×

খেলা

নতুন চ্যাম্পিয়নের অপেক্ষায় বিশ্ব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০১৯, ১২:৩১ পিএম

দেড় মাসের ক্রিকেটীয় লড়াই এখন শেষের দিকে। আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি আছে। সেটি হলো ফাইনাল। যেখানে লড়বে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও গত আসরের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড। লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা দুটি দলই সেমির লড়াইয়ে বাদ পড়েছে। লিগ পর্বে দারুণ আধিপত্য দেখিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকেই ফাইনালে উঠেছিল ভারত। অথচ ভাগ্যের কী নিমর্ম পরিহাস! বিরাট কোহরির দল সেমির লড়াইয়ে হেরে গেল পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে থেকে শেষ চারে ওঠা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। অন্যদিকে পারফরমেন্সের বিচারে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচে অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন অজিরাই ফেভারিট ছিল। লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে থেকেই সেমিতে উঠেছিল দলটি। শেষ চারের লড়াইয়ে তারা হেরে গেল পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে থেকে সেমিতে ওঠা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেমিফাইনালে দুই ফেভারিট ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার হার এটাই বুঝিয়ে দেয় যে ক্রিকেটকে কেন গৌরবময় অনিশ্চিয়তার খেলা বলা হয়। প্রথম সেমিফাইনালে মাত্র ২৩৯ রানের পুঁজি নিয়েও নিউজিল্যান্ড ভারতকে হারিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া। যেটা জানাই ছিল। তবে ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে অজিরা অলআউট হয় মাত্র ২২৩ রানে। ‘অস্ট্রেলিয়া শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে। তারা কখনো ম্যাচ জয়ের আশা ছাড়ে না।’- এমন একটা কথা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সেটার প্রমাণ পেলাম না। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে লক্ষ্য খুবই অল্প। তাই বলে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের সামনে ফিঞ্চের দলের বোলাররা যে এত সহজে আত্মসমপর্ণ করবে সেটা ভাবিনি। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জেসন বেহেরনড্রপরা ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি। সত্যি বলতে সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের কাছে এমন হতাশাজনক পারফরমেন্স প্রত্যাশা করিনি। যাই হোক, ইংল্যান্ড জেতাতে ভালোই হলো। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড দুটি দলই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি। সে হিসেবে ২৩ বছর পর নতুন কোনো দলের হাতে উঠতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা। শেষবার ১৯৯৬ সালে নতুন দল হিসেবে শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল। আমার মতে, এটা ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক। কেননা, এতে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলো অনুপ্রাণিত হবে। তাদের মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মাবে যে পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে মাঠে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারলে ফাইনালে যাওয়া কিংবা শিরোপা জেতা অসম্ভব কিছু নয়। একটা বিষয় আমাকে খুব ভাবাচ্ছে। আমি মনে করি, শক্তির বিচারে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে তেমন কোনো ফারাক নেই। বরং বাংলাদেশকে কিউইদের চেয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখতে হবে। অথচ তারা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। আর টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শেষ করতে হয়েছে পয়েন্ট টেবিলের আট নম্বরে থেকে। এটা সত্যি আক্ষেপের ও হতাশার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App