ভারতের মিনি রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ড. ডিওয়াই পাতিল ক্রিকেট একাডেমিকে ৩০০ রানে আটকে রেখেছে মুমিনুল হকের নেতৃত্বে গড়া বিসিবি একাদশ। স্কোর ৯০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০০ রান। গতকাল কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে বোলিং করতে নামে বিসিবি একাদশ। শুরুটা ভালোই হয় তাদের। দলীয় ২ রানের ভিতরেই প্রথম আঘাতটা হানেন টাইগার পেসার শহিদুল ইসলাম। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মান্নান ভোহরাকে বোকা বানিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। টাইট বোলিং করার কারণে প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগেই আরো একটি উইকেট পেয়ে যায় বিসিবি একাদশ। ব্যক্তিগত ২০ রানে আরেক ওপেনার হার্দিক তামোরেকে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার করেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় সেশন শুরু হবার ৮ ওভারের মধ্যেই আবারো আঘাত হানেন তাইজুল। দলীয় ৯৮ রানে নওশদ শেখকে ফিরিয়ে পাতিল ক্রিকেট একাডেমির তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান এই স্পিনার। ৬ চারে ৩৮ রান করা নওশাদকে কাজী নুরুল হোসেনের ক্যাচ বানান তাইজুল। তবে উইকেট তোলার এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি বিসিবি একাদশ। চতুর্থ উইকেটে পাতিল ক্রিকেট একাডেমির হয়ে বড় এক জুটি গড়েন দুই ব্যাটসম্যান আশয় সারদেশাই এবং শুভাম রঞ্জনে। দ্বিতীয় সেশনের বাকি ওভারগুলো উইকেটে অটল থেকেই কাটিয়ে দেয় তারা। তবে দিনের শেষ সেশন শুরু হওয়ার ৬ ওভারের মধ্যেই দলকে আবারা ব্রেক থ্রু এনে দেন তাইজুল। দলীয় ১৮৪ রানে ফিফটি করা শুভামকে ফিরিয়ে ৮৬ রানের জুটি ভাঙেন এই স্পিনার। এরপর থেকেই দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকে পাতিল ক্রিকেট একাডেমি। সঙ্গে উইকেটও হারাতে থাকে তারা। দিনের ১৫ ওভার শেষ হওয়ার আগেই ২২২ রানে আরো দুই উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে ঝড়ো এক জুটি গড়ে দলের মান বাঁচান দুই ব্যাটসম্যান আশয় এবং আমান খান। ১০ ওভার না পেরোতেই ৫০ রান তুলে ফেলে তারা। যার মূল কৃতিত্ব আমান খানের। ৩ চার ও ৪ ছয়ে মাত্র ২৯ বলে ৪৩ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন তিনি। দিনের শেষ উইকেটটাও নিজের ঝুলিতে রাখেন তাসকিন। দলীয় ২৯২ এবং ব্যক্তিগত ৪ রানে ইকবাল আবদুল্লাহকে ফিরিয়ে দলের অষ্টম উইকেটটি তুলে নেন এই পেসার। এক প্রান্ত আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করেন পাতিল ক্রিকেট একাডেমির ব্যাটসম্যান আশয় সারদেশাই। তার অপরাজিত ১১২ রানের কারণে প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রানের সংগ্রহ করে দলটি। বিসিবি একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন তাইজুল। তাসকিন ২ উইকেট এবং সমান ১টি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম ও নাইম হাসান। আজ দ্বিতীয় দিনে মুকেশ চৌধুরী ৪* এবং আশয় সারদেশাই ১১২* ব্যাটিংয়ে নামবেন।