককে সিদ্ধান্তগ্রহণের মুখোমুখি স্থাপনই ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার প্রত্যাশা। আর প্রযোজনাটির উপস্থাপনায় প্রয়োগ করা হয়েছে হাজার বছরের নাট্য-ঐতিহ্যের ধারায় আধুনিক ‘বাঙলা নাট্যরীতি’।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে নাট্যসংগঠন স্বপ্নদল তাদের দেশ-বিদেশে প্রশংসিত প্রযোজনা ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র ১০৭তম প্রদর্শনী করে। বাদল সরকারের মূলরচনা অবলম্বনে যুদ্ধবিরোধী গবেষণাগার নাট্য ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র রূপান্তরসহ নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।
‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার গ্রন্থিকেরা হলেন জুয়েনা শবনম, ফজলে রাব্বি সুকর্ণ, সামাদ ভ‚ঞা, শিশির সিকদার, সুমাইয়া আক্তার, শাখাওয়াত শ্যামল, মেহেদী রানা, সোনালী রহমান, অর্ক অপু ও জাহিদ রিপন।
প্রসঙ্গত, ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনাটি দেশের বাইরে জাপানের প্রধান নাট্যোৎসব পৃথিবীখ্যাত ‘ফেস্টিভ্যাল/টোকিও ২০১৮’, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে
ইউরোপের স্বনামখ্যাত নাট্যোৎসব ‘এ সিজন অব বাঙলা ড্রামা-২০১৫’, নয়াদিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি)-তে এশিয়ার বৃহত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ ভারতের রাষ্ট্রীয় নাট্যোৎসব ‘ভারত রঙ মহোৎসব-২০১৫’সহ ভারতের নানাস্থানে আমন্ত্রিত প্রদর্শনীর মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।