×

জাতীয়

বরিশালের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, দুর্ভোগে মানুষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০১৯, ০৬:৪৮ পিএম

অমাবস্যার প্রভাবে বরিশাল জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বরিশাল নগরীসহ জেলার হিজলা, মুলাদী, বাবুগঞ্জ ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল জোয়ারের সময় অন্তত তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। ভাটার সময় উঁচু এলাকার পানি নেমে গেলেও এসব এলাকার চরাঞ্চল পানিতে ডুবে আছে। হঠাৎ করে পানিতে এলাকা ডুবে যাওয়ায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। রাস্তাঘাটেও পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বেল্লাল হোসেন বলেন, নিম্নচাপের কারণে সাগরে ৪ নম্বর সতর্কতা ও নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ কারণেই নিম্নাঞ্চল নিমজ্জিত হতে পারে বলে তিনি জানান।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে বরিশালের বিভিন্ন নদীতে ২ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহিত হয়। আর এই জোয়ারের পানি প্রবাহিত হওয়ায় নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খ্রিস্টানপাড়া, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়ানগর, রূপাতলী, আমানতগঞ্জ, পলাশপুর, রসুলপুর, মোহাম্মদপুরসহ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার পাকা সড়ক হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যানবাহন ও পথচারীদের।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকে কীর্তনখোলায় অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডের জিয়ানগর, রূপাতলী, চাঁদমারী, রসুলপুর, স্টেডিয়ামের পেছনের অংশ, পাউবো দপ্তরের একাংশ, চাঁদমারী, নবগ্রাম সড়ক, বেলতলা, পলাশপুর এলাকা এবং সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ও চরবাড়িয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন সুরুজ জানান, চরবাড়িয়া ইউনিয়নের চরআবদানী, রাঢ়ীমহল, উত্তর ও দক্ষিণ লামচরী এলাকায় হাঁটু সমান পানি উঠেছে। ওইসব গ্রামের বাসিন্দা কেউ চুলায় রান্না করতে পারছেন না।

শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের আরিফুর রহমান মুন্না জানান, শায়েস্তাবাদের পানবাড়িয়া, চরহবিনগর, হায়াতনগর, কোদালিয়া ও চররাজাপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শতাধিক পরিবারের বসতঘরের মেঝেতে পানি ঢুকেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App