×

জাতীয়

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০১৯, ০৪:০৮ পিএম

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে সদর উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরাতন ভাঙা অংশ দিয়ে বন্যার পানি দ্রুতবেগে প্রবেশ করে চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ১ মিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা কাছাকাছি অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে শেরপুর-জামালপুর সড়কের নন্দীর বাজার পোড়ার দোকান কজওয়ের (ডাইভারশন) ওপর দিয়ে প্রায় দুই ফুট উচ্চতায় বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ওই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করেেছ। কিন্তু যেকোনো সময় শেরপুর থেকে জামালপুর হয়ে ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এদিকে ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ১ সপ্তাহে ঢলের পানিতে ডুবে নারী, কিশোর ও শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেরপুর জেলা ত্রাণ ও পুন:বাসন অধিদপ্তর স‚ত্রে জানা গেছে, ভারী বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরের ৫ টি উপজেলার ৩৭টি ইউনিয়নের ১৮৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ৬৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। জেলার সর্বত্র শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় ১ সপ্তাহ ধরে পাঠদান বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোকসেদুর রহমান। জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, বন্যায় জেলার বিভিন্ন পুকুর, জলাশয় এবং খামারের মাছ ভেসে এবং পাড় ভেঙে প্রায় ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় ১২৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত এবং ৭৪৭ হেক্টর রোপা আমন ধানের বীজতলা এবং ১৬৫ হেক্টর জমির আউস ধানের ক্ষেত পানিতের ডুবে গেছে। এপর্যন্ত বন্যা দুর্গতদের মাঝে ৩৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে এবং নতুন করে ঝিনাইগাতী উপজেলার জন্য ১০ মেট্রিক টন এবং শেরপুর সদর উপজেলার জন্য ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটিএম জিয়াউল ইসলাম বলেন, পানিবন্দি এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম কাজ করছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App