×

জাতীয়

বিপদসীমার উপরে মৌলভীবাজারের ৩ নদীর পানি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০১৯, ০৪:০৪ পিএম

বিপদসীমার উপরে মৌলভীবাজারের ৩ নদীর পানি

মৌলভীবাজার সৈয়ারপুর এলাকার একটি মসজিদ পানির নিচে

মৌলভীবাজারের ৩টি নদীই বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ধলই নদীর কমলগঞ্জে রামপাশায় আরও একটি ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে এ নিয়ে ধলাই নদীতে ভাঙ্গন দিয়েছে মোট ৪টি। এ ভাঙ্গনে অন্তত ২০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। আর কুশিয়ারা শেরপুরের হামরকোনা এলাকায় পাড় ডুবে ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে ভারি বর্ষনে লাউয়াছড়া বনে পাহাড় ধ্বসে গাছপড়ে এক ঘন্টা বন্ধ ছিলো সিলেটের সাথে রেল যোগাযোগ। অন্যদিকে অতিরিক্ত জেলা মো: মামুনুর রশিদ (সার্বিক) জানান, পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে নেমে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মৌলভীবাজার শেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অরবিন্দু পোদ্দার বাচ্চু জানান, মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদীর পাড় ডোবে হামোরকোনা এলাকায় ও নদীর পাশের রাস্থা ভেঙ্গে এবং ব্রাক্ষনগ্রামে সড়কের উপর দিয়ে পানি উপচে ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। উজানের ঢল ও অতিবৃষ্ঠিতে মৌলভীবাজারে নদ নদীর পানি বেড়ে গত তিন দিনে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সদর উপজেলার হামোরকোনা এলাকায় ভাঙ্গন এবং ব্রাক্ষন গ্রাম এলাকায় পানি উপচে খলিলপুর ইউনিয়নে প্লাবিত হয়েছে ৬টি গ্রাম। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যার্থরা। এদিকে মনু নদীর পানিতে মৌলভীবাজার শহরের সৈয়ারপুর এলাকার অন্তত ২শত বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। সৈয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা আমেনা বেগম জানান, তিন ধরে তার তারা পানি বন্দি। তারা কোথায় যাবে কি খাবে এখন পর্যন্ত কেউ তাদের কিছু জানায়নি। তারা চরম দূর্ভোগে আছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ চক্রবর্তী জানায়, সোমবার সকালে মনু নদীর চাঁদনী ঘাট এলাকায় বিপদসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, কুশিয়ারা শেরপুর হামরকোনা এলাকায় ৫২ সেন্টিমিটার এবং ধলাই নদী ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে সকালে লাউয়াছড়া বনে রেল লাইনের উপর পাহার ধ্বসে গাছ পড়ে বন্ধ ছিলো এক ঘন্টা ট্রেন চলাচল। এদিকে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২১ মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্ধ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মামুনুর রশিদ জানান, ৪১৯ মেট্রিক টন চাল ও কয়েক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App