চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার লক্ষ্যে ভারতীয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-২ আগামী সপ্তাহে ফের উড়ালের চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। আগামী ২২ জুলাই, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে প্রায় এক হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত মহাকাশযানটি যাত্রা শুরু করবে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার জানায় ইসরো। খবর এনডিটিভি। এর আগে গত সোমবার ভোর রাতে মনুষ্যবিহীন মহাকাশযানটির উড্ডয়নের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে তা স্থগিত হয়। অভিযান সফল হলে ভারত হবে চন্দ্রবিজয়ী চতুর্থ দেশ। এর আগে রাশিয়া (সোভিয়েত ইউনিয়ন), যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহে নামতে পেরেছে। যানটি উৎক্ষেপণের প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সর্বোচ্চ সতর্কতা নিশ্চিত করতে চন্দ্রযান ২-এর উড্ডয়ন পিছিয়ে দেয়া হয়। এক কর্মকর্তা জানান, সমস্যাটি গুরুতর হলেও এর সমাধান ছিল সোজা। সৌভাগ্যবশত, আমরা আগেই সমস্যাটি ধরতে পারি। অন্যভাবে বললে, ১০০ কোটি ভারতীয়দের প্রার্থনা ও শুভেচ্ছাই আমাদের এ অভিযানকে পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। উৎক্ষেপণের অল্প সময় আগে শেষ পর্যায়ের ‘ক্রায়োজেনিক স্টেজে’ ওই ত্রু টি ধরা পড়ে। তখন চন্দ্রযান-২ এর বহনকারী রকেট ‘বাহুবলী’ থেকে প্রবলবেগে দাহ্য তরল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন বের হয়ে আসছিল। ৬৪০ টন ওজনের, ১৫ তলা উঁচু এ জিএসএলভি এমকে থ্রি রকেট বাহুবলীই চন্দ্রযান-২ এর অরবিটার, ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও রোভার ‘প্রজ্ঞান’কে চাঁদের পথে নিয়ে যাবে। চাঁদের যে অংশে চন্দ্রযান-২ নামতে যাচ্ছে সেখানে এর আগে কোনো দেশের কোনো মহাকাশযান নামেনি। অভিযানটি সফল হলে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তুলনায় ২০ ভাগের একভাগ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া ইসরোর জন্য এ হবে এক বিরাট মাইলফলক। যে খরচে ভারতের এ চন্দ্রাভিযান হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে হলিউডের ব্লকবাস্টার ছবি ‘অ্যাভেঞ্জার: এন্ড গেম’।