×

জাতীয়

হাঁটু পানির নিচে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০১৯, ১২:১৭ পিএম

হাঁটু পানির নিচে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল
টানা বৃষ্টিপাতের ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে হাঁটু পানিতে ডুবে আছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলা। এতে ৬৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম এক প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নিম্নাঞ্চল হওয়ায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া আশপাশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসপাড়ার নালা নর্দমাগুলো জ্যাম হয়ে পানি নামতে দেরি হচ্ছে। তাদের দাবি, সাময়িক ব্যাঘাত ঘটলেও তারা রোগীদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন। গতকাল শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, নিচতলা পানিতে থইথই করছে। জরুরি বিভাগ, অভ্যর্থনা বিভাগ, টিকেট কাউন্টার, লিফট রুম, বহির্বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগ ও এবাদতখানাসহ পুরো হাসপাতাল চত্বরই হাঁটু পানিতে তলিয়ে আছে। অনেক রোগী ও তাদের স্বজন বেঞ্চের উপর দিয়ে পানি পার হচ্ছেন। হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ দ্বিতীয় তলায় সীমিত আকারে বহির্বিভাগের কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। নিচতলায় হাঁটু পানিতেই চলছে বহির্বিভাগের রোগীদের টোকেন দেয়ার কার্যক্রম। আগ্রাবাদ এলাকার এক বাসিন্দা ভোরের কাগজকে বলেন, স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনার পর শুনলাম জলাবদ্ধতার কারণে জরুরি বিভাগে সেবা দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। ঘণ্টা-দুয়েক অপেক্ষার পর জানলাম জরুরি বিভাগ হাসপাতালের দোতলায় স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু বিকেল ৪টায়ও জরুরি বিভাগ দোতলায় স্থানান্তর করা হয়নি। আরেক রোগীর স্বজন বলেন, আমার বাচ্চাকে চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। নিচতলায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে জরুরি বিভাগে সেবা দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তার মধ্যে পচা পানির দুর্গন্ধে টেকা দায়। এই পানিতে হাঁটলেই হাত-পা চুলকাচ্ছে। এ ছাড়া সাপের ভয়তো আছেই। এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক নুরুল হক ভোরের কাগজকে বলেন, বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের পানি আটকে যাওয়াও এই হাসপাতালের জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ। প্রতিবছর বর্ষাতেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এবারও আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে নিচের রোগীদের আমরা দ্বিতীয় তলায় শিফট করেছি। সীমিত আকারে আউটডোরসহ অন্যান্য ওয়ার্ডেও চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। তাই চিকিৎসা নিতে এসে কোনো রোগীকে ফেরত যেতে হবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App