×

খেলা

ফাইনালের টিকেট কার হাতে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০১৯, ০২:৫৩ পিএম

ফাইনালের টিকেট কার হাতে
দ্বাদশ বিশ্বকাপের দুই হট ফেভারিট ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আজ। দুই দলের মধ্যকার লিগ পর্বের ম্যাচটি জিতেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তবে আজকের ম্যাচটির মাহাত্ম অনেক বেশি। কেননা এই ম্যাচটি যে সেমিফাইনালের। অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া নাকি ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড কোন দলের হাতে উঠবে ফাইনালের টিকেট সেটাই এখন ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। অ্যারন ফিঞ্চ এবং ইয়ন মরগান দুজনই অভিজ্ঞ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইনিংস ওপেন করেন ফিঞ্চ। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম ভরসা মরগান। তাই আজকের ম্যাচে ক্রিকেটপ্রেমীদের বিশেষ নজর থাকবে মরগান ও ফিঞ্চের দিকে। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলে কে তার দলকে ফাইনালের টিকেট এনে দিতে পারেন সেটাই এখন দেখার পালা। অ্যারন ফিঞ্চের ওয়ানডে অভিষেক হয় ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। শুরুর দিকে দলে অনিয়মিত ছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার। তবে এখন তার কাঁধেই টিম অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব। জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ১১৮টি ওয়ানডে খেলে ৪৫৫৯ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে আছে ১৫ সেঞ্চুরি ও ২৪ হাফসেঞ্চুরি। ফিঞ্চের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ এটি। ২০১৫ সালের প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নেন তিনি। ওই আসরে ৮ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ১ হাফসেঞ্চুরিতে ২৮০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ২০১৯ বিশ্বকাপে ইতোমধ্যেই নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন এই অজি ব্যাটসম্যান। লিগ পর্বের ৯ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফসেঞ্চুরিতে করেছেন ৫০৭ রান। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় এখন পঞ্চম স্থানে আছেন তিনি। ফিঞ্চের নেতৃত্বে এবারের আসরে লিগ পর্বের ৯ ম্যাচের ৭টিতেই জিতেছে অজিরা। সব মিলিয়ে তার অধিনায়কত্বে অস্ট্রেলিয়া এ পর্যন্ত ২৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ১৭টিতেই জয় পেয়েছে। সে হিসেবে বেশ সফলই বলা যায় ফিঞ্চকে। অন্যদিকে অভিজ্ঞতার বিচারে ফিঞ্চের চেয়ে ঢের এগিয়ে আছেন ইয়ন মরগান। বর্তমানে ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলতেন। আইরিশদের জার্সিতেই ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তার। ২০০৯ সাল থেকে তিনি ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলা শুরু করেন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২৩৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ১৩ সেঞ্চুরি ও ৪৬ হাফসেঞ্চুরিতে ৭২৯৪ রান করেছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের হয়ে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে খেলেছেন মরগান। এ ছাড়া তার নেতৃত্বেই অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে অংশ নেয় ইংলিশরা। ওই আসরটা অবশ্য মোটেই ভালো কাটেনি ইংল্যান্ডের। সেবার তাদের বিদায় নিতে হয়েছিল গ্রুপপর্ব থেকে। এরপরও মরগানের ওপর ভরসা রাখে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। আস্থার প্রতিদানটা ঘরের মাঠে চলমান দ্বাদশ বিশ্বকাপে বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছেন মরগান। ইংল্যান্ডের সেমিতে ওঠার পেছনে রয়েছে মরগানের বিচক্ষণ ও বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বের অবদান। এ ছাড়া ব্যাট হাতেও দারুণ সফল তিনি। দ্বাদশ বিশ্বকাপের ৯ ম্যাচের ৬টিতে জয় পেয়েছে মরগানের দল। তারা সেমিতে উঠেছে তিন নম্বর দল হিসেবে। দলের মতো ব্যাট হাতে সফল মরগান নিজেও। ৯ ম্যাচে ৮ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরি ও ১ হাফসেঞ্চুরিতে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩১৭ রান। এর মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৪৮ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। ওই ম্যাচে তিনি ১৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন, যা ওয়ানডেতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। সব মিলিয়ে ২২টি ছক্কা হাঁকিয়ে দ্বাদশ বিশ্বকাপে ছক্কাবাজদের তালিকায় এখন শীর্ষে আছেন মরগান। এ ক্ষেত্রে মরগানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন ফিঞ্চ। অজি দলপতি আছেন সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানো ব্যাটসম্যানদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। তার নামের পাশে আছে ১৮টি ছক্কা। মরগানের নেতৃত্বে এ পর্যন্ত ১০৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে জয় পেয়েছে ৬৭টি ম্যাচে। তার নেতৃত্বে আজ আরো একটি জয় পাবে ইংল্যান্ড এমনটিই চাওয়া ইংলিশ সমর্থকদের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App