মেয়র এডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলমের যোগ্য নেতৃত্ব এবং পরিকল্পিত নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বদলে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চিত্র। প্রায় ৩২৯ কিলোমিটার বিশাল আয়তনের ৪০ লাখের অধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত গাজীপুর সিটিকে আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নেয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হয়ে সরকারও বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে এ মহানগরীকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরবাসীকে নগরের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন ৩ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। নগরীর প্রথম নির্বাচিত মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান ও ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ যেখানে ৫ বছরে ১০০ কোটি টাকাও সরকারি বরাদ্দ আনতে পারেননি, সেখানে দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র আট মাসেই নগরীর উন্নয়নের জন্য সরকারি ফান্ড থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন পেয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। এ বিষয়ে সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম আলাপকালে সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বয়স ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে। ৮ মাসের দায়িত্ব পালনকালে তিনি যে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ পেয়েছেন তার পুরোটাই ব্যয় হবে নগরীর নানা উন্নয়নে। মেয়র বলেন, ৮ মাসের দায়িত্ব পালনকালে নগরীর উন্নয়নের জন্য সরকারের কাছ থেকে সাত হাজার ২৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৫ জুন একনেকের বৈঠকে গাজীপুর সিটির জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৩ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন জোনের প্রধান সংযোগ রাস্তাগুলো প্রশস্তকরণসহ নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণের জন্য এ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। মেয়র আরো বলেন, নগরীর বিদ্যুৎ অপচয় রোধ ও সাশ্রয়ের জন্য সোলার প্যানেল এনার্জি সেইভার সড়কবাতি স্থাপন, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ, সিটি করপোরেশনের জন্য এসফল্টপ্লান্ট তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ, কবরস্থান নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন দাতা সংস্থার অনুদানে সুয়ারেজ ক্লিনার ট্রাক, হাইড্রোলিক কমপেক্টর ট্রাক, টায়ার এক্সেভেটর, চেইন ড্রেজার, ১৫ টনের ১০টি ডাম্প ট্রাক ও ২৪টি কনটেইনারসহ ৪টি হাইড্রোলিক কনটেইনার ট্রাক আনা হয়েছে। এসব উন্নয়ন কাজের বেশিরভাগেরই টেন্ডার হয়ে গেছে। আর বেশ কিছু কাজ চলমান রয়েছে। সিটি করপোরেশনের ৩ হাজার ৯০০ জনের জনবল কাঠামো অনুমোদিত হয়েছে। যার নিয়োগ প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে। পুরো সিটিকে ৮টি জোনে ভাগ করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। সিটির নিজস্ব প্রকল্প ছাড়াও ৪২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্প ও ঢাকা বাইপাস সড়কের উন্নয়নে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। যার সমন্বয় করছে সিটি করপোরেশন। এ প্রকল্পগুলো শেষ হলে নগরবাসী তাদের দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখতে পারবে। মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশ ঘুরে পরিকল্পিত শহর দেখে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছি। বিশেষ করে চীনের কুনমিং শহরের মেয়রের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক একটি চুক্তি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন আধুনিক শহরের আদলে গাজীপুরকে আকর্ষণীয় ও পরিকল্পিত আধুনিক নগর হিসেবে গড়ে তোলাই এখন প্রধান লক্ষ্য। এ জন্য তিনি নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।