×

সাহিত্য

বঙ্গবন্ধু হত্যার নীলনকশা ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০১৯, ১১:৫১ এএম

বঙ্গবন্ধু হত্যার নীলনকশা ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’
নাটকের প্রথম দৃশ্যে দেখা যায় ক্যান্টনমেন্টের সেনাসদস্য এবং অফিসারদের মধ্যে গোপন বৈঠক চলে। বৈঠক চলে ১৫ আগস্টকে ঘিরে গড়ে উঠতে থাকা হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পূর্বপরিকল্পনাগুলো ব্যর্থ হওয়ায় পার্টির লোকজনের সঙ্গে তা নিয়ে আফসোস করতে থাকে খন্দকার মোশতাক। মিটিংয়ে পরিকল্পনা চলতে থাকে যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় এবারের আয়োজন। অন্য দৃশ্যে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু তার কিছুই আঁচ করতে পারেন না। বরং তিনি মনোযোগ দেন গ্রামের কৃষকরা কিভাবে ভালো থাকবে, মধুমতি নদীর মাঝিদের পরিবার কিভাবে চলবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের হত্যার নীলনকশার ওপর ভিত্তি করে মঞ্চায়ন হলো মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের নাটক ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’। প্রতিষ্ঠার তিন যুগ পূর্তি উৎসবের সমাপনী দিনে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নাটকটি রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রদর্শিত হয়। প্রযোজনা করেন আনন জামান। পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন আশিক রহমান লিয়ন। নাটকটিতে আরো দেখা যায়, তাজউদ্দীন আহমদ বঙ্গবন্ধুকে এই ঘৃণিত ষড়যন্ত্রের কথা বারবার বলতে আসেন। কিন্তু দেখা যায়, বারবারই হত্যার কথা অবিশ্বাস করে তাকে ফিরিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু। নাটকে মেজর জিয়া, লেফটেন্যান্ট কিসমত, মেজর নূর, মেজর হুদা ও অন্য হত্যাকারীদের বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিচার করা হয়। তাদের খুনিদের ধূসর অতীত থেকে তাড়িয়ে আনা হয় বর্তমানের রঙ্গমঞ্চে। ক্ষমতালোভী সামরিক প্রভুদের ষড়যন্ত্রের সব সুতা একটি একটি করে খুলে এবং নিগূঢ় সত্য উন্মোচনের অভিপ্রায় রচিত হয়েছে নাটকটিতে। নাটকের শেষ ভাগে সুলতানা কামাল আর্তনাদ করে বলেন, জানো কি মানুষ! শ্রাবণ কতখানি শ্রাবণ হলে বত্রিশ নম্বর বাড়িটির সিঁড়ির রক্তচিহ্ন মুছে দেয়া যাবে। মহাকাল নাট্যসম্প্রদায় জানিয়েছে, মহান এই নেতার হত্যাকারী সামরিক ও রাজনৈতিক বেনিয়া এবং খুনিদের মুখোশ উন্মোচনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে সতর্ক করাই এই নাটকের মূল উদ্দেশ্য। নাটকটিতে অভিনয় করেন মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ৪০ জন সদস্য।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App