×

খেলা

অভিজ্ঞতার গুরুত্ব বুঝিয়ে দিল স্মিথ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০১৯, ০১:২৪ পিএম

আগের দিন শক্তিশালী ভারতকে বিদায় করে দ্বাদশ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। অনেকেই এটিকে অঘটন বলছেন। তবে আমি সেটা মানতে নারাজ। যোগ্য দল হিসেবেই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে কিউইরা। ম্যাচটির ভেন্যু ছিল ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়াম। এই ম্যাচের উইকেট ছিল মন্থর। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে উইকেট হারানোর পরই নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছিল। পরের ব্যাটসম্যানরা উইকেট বোঝে ব্যাটিং করেছে। বিশেষ করে রস টেইলরের কথা বলতে হয়। সে নিজের অভিজ্ঞতার শতভাগ প্রমাণ দিয়েছে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে। কিউইরা জানত যে আড়াইশর আশপাশে পুঁজি নিয়েও ম্যাচ জেতা সম্ভব। আর তারা সেভাবেই ব্যাটিং করেছে। সেদিক থেকে ভারতের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা উইকেটের আচরণ বুঝতে পুরোপুরি ব্যর্থ। আর সেটারই ফল বিরাট কোহলির দলের বিদায় এবং নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠা। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে গতকাল স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটি হয়েছে বার্মিংহামের এজবাস্টনে। গতকাল এজবাস্টনের উইকেটও ছিল অনেকটাই ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের মতোই। এরপরও টস জেতা দল আগে ব্যাটিং নেবে সেটা নিশ্চিতই ছিল। এদিনও এর ব্যতিক্রম হয়নি। রান তাড়া করে ম্যাচ জেতাটা যেন এবারের বিশ্বকাপে দুঃসাধ্য কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগের প্রায় সবকটি ম্যাচেই প্রথমে ব্যাটিং করা দল জিতেছে। দেখা গেছে আগে ব্যাটিং করে তিনশোর্ধ্ব রানের টার্গেট দাঁড় করাতে পারলে প্রতিপক্ষের জন্য সেটা তাড়া করে ম্যাচ জেতা সম্ভব হয় না। সেমিফাইনালে তো ভারতকে ২৪০ রান তাড়া করেও জিততে দেয়নি নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও রান তাড়ার ঝুঁকি নিতে চায়নি। এ কারণে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ফিঞ্চ। তার লক্ষ্য ছিল উইকেট যেমনই হোক স্কোরবোর্ডে অন্তত আড়াইশর মতো রান তোলা। অস্ট্রেলিয়ার দুর্ভাগ্য! পুরো টুর্নামেন্টে দুই অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। কিন্তু সেমিতে এসে তারা দলের জন্য কিছুই করতে পারল না। স্টিভ স্মিথের প্রশংসা করতেই হয়। বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টগুলোতে অভিজ্ঞতা কতটা জরুরি সেটা গতকাল স্মিথ বেশ ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে। বলতে গেলে ইয়ন মরগানের দলের বোলারদের বিপক্ষে সে একাই লড়াই করেছে। প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন দলের বিপর্যয়ে স্লো উইকেটে ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে যেভাবে ব্যাটিং করেছিল গতকাল স্মিথ যেন সেটিরই পুনরাবৃত্তি করল। ৮৫ রানের ইনিংস খেলতে এদিন স্মিথ মাত্র ৬টি চার মেরেছে। খেলেছে ১১৯ বল। ভারতের বিপক্ষে ৯৫ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছিল উইলিয়ামসন। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে অভিজ্ঞদের কাছে এমন দায়িত্বশীল ব্যাটিংই তো কাম্য। আগের ম্যাচগুলোর মতো দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও ইংল্যান্ড পাঁচ পেসার নিয়ে খেলেছে। একমাত্র স্পিনার হিসেবে ছিল আদিল রশিদ। বল হাতে সবাই সফল। আমি আগেরদিন বলেছিলাম যে ইংল্যান্ডের বোলিং লাইনআপে সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো তারা কোনো একজন বোলারের ওপর নির্ভরশীল নয়। সবাই ফর্মে আছে। আর সবাই উইকেট পাচ্ছে। প্রতিটি বোলারের ছন্দে থাকার সুফল গতকালও পেল মরগানের দল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App