×

মুক্তচিন্তা

রাজটিকেট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০১৯, ০৮:৫৫ পিএম

তার অপরাধ, তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য। মাতৃভূমির জন্য। এই মাসেই তাকে হত্যা করে আতাইকুলা এবং সাঁথিয়ার মাঝামাঝি একটি গ্রামের বাঁশঝাড়ের ভেতরে ফেলে দিয়েছিল চতুষ্পদদের খাদ্য হিসেবে। তার জন্মভূমি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গত শতকের বিশ-বাইশ সালে। দেশপ্রেম তাকে পেয়ে বসেছিল। যেহেতু তিনি নিজেই জনপ্রিয় ছিলেন ‘জন্মভূমির ওপরে- পৃথিবীতে অন্য কিছু নেই।’

হিতোপদেশকারী ঈশপ ছিলেন ক্রীতদাস। তার বুদ্ধিমত্তার কথা জেনে প্রভু তাকে মুক্তি দিয়েছিলেন। একদা এক হাড়ের গলায় বাঘ ফুটেছিল, নাকি বাঘের গলায় শক্ত কোনো হাড়? অনেক গবেষক বলেছিলেন হাড়ের গলায় বাঘ, আবার অন্য গবেষকার জানিয়েছিলেন, বাঘের গলায় হাড়। অর্থাৎ সঠিক তথ্যটা হতে পারত, ঈশপের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে গবেষকরা যদি তার সবগুলো উপদেশমূলক ছোট ছোট গল্পগুলো পড়তেন- তখন তারা জানতে পারতেন ঈশপের জন্ম যিশু খ্রিস্টের অনেক আগে। তিনি দুষ্টু প্রকৃতির লোক ছিলেন নাকি সম্মানিত হিতোপদেশকারী হিসেবেই, প্রাচীনকালের মানুষদের তিনি হিতোপদেশ দিতেন, সেটি আরো স্পষ্ট হতো।

আমাদের কৈশোরে প্রথম পাঠ্য ছিল ঈশ্বরচন্দ্র শর্মার বা বিদ্যা সাগরের বর্ণমালার প্রথমভাগ। সেখানেই তিনি কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের যেসব হিতোপদেশ দিয়েছিলেন বোধহয় প্রথমটি ছিল- (১) সদা সর্বদা সত্য কথা বলিবে, (২) গুরুজনদেরকে ভক্তি করিবে, (৩) অতি প্রত্যুষে ঘুম হইতে উঠিবে, (৪) পড়ালেখা করিবে। বিদ্যাসাগরের সেই হিতোপদেশ বা অমর বাণীগুলো এখনো মেনে চলি। চলার চেষ্টা করি।

অপরদিকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে ঈশপ আমাদের জানিয়েছেন অনেকগুলো হিতোপদেশ, তার স্মরণযোগ্য হিতোপদেশ এখনো মাত্র কয়েকটি মনে আছে, যদিও তিনি অনেকগুলো উপদেশই দিয়েছিলেন, বোধকরি তিনি লব্ধ অভিজ্ঞতা থেকেই, এমনকি মানব চরিত্রের নানাদিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেই ভেবেছিলেন আগামীর প্রজন্মের জন্য তিনি যা কিছু তার জীবনে দেখেছিলেন কিংবা শুনেছিলেন সেগুলোকে লিপিবদ্ধ করা, তিনি করেও ছিলেন তাই, তাই আমরা আমাদের স্কুল জীবনের তৃতীয় শ্রেণিতে পাবনা জিলা স্কুলে ১৯৫৬ সালে ভর্তির মাসখানেক পরেই একদিন সুন্দর শিক্ষক সুন্দর জামা কাপড় সজ্জিত হয়ে ক্লাস থ্রি থেকে শুরু করে ক্লাস সেভেনের ছাত্রদের স্কুলের ফুটবল খেলার মাঠের ভেতরে বসিয়ে শুনিয়েছিলেন প্রথমে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অমূল্য বাণীগুলো। দিন কয়েক পরে অনুরূপভাবে আমাদের সেই শিক্ষকই মাঠে শুনিয়েছিলেন ঈশপের কয়েকটি গল্প। যার কয়েকটি এখনো মনে আছে (১) বাঘ ও ভেড়ার গল্প, (২) ব্যাঙেরা কিশোরদের কী বলেছিল, (৩) বন্ধুকে ভালুক কি বলেছিল এবং (৪) বক ও শেয়ালের গল্প। ঈশপ তার সূক্ষ্ম রসবোধ এবং তীক্ষ্ন বিচক্ষণতা দিয়ে গল্পগুলোকে গল্প হিসেবে বললেও সেগুলো যে সত্যিকারের হিতোপদেশ হাজার কয়েক বছর পরে মানুষ বুঝতে পেরেছিল। পাবনা জিলাস্কুলে সেই শিক্ষক শিশু-কিশোরদের জন্য অনেকগুলো বই লিখেছিলেন, যার ভেতরে ছিল রূপকথা, উপকথা এবং হিতোপদেশ। তিনি স্বনামধন্য শিশু সাহিত্যিক তাসাদ্দুক হোসেন লোহানী। তার বাড়ি শহরের পূর্বদিকের বেহারাপাড়া মহল্লায়। তার বড় ছেলে শামীম লোহানী আমাদের সহপাঠী ছিল, দৈবাৎ একটি দুর্ঘটনায় সহপাঠী না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে।

আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক তাসাদ্দুক লোহানীদের পরিবারের নাম তৎকালীন পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ শিক্ষিতরা জানতেন। স্যারের দুই অনুজ ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা ফতেহ লোহানী, যিনি ১৯৭৫ সালে মারা গিয়েছিলেন। স্যার মারা যাওয়ার অনেক আগেই কিশোর-কিশোরীদের জন্য লিখেছিলেন- (১) রূপকথার মায়াপুরী, (২) রূপকথার স্বপ্নপুরী, (৩) ঈশপের গল্প। তার আরেক অনুজ ফজলে লোহানী প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের অত্যন্ত জনপ্রিয় উপস্থাপক। বিশিষ্ট মুক্তচিন্তার ধারক কামাল লোহানী সম্ভবত অন্য ভাইয়ের ছেলে। তবে স্যারের যে ছেলেটি শামীম লোহানী আমার সহপাঠী ছিল তারই অনুজ সাকিব লোহানী, তিনি একজন নামকরা কবি।

স্কুল জীবনের সোনায় রাঙানো দিনগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেল। তপ্ত রোদে পিচ ঢালা পথে চলতে চলতে পেছন ফিরে তাকালেই এখনো দেখতে পাই, পাবনা জিলাস্কুলের প্রিয় শিক্ষক স্যারের জ্যোতির্ময় চেহারা- যিনি ১৯৮১ সালে ছেড়েছেন এই মায়াময় স্বপ্নপুরী।

স্কুল জীবনের মাঝামাঝি সময়ে কয়েকজন শিক্ষকের নাম এখনো স্মৃতিতে সমুজ্জ্বল। তাসাদ্দুক স্যারের পাড়াতেই থাকতেন আরেকজন শিক্ষক তিনি সত্যেন পাল। পাল স্যার এত মৃদুলয়ে কথা বলতেন আমরা যারা স্কুলের প্রথম বা দ্বিতীয় বেঞ্চে বসতাম, তারাই শুনতে পেতাম তার ইংরেজি পাঠদান। আমাদের সিনিয়র ক্লাসের ছেলেদের কাছ থেকে শুনেছিলাম, সত্যেন পাল স্যার কেন এত আস্তে আস্তে কথা বলেন তার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- পাল স্যার নাকি শহরের মাঝখানের বিশাল জুবিলী ট্যাংকে অর্থাৎ সেই বিশাল পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পুকুরের সিঁড়ি থেকে প্রতিদিন ড্রাইভ দিতেন, তার ছাত্র অবস্থায় তো হঠাৎ একদিন ড্রাইভ দিতে গিয়ে বুকে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলেন। সেই আঘাতে বুকের ফুসফুস নাকি হার্ট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাড়াতাড়ি কলকাতায় ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। পাল স্যারকে দেখে ডা. বিধান নাকি বলেছিলেন ছেলেটির হার্ট বদলাতে হবে, বানরের হার্ট দিয়ে বা কলিজা দিয়ে- তারপর থেকেই সত্যেন পাল স্যারের কণ্ঠস্বর নিচুলয়ে নেমে গিয়েছিল সবই শোনা কথা। তিনিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শেষে যোগ দিয়েছিলেন পাবনা জিলাস্কুলে সম্ভবত ৪০ দশকে।

আরেকজন শিক্ষক ছিলেন তিনিও কলকাতা হয়তো আলিয়া মাদ্রাসা বা অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা শেষে পাবনা জিলাস্কুলে ৪০ দশকেই যোগ দিয়েছিলেন। একজন উর্দুর বা আরবির শিক্ষক হিসেবে যার ফলে সেই শিক্ষকের নামের আগে যুক্ত হয়েছিল মৌলানা বিশেষণটি। মৌলানা কসিম উদ্দিন আহমদ, কোথাও তিনি মৌলানা বা মৌলভি ছিলেন কিনা সেই কথা আমরা কোনোদিনই শুনিনি। তবে শুনেছিলাম স্কুল জীবনেই তার বাড়ি ছিল উল্লাপাড়ায়। যেমন উল্লাপাড়ারই কৃতিসন্তান-সন্তানেরা লোহানী পরিবার।

মৌলানা কসিম উদ্দিন স্যারকে দেখতাম মাথায় জিন্নাটুপি, তার কাজ ছিল স্কুলের খেলাধুলা থেকে শুরু করে সামাজিক এবং শিল্প-সাহিত্যসহ পাঠাগার নির্মাণ। পাবনা শহরের রাধানগর মহল্লায় তিনি একটি পাঠাগার নির্মাণ করেছেন, যেটি এখনো সমুজ্জ্বল। তিনি যে শিক্ষাদান আমাদের দিয়েছিলেন তার একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। কসিম উদ্দিন স্যার একদিন আমাদের মতো পামরদের ক্লাসে এসে পড়াতে পড়াতে কয়েকটি কথা বলেছিলেন, যা এখনো চিরতরে সব মানুষের জন্য চিরসত্য। আমরা সবে তৃতীয় শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণিতে পা দিয়েছি সে বছর ক্লাসের ক্যাপটেন সাধুপাড়ার তবিবুর শুকনো পাতলা এককায়া রোগা সে পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণিতে ভালো ফলাফল করলেও তারচেয়ে অনেক বেশি ভালো করেছিল কাচারীপাড়ার কামাল। আমি পামর, আমার ফুফুর ছেলে বাচ্চু কোনো রকমে পাস করে উঠেছিলাম ক্লাস ফোরে। ১৯৫৭ সালের জানুয়ারির প্রচণ্ড শীতের দিনে, আমাদের স্কুলের শিক্ষকরা ক্লাসে আসতেন একটু দেরি করে। সকালের রোদে নিজেকে ভিজিয়ে নিয়ে তারা আসতেন ক্লাসে।

সুজানগরের আবদুল জব্বার (এমএ ক্যাল.) সে বছর ছিলেন আমাদের ইংরেজি শিক্ষক এবং মিশনপাড়ার অঙ্কের আবদুল জলিল স্যার এমনকি মৌলানা কসিম উদ্দিন স্যারকেও দেখেছি শীতের রোদ পোহাতে। এ ছাড়া ড্রিল মাস্টার ভুপেন চাকি, তিনি প্রায়শই সকালের রোদের ভেতরে হাত উপরের দিকে তুলে একবার ডানে আরেকবার বামে এই রকম বেশ কিছুক্ষণ করার পরেই শুরু হতো জাতীয় সংগীত এবং তাসাদ্দুক স্যারসহ অনেক শিক্ষককেই দেখেছি পাকিস্তানের পতাকা তুলতে।

আমাদের ড্রিল, প্যারেড সবকিছু শেষ হওয়ার পরে শুরু হতো লেখাপড়া, লেখার চেয়ে পড়া না পারলে নিত্যনৈমিত্তিকভাবে আমরা অনেকেই শিকার হয়েছি ক্লাসের বেঞ্চের ওপর কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকা, কান মলা, নেইল ডাউন- তাতেও আমি আর বাচ্চু অপমানিত বোধ করিনি। অপমানিত বোধ করলাম ক্লাস ফোরে যেদিন পড়া পারলাম না, সেদিনই আমাকে আর বাচ্চুকে ক্লাস ক্যাপটেন তবিবুর হেড মৌলানার নির্দেশে ইচ্ছেমতো কান ডলে দিল আমাকে, বাচ্চুকে এবং শহরের চারতলা ভবনের শেখ আবদুল হাদীকে (হাদী পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন গত ০৭/০৬/১৯) স্কুল ছুটির পর আমরা তিনজনই ঠিক করলাম তবিবুর শালাকে উচিত শিক্ষা দেব, শিখিয়ে দেব কান ধরে অতি জোরে মলে দেয়ার সাধ। আমাদের ইচ্ছায় বাদ সাধল কাচারীপাড়ার কামাল। কামাল জানাল, তবিবুরকে তোরা যদি মারিস ভালো হবে না, ওর মামা পুলিশের দারোগা। ওর আত্মীয় পাগলা বাদশা ভাই, আমাদের দুই ক্লাস উপরের, তাকে অথবা হেড মৌলানা স্যারকে যদি জানায় তুই, হাদী, বাচ্চু ওকে মেরেছিস তাহলে কালকেই তোদের তিনজনকেই স্কুল থেকে রাজটিকেট দিয়ে বের করে দেবে। সহপাঠী কামালের কথাটি খুবই যুক্তিসঙ্গত মনে হলো। তবে ‘রাজ টিকেট’ বস্তুটি কি তখনো ভালো করে জানতাম না, শুধু জানতাম মারামারি করলে স্কুল থেকে বের করে দেয়। তাই ভেবে আমরা তিনজনই মারামারি না করে পড়ালেখার দিকে মন দিয়েছিলাম। পড়ালেখা না পারলে যেন ভবিষ্যতে ক্লাস ক্যাপটেন তবিবুরের হাতে কান ডলা আর খেতে না হয়।

দিন দুয়েক পরে হেড মৌলানা স্যার ক্লাসে এসে আমরা জনাকয়েক বাদে অনেক ছাত্রকেই তিনি বললেন পামর, তোদের দিয়ে কিছু হবে না, ভবিষ্যৎ অন্ধকার, তবে আজকে তোদের একটি প্রশ্ন করব, প্রশ্নের সঠিক উত্তর যে দিতে পারবে, তাকে হেড মাস্টার সাহেবের লেখা ‘মায়াপুরী’ বইটি উপহার দেব। আমরা পামরেরা চিৎকার করে বললাম বলুন স্যার, বলুন স্যার। প্রশ্নটি অতি সহজ ‘পৃথিবীর ভেতরে সবচেয়ে ভালো দেশ, ভালো গ্রাম কোনটি?’ হাদী, আশুতোষ, ইকবাল প্রায় সমস্বরে বলল ঢাকা, কাদের এবং গোপাল ঘোষ বলল কলকাতা, বাচ্চু বলল করাচি, তবিবুর বলল মক্কা-মদিনা। কালো কুচকুচে মোটা সিরাজ বলল পৃথিবীর ভেতরে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছে চীন দেশ, ওই দেশে আমার মামা পড়াশোনা করেন। হেড মৌলানা তখন বললেন- শোন পামরেরা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জায়গা হচ্ছে উল্লাপাড়া, যে পাড়ায় আমার জন্ম। জন্মস্থানই হচ্ছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জন্মভূমি।

হেড মৌলানা কসিম উদ্দিনকে আইয়ুব সরকার সম্ভবত জুররতে পাকিস্তান, সব দিয়েছিলেন তবে জুন মাস ১৯৭১ সালে তাকেই মৌলানা সোবহান না-পাক আর্মিদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন- তার অপরাধ, তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য। মাতৃভূমির জন্য। এই মাসেই তাকে হত্যা করে আতাইকুলা এবং সাঁথিয়ার মাঝামাঝি একটি গ্রামের বাঁশঝাড়ের ভেতরে ফেলে দিয়েছিল চতুষ্পদদের খাদ্য হিসেবে। তার জন্মভূমি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গত শতকের বিশ-বাইশ সালে। দেশপ্রেম তাকে পেয়ে বসেছিল। যেহেতু তিনি নিজেই জনপ্রিয় ছিলেন ‘জন্মভূমির ওপরে- পৃথিবীতে অন্য কিছু নেই।’

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মৌলানা সোবহান, মৌলানা ইসহাক ভুলে গিয়ে হয়েছিলেন না-পাকিদের সমর্থক। ঈশপের সেই বন্ধুর গল্প।

মাকিদ হায়দার : কবি ও প্রাবন্ধিক

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App