×

সাহিত্য

শিল্পকলায় শুরু হলো জাতীয় চারুকলার ২৩তম আসর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০১৯, ১২:১৯ পিএম

শিল্পকলায় শুরু হলো জাতীয় চারুকলার ২৩তম আসর
গ্যালারিতে ঢুকেই শৈশব উসকে উঠল! মেঝের এক পাশে বিশাল এক লাটিম ঘুরছে। এর দু’পাশেই ছড়িয়ে আছে নানা রঙের, নানা ডিজাইনের চোখ ধাঁধানো বুক কাঁপানো শৈশব উসকে দেয়া লাটিম। এর বামে ঘুরতেই দেখা গেল সাদা দাবার গুটি! ঘরময় আলো করে তাও ঘুরছে। অন্যরকম ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ আর সাপ। চোখ ধাঁধিয়ে দেয়া দৃশ্য! আরো ভেতরে অপার বিস্ময়! যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক ঘটনার দৃশ্যায়নের অনুপম সৌন্দর্য! এমন সব প্রাণ ছুঁয়ে যাওয়া শিল্পকর্ম নিয়ে গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত একুশ দিনব্যাপী জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীর ২৩তম আসর। বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং বরেণ্য চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন চারুকলা বিভাগের পরিচালক শিল্পী আশরাফুল আলম পপলু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে মোট ৮টি পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। একটি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার যার আর্থিক মূল্যমান দুই লাখ টাকা ও চারটি বিভাগীয় চিত্রকলা, ভাস্কর্য, ছাপচিত্র, নিউমিডিয়া সম্মানসূচক পুরস্কার প্রদান করা হবে। যার আর্থিক মূল্যমান এক লাখ টাকা। এ ছাড়াও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন পুরস্কার এক লাখ টাকা, দীপা হক পুরস্কার বিশ হাজার টাকা ও চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন পুরস্কার পঞ্চাশ হাজার টাকা। পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন শিল্পী কামরুজ্জামান যার আর্থিক মূল্যমান ২ লাখ টাকা।? চিত্রকলা, ভাস্কর্য, ছাপচিত্র, স্থাপনা এই চারটি বিভাগে সম্মানসূচক পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী রাফাত আহমেদ বাঁধন, শিল্পী তানভীর মাহমুদ, শিল্পী রুহুল করিম রুমী, শিল্পী সহিদ কাজী। প্রতিটির আর্থিক মূল্যমান ১ লাখ টাকা। এ ছাড়াও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী উত্তম কুমার তালুকদার যার মূল্যমান ১ লাখ টাকা। দীপা হক পুরস্কারটি পেয়েছেন সুমন ওয়াহিদ যার মূল্যমান ২০ হাজার টাকা ও চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন পুরস্কারটি পেয়েছেন শিল্পী ফারিয়া খানম তুলি যার মূল্যমান ৫০ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এইচ টি ইমাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পদচারণা পড়েনি এমন কোনো মাধ্যম নেই। যিনি শিল্পকলা একাডেমি যেমন প্রতিষ্ঠা করেছেন তেমনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ইসলামী ফাউন্ডেশনও। এমনকি টেক্সটাইল কলেজও তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে একটি আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণের চেষ্টা করে গেছেন, সেখানে শিল্পীদেরও অবদান রয়েছে। প্রদর্শনীতে ৩১০ জন শিল্পীর ৩২২টি শিল্পকর্ম স্থান পাচ্ছে। চিত্রকলা, ছাপচিত্র, ভাস্কর্য, কারুশিল্প, স্থাপনা ও ভিডিও আর্ট মাধ্যমের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়াও আছে কৃৎকলা (পারফরমেন্স আর্ট)। আবেদনকারী ৮৫০ জন শিল্পী থেকে বাছাইকৃত ৩১০ জন শিল্পীর ৩২২টি শিল্পকর্মের মধ্যে ১৫৯টি চিত্রকলা, ৪৫টি ভাস্কর্য, ৫০টি ছাপচিত্র, ১৭টি কারুশিল্প, ৮টি মৃৎশিল্প, ৩৭টি স্থাপনা ও ভিডিও আর্ট ও ৭টি কৃৎকলা (পারফরমেন্স আর্ট)।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App