×

অর্থনীতি

১০০ মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি করে দেবে রূপালী ব্যাংক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০১৯, ১১:৫৪ এএম

১০০ মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি করে দেবে রূপালী ব্যাংক
২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সরকারিভাবে নেয়া হয়েছে নানা পরিকল্পনা। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রূপালী ব্যাংকও একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। অপেক্ষায় রয়েছে অনুমোদনের। সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পেলেই জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাংকের সিএসআরের আওতায় ২০২০-২১ সালে দেশের ১০০টি উপজেলার ১০০ মুক্তিযোদ্ধাকে একটি করে বাড়ি করে দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রধান। এ ছাড়া এ বছরটিকে রূপালী ব্যাংকের সেবাবর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সম্পদের মান উন্নয়ন ও নিত্যনতুন কৌশলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রূপালী ব্যাংক। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রধান রূপালী ব্যাংককে দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যাংক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এমনকি সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গাতেও তিনি অনেক কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারই অন্যতম কাজ হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া। সম্প্রতি ভোরের কাগজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্ম শততম বর্ষ উদ্যাপনসহ ব্যাংকের উন্নতি সাধনে এবং উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে নতুন নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। আতাউর রহমান প্রধান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম না নিলে এ দেশ হতো কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে এবং আমরা বাঙালি হিসেবে খুবই ভাগ্যবান, এমন একজন নেতা পেয়েছি যার দীর্ঘদিনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে এবং স্বাধীন দেশ হয়েছে। সেই বঙ্গবন্ধু এই ব্যাংকগুলোকে কিন্তু জাতীয়করণ করেছেন আপামর জনগণের সেবার জন্য। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে দেয়া হলো রূপালী ব্যাংকের লোগোটি। আমরা খুবই ভাগ্যবান, বিশেষ করে আমাদের প্রজন্ম সুযোগ পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে। আমাদের ব্যাংক এ বিষয়টাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এমনকি সব মহল থেকেই এ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যে কত ভালোভাবে আমাদের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা যায়। রূপালী ব্যাংক সব সময় সেবার মান যেন ভালো থাকে এটা নিয়ে চিন্তা করে। আর তাই জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাংকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা রাখার জন্য আমরা এটাকে সেবাবর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছি। আতাউর রহমান বলেন, ব্যাংকের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আরো অর্থ থাকলে আমরা হয়তো আরো ভালো কোনো উদ্যোগ নিতে পারতাম। আমরা আমাদের সীমিত ব্যবস্থার জায়গা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মুক্তিযোদ্ধারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায়, দেশ স্বাধীন করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তারা আমাদের সূর্য সন্তান। তাদের কিভাবে পুরস্কৃত করা যায় সেই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ১০০ উপজেলার ১০০ মুক্তিযোদ্ধাকে ১০০টি বাড়ি তৈরি করে দেব। এটা বাস্তবায়ন আগামী বছর থেকে ২০২১-এর মার্চের মধ্যে শেষ করব। সরকারের কাছে ইতোমধ্যে আমাদের এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। অনুমতি পেলেই আমরা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নির্ধারণ করব। রূপালী ব্যাংককে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আতাউর রহমান ইতোমধ্যে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে একমাত্র এই ব্যাংকটিই ২০১৭ সালে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা শিওরক্যাশ চালু করেছে। এ সেবার মাধ্যমে ইতোমধ্যে এক কোটি ৩৬ লাখ মায়ের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যম সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে নতুন করে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য কিছু করার পরিকল্পনা করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App