×

সাময়িকী

বেদনা জাগানিয়া স্মৃতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০১৯, ০৮:৫০ পিএম

বেদনা জাগানিয়া স্মৃতি
বেদনা জাগানিয়া স্মৃতি

শান্তনু যে গান করত, সেটা আমি জেনেছি অনেক পরে। কলকাতার তারা মিউজিক চ্যানেলে প্রায়ই ওর গান প্রচারিত হতো। হ্যাট মাথায় শান্তনু তার গায়কীর গুণে বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছিল।

গত ১০ জুলাই চট্টগ্রামে অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন আহমদের স্মরণসভায় গিয়ে শুনলাম আমাদের স্নেহভাজন নাট্যজন-সঙ্গীতশিল্পী শান্তনু বিশ্বাস হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরদিনই বোধহয় তাকে ঢাকা আনা হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। আর ১২ তারিখেই অসময়ে নিভে গেল তার জীবন প্রদীপ। আশির দশক থেকে শান্তনুকে চিনতাম চট্টগ্রামের একজন নিবেদিতপ্রাণ নাট্যকার, নির্দেশক ও নাট্য সংগঠক হিসেবে। ওর লেখা ‘ইনফরমার’ নাটকটি আমরা ১৯৯২ সালে থিয়েটার পত্রিকায় প্রকাশ করি। চট্টগ্রামের নাট্যদলগুলো দুটো শিবিরে বিভক্ত। কিন্তু শান্তনু এবং তার দল থিয়েটারের রাজনীতিতে জড়ায়নি। ও আপন মনে নিজের কাজটা করে গেছে। কারো সম্পর্কে কোনো নিন্দাবাক্য শান্তনুর মুখে কোনোদিন শুনিনি। শান্তনু যে গান করত, সেটা আমি জেনেছি অনেক পরে। কলকাতার তারা মিউজিক চ্যানেলে প্রায়ই ওর গান প্রচারিত হতো। হ্যাট মাথায় শান্তনু তার গায়কীর গুণে বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছিল। পেশাগত জীবনে শান্তনু ছিল খুবই নামকরা টি-টেস্টার। দীর্ঘদিন কাজ করেছে চট্টগ্রামের ইস্পাহানীতে। ইস্পাহানী টি লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে উন্নীত হয়েছিল। টে ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছে শান্তনু বিশ্বাস। সাংস্কৃতিক জীবনে তার আচরণে কখনো টের পাওয়া যেত না যে সে এত বড় পদে কর্মরত ছিল। আমাদের বন্ধু বেহ্রুজ ইস্পাহানী সব সময় আমার কাছে শান্তনুর খুব প্রশংসা করত। কেবলই মৃত্যুর মিছিল। মমতাজ সাহেব চলে গেলেন, চলে গেল মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আর তারপরেই শান্তনু বিশ্বাস।

নিভৃতচারী গুণী এই মানুষটি আমাদের হৃদয়ে বেদনা জাগিয়ে পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চ থেকে প্রস্থান করল।

শান্তনু, তুমি যেখানেই থাকো, আনন্দে থেকো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App