×

মুক্তচিন্তা

সরকারের ৬ মাস : একটি পর্যালোচনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০১৯, ০৯:৪৬ পিএম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি এই মেয়াদে দেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন এটি এই ৬ মাসে অনেকটাই বুঝা গেছে। মন্ত্রিপরিষদের ওপর তার যেমন নিয়ন্ত্রণ আছে অনেকেই সেভাবে কাজও করছেন। তারপরও তার এই মেয়াদের সরকার আরো বেশি সফল হওয়ার জন্য যদি মন্ত্রণালয়কে সম্প্রসারণ করতে হয় কিংবা কাউকে বাদ দিতে হয় সেটি তার এখতিয়ারের বিষয়।

গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেয়াদের সরকার গঠন করে যাত্রা শুরু করেন। নতুন এই মন্ত্রিসভায় অনেক নতুন মুখ ছিলেন অনেক পুরাতন নেতা বাদ পড়েছেন। তা নিয়ে দেশে দুধরনের মত ছিল। এক. এত নতুনদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পারবেন তো? দুই. পুরাতনদের অভিজ্ঞতা থেকে নতুন মন্ত্রিসভা বঞ্চিত হচ্ছে না তো? দুই প্রশ্নেরই উত্তর আমরা ধীরে ধীরে পেতে শুরু করেছি। এরই মধ্যে সরকারের ৬ মাস পূর্ণ হয়েছে। তবে এই নিয়ে খুব বেশি আলাপ-আলোচনা হয়নি। তেমন কিছু আলোচনা না হলেও এই ৬ মাসে সরকারের নতুন-পুরাতন মন্ত্রীদের পারফরমেন্সের অভিজ্ঞতা তো প্রতিদিনই কম-বেশি জানা যাচ্ছে। সেই হিসেবে বিগত ৬ মাসের সরকারের মন্ত্রিসভায় কার্যক্রমের একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা তুলে ধরা হলে আশা করি খুব বেশি প্রশ্নবোধক হবে না। এই মেয়াদে সরকারের যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের কয়েকজন গত ৬ মাসের তাদের মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব সম্পর্কে এক ধরনের ধারণা দেশবাসীকে দিতে পেরেছেন। কয়েকজন মন্ত্রী এখন অনেকেরই আলোচনায় উঠে এসেছেন। মজার বিষয় হলো এদের কেউই আগে মন্ত্রী ছিলেন না, এমনকি দুয়েকজন সংসদ সদস্যও ছিলেন না। কিন্তু তারা দায়িত্ব লাভের পর এমন কিছু কাজে হাত দিয়েছেন যা অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা তো দূরে থাক আওয়ামী লীগ সরকার পূর্ববর্তী অন্য কোনো সরকারের কাছ থেকে পাওয়া কোনো নজির স্থাপিত হয়নি।

এ প্রসঙ্গে বলা যায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম ঢাকা শহরে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে যেভাবে আইনসম্মতভাবে মাঠে নেমেছেন তা সবারই দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে। ঢাকা শহরের বেশকিছু ইমারতের অগ্নিসংযোগ ঘটেছে। তাতে নিরীহ প্রাণের হানি ঘটেছে। অতীতেও এ ধরনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মানুষ মারার ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোতেও তদন্ত হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার এসব অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে পুরাতন ঢাকা এবং অভিজাত ঢাকা বলে পরিচিত এলাকাসমূহে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল বিশাল ইমারতের ভিতরে অগ্নুৎপাতের মতো নানা দাহ্য বস্তু একাকার হয়ে আছে, ইমারতগুলো বেশিরভাগই বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত হয়েছে। এর সঙ্গে রাজউক এবং ভবন মালিকদের দুর্নীতিতে একাত্ম হয়েই এমন ঢাকা শহর আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে যেখানে যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে ইমারত ধ্বংস হওয়া, আগুনে পুড়ে মানুষ মরা ইত্যাদি ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়টি মন্ত্রী মহোদয় খুব দৃঢ়তার সঙ্গে সামনে নিয়ে এসেছেন। ফলে অপরাধী চক্র তাদের অপরাধকর্মের জন্য বিশেষ কোনো ফন্দিফিকির এঁটেও খুব একটা পার পেয়ে যাবেন এমনটি মনে হচ্ছে না। গণপূর্তমন্ত্রী আরো কিছু দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার মন্ত্রণালয়ের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এতে সব মহলের কাছেই তাকে একজন সাহসী এবং দৃঢ়চেতা মন্ত্রী হিসেবে মানুষের কাছে মনে হয়েছে। তিনি নিজে একজন আইনজীবী। এক সময় আইনজীবীদের বড় সংগঠনের বড় দায়িত্বও পালন করেছেন। ফলে তিনি আইনের প্রতি সচেতন থেকে এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন, কোনো রকম ফাঁকফোকর থাকবে না, অপরাধীরা বের হয়ে আসবে না- এমনটি সমাজ সচেতন মানুষ তার কাছ থেকে আশা করছেন। আমরা আশা করব তিনি সেই আশা বাস্তবায়নে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাবেন।

ঢাকা শহরের চারপাশে নদী দখলের বিষয়টি বহুল আলোচিত বিষয়। বহু প্রভাবশালী ব্যক্তি বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালুচর নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা গেড়ে দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছে। নদীগুলো তাদের দখলে চলে গেছে। পরিবেশবাদীরা অনেক আন্দোলন করেছেন, কাজ হয়নি। কিন্তু নৌপ্রতিমন্ত্রী পদে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি দায়িত্ব নেয়ায় অবস্থান পাল্টে যেতে থাকে। খালিদ চৌধুরী বয়সে বেশ তরুণ। তবে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় তিনি বেশ এগিয়ে ছিলেন- এটি গণমাধ্যমে তার রাজনৈতিক টকশোর আলোচনাতে অনেকেই বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি যখন দায়িত্ব পেয়েছিলেন তখন হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেননি যে, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, নারায়ণগঞ্জ ইত্যাদি নদী তীরবর্তী অঞ্চলে যেসব মহাশক্তিধর ব্যক্তি নদীর জায়গা দখল করে দিব্যি বসে আছেন তাদের কেশ স্পর্শ করতে পারবেন কিনা, স্পর্শ করলেও সে পর্যন্ত ধরে রাখতে পারবেন কিনা এমন আশঙ্কা প্রায় সবাই করেছেন। কিন্তু গত ৬ মাসে তিনি তো এই অভিযানে বলা চলে পুরোপুরি সফল হয়েছেন। আমরা আশা করব নৌপ্রতিমন্ত্রী সারাদেশের ভূমিদস্যুদের দ্বারা যেসব নদী, নদীবন্দর, জলাশয় দখল হয়ে আছে সেগুলোকেও উদ্ধার করার জন্য বাকি সাড়ে চার বছর নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।

সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিশেষ একটি জায়গা করে নিতে পেরেছেন। তিনি সংসদ সদস্য নন টেকনোক্র্যাট কোটায় প্রতিমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। এর আগে হেফাজতের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব ও ভুল বোঝাবুঝি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে তার একটি ভূমিকা ছিল বলে অনেকে জানতেন। কিন্তু তিনি ততটা সম্মুখে ছিলেন না। যদিও তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে অনেকদিন থেকেই জড়িত আছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি যে কাজটি বিশেষভাবে করতে পেরেছেন বলে সবাই মনে করছেন তা হচ্ছে হজে যাওয়া-আসা নিয়ে হাজিদের বিড়ম্বনা, হাব সদস্যদের নানা ধরনের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ইত্যাদি নিয়ে প্রতি বছর একটি অনাকাক্সিক্ষত অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে সবাইকে যেতে হতো- সেই দীর্ঘদিনের অনিয়ম দূর করার উদ্দেশ্যে তিনি এবং তার মন্ত্রণালয় এবার সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটা চুক্তিতে উপনীত হতে পেরেছেন যার মাধ্যমে এবার হজের বিষয়টি অনেক বেশি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হওয়ার নজির স্থাপিত হয়েছে। এমনটি অনেকেই আগে আশাও করতে পারেনি যে, এই জটিলতা থেকে আমরা এত দ্রুত বের হয়ে আসতে পারব। ই-ভিসা পদ্ধতি, ঢাকা বিমানবন্দরে উভয় দেশের ইমিগ্রেশন সমাপ্তকরণ, টিকেট নিশ্চিতকরণ, সৌদি আরবে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি বিষয়গুলোকে একটি প্যাকেজে এনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী যেভাবে এবার হজের কাফেলা সুশৃঙ্খল করেছেন সেটি সব মহলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, প্রশংসারও দাবি করছে। আমরা আশা করব ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বাকি সাড়ে চার বছর ধর্ম মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের বিতর্কের ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে পারবেন। আমরা এটাও আশা করব দেশের অন্য ধর্ম সম্প্রদায়রাও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ভালোভাবে সম্পন্ন করা এবং তাদের উপাসনালয়গুলো সুরক্ষিত থাকাসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতভাবে পাবে।

সড়ক ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগেও এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারো তিনি মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন। মধ্যখানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন বিদেশে চিকিৎসায় থেকেছেন। সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তিনি সড়কেই অনেক বেশি সময় কাটিয়েছেন। এ খাতের উন্নয়নে নানা ধরনের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সন্দেহ নেই বাংলাদেশে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করা মোটেও সহজ কাজ নয়। তবে ওবায়দুল কাদের অনেকদিন থেকেই এই দায়িত্বে থাকায় বড় বড় সড়ক, ব্রিজ ও মেগা প্রকল্প তিনি সম্পন্ন করার সুযোগ পেয়েছেন। এবার ঈদের আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কুমিল্লা রুট পুরোপুরি কাক্সিক্ষত মানে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ, পদ্মা সেতু এবং দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় শিগগিরই প্রকল্পসমূহ সমাপ্ত হবে। আশা করা যাচ্ছে এ সরকারের হাত দিয়েই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আধুনিকায়নের উদ্যোগ দৃশ্যমান হবে। এ ছাড়া ঢাকার মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েসহ যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি নগরবাসী লক্ষ করবে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন কৃষিবিদ ও রাজনীতিবিদ। দেশে এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় তার মন্ত্রণালয়ের কর্মচাঞ্চল্য নতুনভাবে বেড়ে গেছে। কৃষিকে এখন আর আগের শ্রমনির্ভর রাখা যাবে না। এটিকে প্রযুক্তিতে আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে হবে। সবাই আশা করছেন ড. আব্দুর রাজ্জাক দেশে কৃষি ব্যবস্থাপনায় আওয়ামী লীগ সরকারের যে সাফল্যের ঐতিহ্য রয়েছে সেটিকে নতুন উচ্চতায় নিতে পারবেন। সে ধরনের কথাবার্তা তার কাছ থেকে শোনা গেছে। এখনই আগামী বছরের কৃষি উৎপাদন, বিপণন, রপ্তানিকরণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, আমদানি ও প্রয়োগ, কৃষককে দক্ষ করা ইত্যাদি উদ্যোগ নিয়ে যদি তার মন্ত্রণালয় কাজ করতে থাকে তাহলে আগামী বছর অধিক ফসল হাতে নিয়ে কৃষকের কোনো ক্ষোভের কথা শুনতে হবে না।

আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই পদে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বেশ ঠাণ্ডা মাথায় তার দায়িত্ব তিনি পালন করে যাচ্ছেন। সে কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে আগে যে ধরনের আলোচনা-সমালোচনা হতো সেটি আসাদুজ্জামান কামাল দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে শোনা যায় না। সন্ত্রাস দমনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ দৃঢ় এবং কঠোর আছে। মন্ত্রীর কথাবার্তাও বেশ সংযত।

আরো কিছু মন্ত্রণালয় যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করেই কাজ করছে বলে মনে হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, রেল মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ- জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় খাদ্যসহ আরো কিছু মন্ত্রণালয় নীরবেই কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত নেতিবাচক কোনো প্রচারণা নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কেও কোনো নেতিবাচক প্রচারণা নেই। তবে এ দুটো মন্ত্রণালয় দেশের বিশাল শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আগামী দিনগুলোতে কী ধরনের নতুন পরিকল্পনায় কাজ করতে যাচ্ছেন সেটি এখনো জনসম্মুখে খুব একটা আলোচনায় আসছে না। অথচ প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সর্বস্তরে শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি এখনো পর্যন্ত থমকে আছে। কীভাবে সম্মুখে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত মান বৃদ্ধি করা যাবে, জনসম্পদ সৃষ্টি করা যাবে, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার কমানো যাবে, আবার উচ্চশিক্ষাকে গবেষণামুখী করার কোনো বিকল্প যে নেই সেটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে সেসব নিয়ে দুই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো তাদের কার্যক্রম স্পষ্ট করছে না। আমাদের ধারণা আলোচিত মন্ত্রণালয়গুলোর মতো না হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক ধরনের পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে এখনই কার্যকর এবং দৃশ্যমান কিছু পদক্ষেপ নেয়া শুরু করতে হবে। তাহলেই আমরা একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য মেধাবী, দক্ষ এবং অভিজ্ঞ শিক্ষার্থী তৈরি করতে সক্ষম হবো।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি এই মেয়াদে দেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন এটি এই ৬ মাসে অনেকটাই বুঝা গেছে। মন্ত্রিপরিষদের ওপর তার যেমন নিয়ন্ত্রণ আছে অনেকেই সেভাবে কাজও করছেন। তারপরও তার এই মেয়াদের সরকার আরো বেশি সফল হওয়ার জন্য যদি মন্ত্রণালয়কে সম্প্রসারণ করতে হয় কিংবা কাউকে বাদ দিতে হয় সেটি তার এখতিয়ারের বিষয়। আমরা আশা করব বাকি সাড়ে চার বছর তিনি বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সফল হবেন।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App